গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা শ্রমিক স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজন ‘করপোরেট ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি আইন’
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করার দায় প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা মালিকপক্ষের। কিন্তু সাম্প্রতিক
কয়েকটি পোশাক কারখানার দুর্ঘটনায় মালিকপক্ষ বা মালিক সংগঠনগুলো এর দায়ভার
এড়িয়ে গেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘করপোরেট ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি আইন’ প্রণয়নের যৌক্তিকতা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা আইন প্রণয়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ বৈঠক সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের আইনের উদাহরণ ও বাংলাদেশে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সমিতির পরিচালক (প্রকল্প) আবদুল্লাহ আল হাসান।
বক্তারা বলেন, কোনো পোশাক কারখানা বা প্রতিষ্ঠান যদি কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অবশ্যই ফৌজদারি আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বর্তমান শ্রম আইনে এ ধরনের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। পাশাপাশি গত সাড়ে চার বছরেও পাস হয়নি সংশোধিত শ্রম আইন।
বৈঠকে প্রধান আলোচক ও সলিডারিটি সেন্টারের জ্যেষ্ঠ আইন পরামর্শক এ কে এম নাসিম বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থ ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতেই ‘করপোরেট ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি আইন’ প্রয়োজন। আইন শুধু প্রণয়ন করলেই হবে না, ‘করপোরেট কিলিং’ এর জন্য প্রভাবশালী দোষী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নও করতে হবে। ২০০৬ সালে প্রণীত শ্রম আইনে প্রাণহানির দায়ে জড়িত মালিকদের চার বছর কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম উন্নয়নে তিল পরিমাণ উন্নতি হয়নি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো আবিদুর রহমান বলেন, শ্রম আইন সংশোধন করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এখন বাকি সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ। উপসচিব মনে করেন, দেশে প্রণীত আইনগুলো যথেষ্ট নয়, এগুলোকে সময়ের সঙ্গে সংশোধন করা উচিত। তিনি জানান, দ্রুত জেলায় জেলায় শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে।
করপোরেট সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিক, শ্রমিক, মধ্যস্বত্বভোগীসহ সবার মতৈক্যের ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।
মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আক্তার ও নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান, শহীদুল্লাহ বাদল, রোকনউদ্দিন প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা আইন প্রণয়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ বৈঠক সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের আইনের উদাহরণ ও বাংলাদেশে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সমিতির পরিচালক (প্রকল্প) আবদুল্লাহ আল হাসান।
বক্তারা বলেন, কোনো পোশাক কারখানা বা প্রতিষ্ঠান যদি কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অবশ্যই ফৌজদারি আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বর্তমান শ্রম আইনে এ ধরনের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। পাশাপাশি গত সাড়ে চার বছরেও পাস হয়নি সংশোধিত শ্রম আইন।
বৈঠকে প্রধান আলোচক ও সলিডারিটি সেন্টারের জ্যেষ্ঠ আইন পরামর্শক এ কে এম নাসিম বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থ ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতেই ‘করপোরেট ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি আইন’ প্রয়োজন। আইন শুধু প্রণয়ন করলেই হবে না, ‘করপোরেট কিলিং’ এর জন্য প্রভাবশালী দোষী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নও করতে হবে। ২০০৬ সালে প্রণীত শ্রম আইনে প্রাণহানির দায়ে জড়িত মালিকদের চার বছর কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম উন্নয়নে তিল পরিমাণ উন্নতি হয়নি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো আবিদুর রহমান বলেন, শ্রম আইন সংশোধন করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এখন বাকি সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ। উপসচিব মনে করেন, দেশে প্রণীত আইনগুলো যথেষ্ট নয়, এগুলোকে সময়ের সঙ্গে সংশোধন করা উচিত। তিনি জানান, দ্রুত জেলায় জেলায় শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে।
করপোরেট সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিক, শ্রমিক, মধ্যস্বত্বভোগীসহ সবার মতৈক্যের ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।
মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আক্তার ও নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান, শহীদুল্লাহ বাদল, রোকনউদ্দিন প্রমুখ।
No comments