দিনাজপুরে দেশের প্রথম লোহার খনি আবিষ্কার

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মুশিদপুর গ্রামে লৌহ জাতীয় ধাতব খনিজ পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই এলাকার মাটি খনন করে এই খনি’র অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত কম গভীরতায় চুনা পাথরের সন্ধানও পাওয়া গেছে সেখানে।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা সদর হিলি স্থলবন্দর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার পূর্বদিকে আলিহাট ইউনিয়নের মুশিদপুর গ্রাম। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের একটি দল গত ২২শে মার্চ থেকে মশিদপুর গ্রামে জরিপ কাজ শুরু করে। জরিপকালে প্রায় ১২’শ ফুট গভীরতায় চুনা পাথর এবং ১৫’শ থেকে দুই হাজার ১শ ফুট গভীরতায় চম্বুকীয় পদার্থের সন্ধান পায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোট চারটি স্তরের গভীরতায় ম্যাগনেটিক মিনারেল, হেমাটাইট, ম্যাগনেটাইট ও লিমোনাইট পাওয়া গেছে। যা এক থেকে তিন ফুট পুরুত্বের অবস্থান রয়েছে।  মাত্র ৮শ’ ফুট গভীরেই ড্রিলিং করে সেখান থেকে ড্রিলকোর নমুনা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খনন কাজে নিয়োজিত ড্রিলিং প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ও ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মহিরুল ইসলাম।
জরিপে অংশ নেয়া ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ড. নেহাল উদ্দীন জানান, এর আগে দেশের কোথাও এই চম্বুকীয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এটিই দেশের প্রথম আবিষ্কার। তারা বলছেন, এখানে খনিজ সম্পদের পরিমাণও বেশি হতে পারে।
ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন,ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের ভূ-তাত্বিক দল খনিজ সম্পদ উন্নয়নে ভূবৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের আওতায় এর আগে দেশের কোথাও এই ম্যাগনেটিক মিনারেশন (লোহার আকরিক) এর সন্ধান পাওয়া যায়নি। জরিপ অনুসন্ধানে এটিই হচ্ছে দেশে তাদের প্রথম আবিষ্কার। তবে কত এলাকা নিয়ে এবং কি পরিমাণে মজুদ রয়েছে, তার অনুসন্ধান কাজ এখনও চলছে। তার মতে, এখানে বেশি পরিমাণের মজুদের সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর চুম্বক  জাতীয় খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করতে এসে অনুসন্ধানে আরও সন্ধান পাওয়া গেছে চুনা পাথরের (লাইম ষ্টোন)। এখানে মূল্যবান লৌহ জাতীয় ধাতব পদার্থের (ইকোনোমিকস ম্যাগনেটিক মিনারেল) পাশাপাশি ম্যাগনেটিক হাই পাওয়া গেছে।

No comments

Powered by Blogger.