সাক্ষাৎকার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম by কাথরাদা
নেলসন ম্যান্ডেলা সংকটাপন্ন অবস্থায় এক
মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে আন্দোলন করেছেন আহমেদ কাথরাদা
(৮৩)। ম্যান্ডেলার সঙ্গে কুখ্যাত রোবেন দ্বীপের কারাগারেও দীর্ঘদিন ছিলেন
তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোবেন
দ্বীপ পরিদর্শনে গেলে কাথরাদা তাঁকে সবকিছু ঘুরে দেখান। এ সময় ওবামার
সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাবেক এ সংগ্রামী। সে কথোপকথনের
উল্লেখযোগ্য অংশ:
যেভাবে গাইডের দায়িত্বে এলেন...
কাথরাদা: কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৯৪ সালে নেতা ম্যান্ডেলা আমাকে এখানকার গাইডের দায়িত্ব নিতে বলেন। অনেক বিশ্বনেতা এখানে এসেছিলেন। আমার নায়ক কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো থেকে শুরু করে আমাদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। এবার এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওবামার প্রথম সফরের স্মৃতি...
কাথরাদা: ওবামার দুই মেয়ের কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। মালিয়া (বর্তমান বয়স ১৫) নানা প্রশ্ন করে আমাকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল। বেশ কৌতূহলী সে। তবে সাশা (বর্তমান বয়স ১২) ওর মায়ের পাশে পাশেই ছিল।
কারাগারে থাকার সময় চিন্তাভাবনা
কাথরাদা: বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের জন্য ষাটের দশকটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সময় কারাগারের বাইরে ও ভেতরে একই পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু আমরা কখনোই আশা ছাড়িনি। বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত ছিলাম।
দীর্ঘদিন কারাবাসের সময়ের একটি বিশেষ ঘটনা...
কাথরাদা: ম্যান্ডেলার এক ভাগনে কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ওই ভাগনে ম্যান্ডেলার মা ও তাঁর এক সন্তানের মৃত্যুর পর নিজ দায়িত্বে তাঁদের সমাহিত করেন। কিন্তু ওই ভাগনে তৎকালীন বর্ণবাদী সরকারের নিয়োগ করা গ্রামপ্রধান ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বন্দী সহযোগীদের মধ্যে ভোটের আয়োজন করেন ম্যান্ডেলা। তারা দেখা না করার পক্ষে রায় দিলে ম্যান্ডেলা ভাগনেকে আসতে নিষেধ করে দেন।
কারাগারে ম্যান্ডেলাকে যেমন দেখেছেন...
কাথরাদা: কারাগারেও প্রকৃত নেতা ছিলেন ম্যান্ডেলা। তাঁর কাজকর্ম দেখে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। সাধারণ কয়েদিদের জন্য যে খাবার ও পোশাক বরাদ্দ ছিল, তিনি তা-ই গ্রহণ করতেন। কর্তৃপক্ষ ম্যান্ডেলাকে ভালো খাবার ও পোশাক দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘আমি তখনই এসব পোশাক ও খাবার নেব, যখন সব কয়েদির জন্যই তা সরবরাহ করা হবে।’
সূূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
ভাষান্তর: আবুল হোসেন
যেভাবে গাইডের দায়িত্বে এলেন...
কাথরাদা: কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৯৪ সালে নেতা ম্যান্ডেলা আমাকে এখানকার গাইডের দায়িত্ব নিতে বলেন। অনেক বিশ্বনেতা এখানে এসেছিলেন। আমার নায়ক কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো থেকে শুরু করে আমাদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। এবার এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওবামার প্রথম সফরের স্মৃতি...
কাথরাদা: ওবামার দুই মেয়ের কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। মালিয়া (বর্তমান বয়স ১৫) নানা প্রশ্ন করে আমাকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল। বেশ কৌতূহলী সে। তবে সাশা (বর্তমান বয়স ১২) ওর মায়ের পাশে পাশেই ছিল।
কারাগারে থাকার সময় চিন্তাভাবনা
কাথরাদা: বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের জন্য ষাটের দশকটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সময় কারাগারের বাইরে ও ভেতরে একই পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু আমরা কখনোই আশা ছাড়িনি। বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত ছিলাম।
দীর্ঘদিন কারাবাসের সময়ের একটি বিশেষ ঘটনা...
কাথরাদা: ম্যান্ডেলার এক ভাগনে কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ওই ভাগনে ম্যান্ডেলার মা ও তাঁর এক সন্তানের মৃত্যুর পর নিজ দায়িত্বে তাঁদের সমাহিত করেন। কিন্তু ওই ভাগনে তৎকালীন বর্ণবাদী সরকারের নিয়োগ করা গ্রামপ্রধান ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বন্দী সহযোগীদের মধ্যে ভোটের আয়োজন করেন ম্যান্ডেলা। তারা দেখা না করার পক্ষে রায় দিলে ম্যান্ডেলা ভাগনেকে আসতে নিষেধ করে দেন।
কারাগারে ম্যান্ডেলাকে যেমন দেখেছেন...
কাথরাদা: কারাগারেও প্রকৃত নেতা ছিলেন ম্যান্ডেলা। তাঁর কাজকর্ম দেখে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। সাধারণ কয়েদিদের জন্য যে খাবার ও পোশাক বরাদ্দ ছিল, তিনি তা-ই গ্রহণ করতেন। কর্তৃপক্ষ ম্যান্ডেলাকে ভালো খাবার ও পোশাক দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘আমি তখনই এসব পোশাক ও খাবার নেব, যখন সব কয়েদির জন্যই তা সরবরাহ করা হবে।’
সূূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
ভাষান্তর: আবুল হোসেন
No comments