'গুয়ানতানামোর বন্দিদের ঘুমাতে দেওয়া হয় না'
গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দিদের জোর করে
জাগিয়ে রাখা হয়। তারা যাতে ঘুমাতে না পারে, সে জন্য রাতে কক্ষের দরজায়
প্রচণ্ড শব্দ করা হয়। প্রতিরাতে কক্ষের দরজাগুলো উচ্চশব্দে খোলা ও বন্ধ করা
হয় প্রায় ৩০০ বার।
এ অভিযোগ করেছেন ওই বন্দিশিবিরে ঢোকানো সর্বশেষ বন্দি সৌদি নাগরিক শাকের আমের।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রমজান শুরুর আগে সেখানকার অনশনরত বন্দিদের রাতে খাওয়ার অভ্যাস করাতেই তাদের জাগিয়ে রাখা হয়।
এদিকে অনশনরত বন্দিদের জোরপূর্বক খাওয়ানো বন্ধের দাবি জানিয়ে এক বন্দির করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। গত সোমবার আদালত জানান, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। তবে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহবান জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শাকের (৪৬) যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। তিনি গত সপ্তাহে তাঁর আইনজীবী ক্লাইভ স্টাফোর্ড স্মিথের কাছে একটি চিঠি লেখেন। তাতে তিনি জানান, বন্দিশিবিরের নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দিদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে সারা রাত ধরেই কক্ষের বাইরে ইচ্ছাকৃত প্রচণ্ড শব্দ করে থাকে। এক নিরাপত্তারক্ষী এ কথা তাঁর কাছে স্বীকার করেছেন বলে শাকের জানান। শাকের বলেন, 'তিনি (গার্ড) আমার কাছে স্বীকার করেছেন যে, তাঁর নির্দেশেই উচ্চশব্দে দরজা খোলা ও বন্ধ করা হয়। বন্দিদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে প্রতিরাতে এ কাজ করা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ বার। তাদের এ কাজ সন্ধ্যার পর শুরু হয়ে চলে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত।' এ ছাড়া তাঁকে ধর্মীয়ভাবেও অপমান করা হয় বলে উল্লেখ করেন শাকের।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রমজান শুরুর আগে অনশনকারী বন্দিদের রাতে খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে তাদের জাগিয়ে রাখা হয়। তবে এই প্রক্রিয়া বন্দিদের কিভাবে খাওয়াতে সহায়তা করবে, তা বিস্তারিত জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি বন্দিশিবিরটি পরিদর্শন করেন কয়েদিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান রিপ্রিভ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক স্মিথ বন্দিদের জোরপূর্বক জাগিয়ে রাখার এ প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত বিরক্তকর বলে অভিহিত করেন।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জাজ গ্লাডিস কেসলার জানান, বন্দিদের জোরপূর্বক খাওয়ানো বন্ধ করার ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি আহবান জানান। সূত্র : গার্ডিয়ান।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রমজান শুরুর আগে সেখানকার অনশনরত বন্দিদের রাতে খাওয়ার অভ্যাস করাতেই তাদের জাগিয়ে রাখা হয়।
এদিকে অনশনরত বন্দিদের জোরপূর্বক খাওয়ানো বন্ধের দাবি জানিয়ে এক বন্দির করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। গত সোমবার আদালত জানান, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। তবে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহবান জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শাকের (৪৬) যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। তিনি গত সপ্তাহে তাঁর আইনজীবী ক্লাইভ স্টাফোর্ড স্মিথের কাছে একটি চিঠি লেখেন। তাতে তিনি জানান, বন্দিশিবিরের নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দিদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে সারা রাত ধরেই কক্ষের বাইরে ইচ্ছাকৃত প্রচণ্ড শব্দ করে থাকে। এক নিরাপত্তারক্ষী এ কথা তাঁর কাছে স্বীকার করেছেন বলে শাকের জানান। শাকের বলেন, 'তিনি (গার্ড) আমার কাছে স্বীকার করেছেন যে, তাঁর নির্দেশেই উচ্চশব্দে দরজা খোলা ও বন্ধ করা হয়। বন্দিদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে প্রতিরাতে এ কাজ করা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ বার। তাদের এ কাজ সন্ধ্যার পর শুরু হয়ে চলে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত।' এ ছাড়া তাঁকে ধর্মীয়ভাবেও অপমান করা হয় বলে উল্লেখ করেন শাকের।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রমজান শুরুর আগে অনশনকারী বন্দিদের রাতে খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে তাদের জাগিয়ে রাখা হয়। তবে এই প্রক্রিয়া বন্দিদের কিভাবে খাওয়াতে সহায়তা করবে, তা বিস্তারিত জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি বন্দিশিবিরটি পরিদর্শন করেন কয়েদিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান রিপ্রিভ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক স্মিথ বন্দিদের জোরপূর্বক জাগিয়ে রাখার এ প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত বিরক্তকর বলে অভিহিত করেন।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জাজ গ্লাডিস কেসলার জানান, বন্দিদের জোরপূর্বক খাওয়ানো বন্ধ করার ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি আহবান জানান। সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments