দ্বৈত পদ নিয়ে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ে মতবিরোধ
একই সঙ্গে সরকারি ও দলীয় পদ আঁকড়ে থাকা
নিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের সঙ্গে
দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিরোধ দেখা দিয়েছে।
কমিশন
সরকারি পদে থাকা নেতাদের দলীয় পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি
জারি করলেও ইমরান বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল দলের কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষই নিতে পারে। তবে ইমরানের এই বক্তব্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে
দিয়েছেন পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হামিদ খান। তিনি বলেছেন, দলের
গঠনতন্ত্র অনুসারে এই ক্ষমতা কমিশনের হাতেই ন্যস্ত।
গত মে মাসের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সরকার গঠন করে সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল পিটিআই। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যাতে প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাটাককে পিটিআইয়ের মহাসচিবের পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী শওকত ইউসুফজাইকে দলের প্রাদেশিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে বর্তমানে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে অবস্থানরত ইমরান খান কমিশনের এই পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এটি এবং অন্যান্য বড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির হাতে ন্যস্ত।
ইমরান খানের বিবৃতির জবাবে হামিদ খান যে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। গত বুধবার তিনি দাবি করেছেন, দলের গঠনতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে ইমরান খান ওই বিবৃতি দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুসারে কমিশনই ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। হামিদ খান বলেন, গঠনতন্ত্রের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা’ অংশে স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকারি পদে থাকা অবস্থায় দলীয় পদে থাকা নিয়ে কোনো বিরোধের জন্ম নিলে দলের নির্বাচন কমিশনই সেই বিরোধের মীমাংসা করবে। তিনি বলেন, সরকারি পদে থাকা নেতাদের দলীয় পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা চূড়ান্ত এবং মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
তবে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব শিরিন মাজারি বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রে দ্বৈত পদে থাকা নিষিদ্ধ করার কোনো বিধান নেই। সুতরাং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যদি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আমাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে হতে পারে। আর দলের নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি এ ক্ষেত্রে সুপারিশমূলক। কারণ, এ ধরনের কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। দলীয় প্রধানের বিবৃতিই এ ক্ষেত্রে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য।’
অবশ্য, দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, সরকারি পদে থাকা নেতাদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক—দলের কিছু ব্যক্তি সেটা চান। ইমরান খান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরবেন। তখন দলীয়ভাবে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে। ডন।
গত মে মাসের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সরকার গঠন করে সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল পিটিআই। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যাতে প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাটাককে পিটিআইয়ের মহাসচিবের পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী শওকত ইউসুফজাইকে দলের প্রাদেশিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে বর্তমানে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে অবস্থানরত ইমরান খান কমিশনের এই পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এটি এবং অন্যান্য বড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির হাতে ন্যস্ত।
ইমরান খানের বিবৃতির জবাবে হামিদ খান যে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। গত বুধবার তিনি দাবি করেছেন, দলের গঠনতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে ইমরান খান ওই বিবৃতি দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুসারে কমিশনই ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। হামিদ খান বলেন, গঠনতন্ত্রের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা’ অংশে স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকারি পদে থাকা অবস্থায় দলীয় পদে থাকা নিয়ে কোনো বিরোধের জন্ম নিলে দলের নির্বাচন কমিশনই সেই বিরোধের মীমাংসা করবে। তিনি বলেন, সরকারি পদে থাকা নেতাদের দলীয় পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা চূড়ান্ত এবং মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
তবে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব শিরিন মাজারি বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রে দ্বৈত পদে থাকা নিষিদ্ধ করার কোনো বিধান নেই। সুতরাং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যদি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আমাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে হতে পারে। আর দলের নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি এ ক্ষেত্রে সুপারিশমূলক। কারণ, এ ধরনের কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। দলীয় প্রধানের বিবৃতিই এ ক্ষেত্রে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য।’
অবশ্য, দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, সরকারি পদে থাকা নেতাদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক—দলের কিছু ব্যক্তি সেটা চান। ইমরান খান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরবেন। তখন দলীয়ভাবে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে। ডন।
No comments