স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে ডুবোজাহাজ ঘাঁটি সার্বভৌম রাখবে যুক্তরাজ্য!
গণভোটে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষ জিতে গেলে পরমাণু ডুবোজাহাজ ঘাঁটি যুক্তরাজ্যের অধীনে রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে প্রচারিত খবরের সত্যতা নাকচ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। গতকাল গার্ডিয়ান পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, সাইপ্রাসে যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটির আদলে স্কটল্যান্ডের আর্গাইল ও বিউট অঞ্চলের ফাসলেন ট্রাইডেন্ট পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ডুবোজাহাজ ঘাঁটিকে ব্রিটিশ সার্বভৌম অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর পক্ষে সুপারিশ করছে। গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ফাসলেন ডুবোজাহাজ ঘাঁটিকে ব্রিটিশ সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে রাখার পরিকল্পনা ‘বিশ্বাসযোগ্য বা সুবিবেচনাপ্রসূত’ নয়। ইংল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকবে না কি স্বাধীন হবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে গণভোট হবে। এ প্রশ্নে ট্রাইডেন্ট পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য। এসএনপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে সব পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগ করা হবে। এর আগে যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ঘাঁটিটি অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। তাই ওই ঘাঁটি ‘ব্রিটিশ সার্বভৌমত্বের’ অধীনে রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এ প্রস্তাবে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার স্কটল্যান্ডকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ট্রাইডেন্টবাহী ডুবোজাহাজ ফাসলেন ঘাঁটি থেকে ফার্থ অব ক্লাইড হয়ে সরাসরি উন্মুক্ত সাগরে চলাচল করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, তাঁরা আশাবাদী স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই থাকবে। ট্রাইডেন্ট অস্ত্রসম্ভার স্কটল্যান্ডের বাইরে সরিয়ে নিতে কয়েক শ কোটি পাউন্ড খরচ হবে। এসব বিবেচনায় রেখে ঘাঁটিটি স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেই। বিকল্প হিসেবে বরং একে সার্বভৌম রাখার পরিকল্পনাটা কৌতূহলোদ্দীপক। কিন্তু এসএনপির নেতা অ্যাঙ্গাস রবার্টসন বলেন, স্কটল্যান্ডের জনগণ কিংবা পার্লামেন্ট কেউই চায় না, ফাসলেন ঘাঁটিতে পারমাণবিক অস্ত্র রাখা হোক। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইডেন্ট অস্ত্র ওখান থেকে সরিয়ে নিতে হবে। বিবিসি।
No comments