সংসদ অধিবেশন আজ শুরু নির্বাচনকালীন সরকার সংসদে আলোচনার প্রস্তাব বিএনপির by তানভীর সোহেল
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে এখন
সংসদেই আলোচনা করতে চায় বিএনপি। এ জন্য আজ সোমবার শুরু হতে যাওয়া অধিবেশনে
এক বা একাধিক কার্যদিবসের নির্ধারিত কার্যক্রম মুলতবি রেখে এ নিয়ে আলোচনার
জন্য লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
২০১১ সালে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর এবারই প্রথম বিএনপি এ বিষয়ে আলোচনার
জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিল। দলটি বলেছে, সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদন
করে সংসদের মুলতবি ও অধিকার শাখায় প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ‘নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা’ শীর্ষক একটি মুলতবি প্রস্তাব স্পিকারের কার্যালয়ে জমা পড়েছে। বিএনপির সাংসদ মাহবুবউদ্দিন খোকন প্রস্তাবটি এনেছেন। আলোচনার জন্য বিএনপির এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত স্পিকার নেবেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপি পুরো সময় থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, আগে তারা অধিবেশনে আসুক। কীভাবে আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে, সেটা তখন বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, নির্দলীয় বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব তাঁরা এনেছেন। এখন দায়িত্ব সরকারের। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যেকোনো স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি, এর মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংসদ ও দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকার বলছে সংসদে এসে আলোচনা করতে। এতে সব সমস্যার সমাধান হবে। একজন সাংসদ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, আলোচনার ও সংকট সমাধানের ইচ্ছা সরকারের আছে কি না।’
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল অনেক দিন আন্দোলন করে এখন সংসদে প্রস্তাব দিয়েছে। তারা যদি সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব দিত, তাহলে তা আরও বেশি ফলপ্রসূ হতো।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাদের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন হবে। কিন্তু বিরোধী দল চাইছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। দুই পক্ষের ভিন্ন অবস্থানের কারণে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের কথা বারবারই বলা হচ্ছে দেশি ও বিদেশি মহল থেকে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি আলোচনার জন্য যে নোটিশ দিয়েছে, তা আগে দেখতে হবে। নোটিশে কী বলা হচ্ছে, তা জানাটা জরুরি। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো যাবে। এর আগে নয়।’
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলার থাকলে বিএনপিকে তা সংসদে এসে বলার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি তাই কৌশলগত কারণে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সংসদে প্রস্তাব দিল। দলটি দেখাতে চায়, সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো স্থানে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ফলে এবারের অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ না রাখলে তার দায় মূলত সরকারের ওপরই পড়বে। দলটি মনে করছে, সংসদে আলোচনার সুযোগ না দিলে বিরোধী দলের রাজপথে কঠোর আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমান সংসদের ১৭টি অধিবেশনে আলোচনার জন্য মোট ৮৩৫টি মুলতবি প্রস্তাব আনা হয়। তবে এর একটিও আলোচনার জন্য গ্রহণ করা হয়নি। প্রস্তাব দেওয়ার পর বিরোধী দল সংসদে না থাকার কারণে মুলতবি প্রস্তাবগুলো বাতিল করা হয় বলে সংসদকে অবহিত করা হয়। ওই সময় প্রস্তাবের ওপর আলোচনার চেষ্টাও করেনি দলটি।
তবে এবার বিএনপি অধিবেশনে পুরোটা সময় থাকার চিন্তা করছে। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাব সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে। বিএনপি এবার নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার চেষ্টা করবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ‘নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা’ শীর্ষক একটি মুলতবি প্রস্তাব স্পিকারের কার্যালয়ে জমা পড়েছে। বিএনপির সাংসদ মাহবুবউদ্দিন খোকন প্রস্তাবটি এনেছেন। আলোচনার জন্য বিএনপির এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত স্পিকার নেবেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপি পুরো সময় থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, আগে তারা অধিবেশনে আসুক। কীভাবে আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে, সেটা তখন বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, নির্দলীয় বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব তাঁরা এনেছেন। এখন দায়িত্ব সরকারের। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যেকোনো স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি, এর মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংসদ ও দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকার বলছে সংসদে এসে আলোচনা করতে। এতে সব সমস্যার সমাধান হবে। একজন সাংসদ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, আলোচনার ও সংকট সমাধানের ইচ্ছা সরকারের আছে কি না।’
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল অনেক দিন আন্দোলন করে এখন সংসদে প্রস্তাব দিয়েছে। তারা যদি সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব দিত, তাহলে তা আরও বেশি ফলপ্রসূ হতো।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাদের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন হবে। কিন্তু বিরোধী দল চাইছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। দুই পক্ষের ভিন্ন অবস্থানের কারণে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের কথা বারবারই বলা হচ্ছে দেশি ও বিদেশি মহল থেকে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি আলোচনার জন্য যে নোটিশ দিয়েছে, তা আগে দেখতে হবে। নোটিশে কী বলা হচ্ছে, তা জানাটা জরুরি। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো যাবে। এর আগে নয়।’
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলার থাকলে বিএনপিকে তা সংসদে এসে বলার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি তাই কৌশলগত কারণে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সংসদে প্রস্তাব দিল। দলটি দেখাতে চায়, সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো স্থানে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ফলে এবারের অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ না রাখলে তার দায় মূলত সরকারের ওপরই পড়বে। দলটি মনে করছে, সংসদে আলোচনার সুযোগ না দিলে বিরোধী দলের রাজপথে কঠোর আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমান সংসদের ১৭টি অধিবেশনে আলোচনার জন্য মোট ৮৩৫টি মুলতবি প্রস্তাব আনা হয়। তবে এর একটিও আলোচনার জন্য গ্রহণ করা হয়নি। প্রস্তাব দেওয়ার পর বিরোধী দল সংসদে না থাকার কারণে মুলতবি প্রস্তাবগুলো বাতিল করা হয় বলে সংসদকে অবহিত করা হয়। ওই সময় প্রস্তাবের ওপর আলোচনার চেষ্টাও করেনি দলটি।
তবে এবার বিএনপি অধিবেশনে পুরোটা সময় থাকার চিন্তা করছে। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাব সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে। বিএনপি এবার নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার চেষ্টা করবে।
No comments