এ কোন দৃষ্টান্ত রাখছেন শিক্ষকেরা? অস্থির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সব অর্থেই সরকারি দলের
একক কর্তৃত্ব যখন, তখন দেখা যাচ্ছে সরকারপন্থী শিক্ষকেরাই পরিস্থিতি
অশান্ত করে তুলছেন। এসব অশান্তির মুখ্য কারণ, শিক্ষকদের বিভিন্ন অংশের
দলাদলি।
আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার অবশ্যই, কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা কেমন ধারার আন্দোলন?
দেশে সুবিধাবাদের ক্যানসার এমন পর্যায়ে গেছে যে সমাজের কোনো অংশকেই আর এ থেকে মুক্ত থাকতে দেখা যায় না। ছাত্রসংগঠনের দৌরাত্ম্য নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়, খুলনা, কুমিল্লা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির কারণ হয়েছেন শিক্ষকেরা নিজেরাই। কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকেরা দাবি আদায়ে উপাচার্য ও প্রক্টরকে আট ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। একপর্যায়ে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তবু শিক্ষকদের বিবদমান দুটি পক্ষের হুঁশ নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষকেরা। কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাতের কারণ ছাত্ররাজনীতি—পুলিশ সেখানে পিটিয়েছে ছাত্রদলের কর্মীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সংস্কৃতি এমন পর্যায়ে গেছে, সৎ প্রশাসকের পক্ষেও যেমন কাজ করা কঠিন, তেমনি নিরেট দলবাজের পক্ষেও সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত অনিয়মই এভাবে শিক্ষক রাজনীতির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এর শিকার হচ্ছে শিক্ষা পরিবেশ, ক্লাস-পরীক্ষা—বাড়ছে সেশনজট। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ২৭ শিক্ষার্থী অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের একজনের আকুতির মধ্যেই শিক্ষক রাজনীতির কাছে শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্ব ধরা পড়ে। সেই শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমরা মারা গেলে স্যাররা খুশি হবেন। তা না হলে আমাদের জিম্মি করে তাঁরা রাজনীতি করতে পারতেন না।’
শিক্ষার মান তো গেছেই, এখন প্রাণটাও যায় যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেহাল অবস্থা বদলাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আপসহীন উদ্যোগ দরকার। প্রয়োজনে অবসর নেওয়া শিক্ষাবিদদের দিয়ে উচ্চশিক্ষা সংস্কার কমিশন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। কিন্তু ঘেরাও-লাঞ্ছনা করে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষকদের আন্দোলন চলতে পারে না।
দেশে সুবিধাবাদের ক্যানসার এমন পর্যায়ে গেছে যে সমাজের কোনো অংশকেই আর এ থেকে মুক্ত থাকতে দেখা যায় না। ছাত্রসংগঠনের দৌরাত্ম্য নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়, খুলনা, কুমিল্লা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির কারণ হয়েছেন শিক্ষকেরা নিজেরাই। কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকেরা দাবি আদায়ে উপাচার্য ও প্রক্টরকে আট ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। একপর্যায়ে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তবু শিক্ষকদের বিবদমান দুটি পক্ষের হুঁশ নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষকেরা। কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাতের কারণ ছাত্ররাজনীতি—পুলিশ সেখানে পিটিয়েছে ছাত্রদলের কর্মীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সংস্কৃতি এমন পর্যায়ে গেছে, সৎ প্রশাসকের পক্ষেও যেমন কাজ করা কঠিন, তেমনি নিরেট দলবাজের পক্ষেও সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত অনিয়মই এভাবে শিক্ষক রাজনীতির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এর শিকার হচ্ছে শিক্ষা পরিবেশ, ক্লাস-পরীক্ষা—বাড়ছে সেশনজট। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ২৭ শিক্ষার্থী অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের একজনের আকুতির মধ্যেই শিক্ষক রাজনীতির কাছে শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্ব ধরা পড়ে। সেই শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমরা মারা গেলে স্যাররা খুশি হবেন। তা না হলে আমাদের জিম্মি করে তাঁরা রাজনীতি করতে পারতেন না।’
শিক্ষার মান তো গেছেই, এখন প্রাণটাও যায় যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেহাল অবস্থা বদলাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আপসহীন উদ্যোগ দরকার। প্রয়োজনে অবসর নেওয়া শিক্ষাবিদদের দিয়ে উচ্চশিক্ষা সংস্কার কমিশন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। কিন্তু ঘেরাও-লাঞ্ছনা করে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষকদের আন্দোলন চলতে পারে না।
No comments