লিমনের মামলা তুলে নিতে চিঠি পৌঁছেছে
ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দায়ের করা দুটি মামলা
প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঝালকাঠি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের
কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চিঠি
পাঠানো হয় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ চিঠির অনুলিপি
পাঠানো হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি),
ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার, ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটরকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আলোকে লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মামলা নম্বর ১১, তারিখ ২৩-৩-২০১১, জিআর নম্বর ৪৬/(ক) এবং রাজাপুর থানার মামলা নম্বর ১০, তারিখ ২৩-৩-১১ জিআর নম্বর ৪৫/১১ (রাজা:) না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় মামলা দুটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে প্রত্যাহার করার লক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে আহত হন লিমন। ওই বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হওয়ার কারণে তিনি আর ওই বছর পরীক্ষা দিতে পারেননি। র্যাব তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। পরে এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
লিমনের অভিযোগ, বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাঁকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। পরে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে তাঁর চিকিৎসার খরচ চালায়। একপর্যায়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লিমনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা লিমনের জীবন বাঁচাতে তাঁর বাম পা ঊরুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন।
এ ঘটনার পর বরিশালে র্যাব-৮-এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনসহ আটজনের নামে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে র্যাবের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের করা মামলাটি পুলিশ প্রথমে নিতে চায়নি। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলাটি নেয়। কিন্তু পরে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে তাও খারিজ করে দেন ঝালকাঠির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। অবশ্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আলোকে লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মামলা নম্বর ১১, তারিখ ২৩-৩-২০১১, জিআর নম্বর ৪৬/(ক) এবং রাজাপুর থানার মামলা নম্বর ১০, তারিখ ২৩-৩-১১ জিআর নম্বর ৪৫/১১ (রাজা:) না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় মামলা দুটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে প্রত্যাহার করার লক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে আহত হন লিমন। ওই বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হওয়ার কারণে তিনি আর ওই বছর পরীক্ষা দিতে পারেননি। র্যাব তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। পরে এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
লিমনের অভিযোগ, বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাঁকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। পরে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে তাঁর চিকিৎসার খরচ চালায়। একপর্যায়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লিমনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা লিমনের জীবন বাঁচাতে তাঁর বাম পা ঊরুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন।
এ ঘটনার পর বরিশালে র্যাব-৮-এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনসহ আটজনের নামে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে র্যাবের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের করা মামলাটি পুলিশ প্রথমে নিতে চায়নি। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলাটি নেয়। কিন্তু পরে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে তাও খারিজ করে দেন ঝালকাঠির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। অবশ্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে।
No comments