মন্ত্রী-প্রার্থী কেউ মানছেন না আচরণবিধিঃ নির্বাচন কমিশন অসহায়!
আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় উত্তপ্ত
হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ। প্রার্থীরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রচারণা
চালিয়ে যাচ্ছেন। বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট এই চার সিটি করপোরেশনের
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বাড়ছে নির্বাচনী
বিধিভঙ্গের অভিযোগ।
প্রার্থীরা বেপরোয়া, তারা নির্বাচন
কমিশনের সতর্কবাণী এবং পাঠানো নোটিশকে থোড়াই কেয়ার করছেন। এই বেআইনি
তত্পরতায় প্রার্থী-সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরাও।
ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রতিমন্ত্রী এবং এমপি প্রচারে অংশ নিয়ে দলীয় প্রভাব
বিস্তার করছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন
কমিশন যেন অসহায়। সতর্ক করা এবং নোটিশ দেয়া ছাড়া শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা
গ্রহণে দৃষ্টান্ত রাখতে পারছে না এই সংস্থাটি।
নির্বাচনী আইন অনুসারে, কোনো প্রার্থী ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে কোনো প্রচারণা চালাতে পারেন না। কিন্তু সেটি মানেননি কোনো প্রার্থীই। বিধি মতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিধান সীমাবদ্ধ রয়েছে কাগজে-কলমেই। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কয়েকজন প্রার্থীকে বিধিভঙ্গের অভিযোগে শো কজ করা হয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেক জায়গায় নির্বাচন কর্মকর্তারা অনেকটা নিরুপায় দর্শকের ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসির ভিজিলেন্স টিম মাঠে নামলেও তারা নিষ্ক্রিয়। ফলে সংবর্ধনা, তোরণ নির্মাণ, ব্যানার, পোস্টার, মাইকের ব্যবহার—কোনো কিছুতেই নিয়ম বজায় থাকছে না। অথচ আচরণবিধি কঠোরভাবে পর্যালোচনা করার জন্য এরই মধ্যে চার সিটিতে ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা, ১৯০-এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে বিচারার্থে আমলে নেয়া এবং আইন ও বিধি অনুসারে কতিপয় অপরাধের তাত্ক্ষণিক বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি সিটি করপোরেশনে পাঁচজন করে মোট ২০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরেজমিন যা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, বজ্র আঁটুনি পরিণত হচ্ছে ফস্কা গেঁরোয়।
উল্লেখ্য, সব দলের প্রার্থীরাই কমবেশি নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করছেন, তবে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক-প্রার্থীদের বেলায় অভিযোগের বহর বেশি। নির্বাচনী প্রচারে প্রতিমন্ত্রীসহ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের তত্পরতায় এরই মধ্যে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নির্বাচন প্রভাবিত করা এবং প্রচারে অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠছে। মাঠ পর্যায়ে তো বটেই, ইন্টারনেট ও ফেসবুকেও প্রচার চলছে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপও চলছে রীতিমত। কিন্তু কেউ অভিযোগ অস্বীকার করে পার পাচ্ছেন না। কারণ এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে সচিত্র প্রতিবেদন। ২ জুন প্রকাশিত পত্রপত্রিকায় দেখা গেছে, একাধিক প্রতিমন্ত্রী এবং দলীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করছেন। এমনকি পদস্থ সরকারি পেশাজীবীরাও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। সবমিলিয়ে এককথায় বলা যায়, নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা, এমনকি মন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও। এ অবস্থায় স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়, নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মানতেই সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করতে না পারে বা প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে অসমর্থ হয় তাহলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম বা কারচুপির মতো ঘটনা ঘটলে তার মোকাবিলা করবে কীভাবে! আর যদি তা নাই পারে তাহলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে।
আমাদের প্রত্যাশা, বিলম্বে হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের আইন প্রয়োগে পিছ-পা হবে না। তা না হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারে। কোনো গণতন্ত্রমনা মানুষ এই অবাঞ্ছিত পরিণতি দেখতে চান না। নির্বাচন কমিশনেরও সদিচ্ছার অভাব থাকা উচিত নয়। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে এখন থেকে শেষ পর্যন্ত—এটাই কাম্য।
নির্বাচনী আইন অনুসারে, কোনো প্রার্থী ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে কোনো প্রচারণা চালাতে পারেন না। কিন্তু সেটি মানেননি কোনো প্রার্থীই। বিধি মতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিধান সীমাবদ্ধ রয়েছে কাগজে-কলমেই। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কয়েকজন প্রার্থীকে বিধিভঙ্গের অভিযোগে শো কজ করা হয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেক জায়গায় নির্বাচন কর্মকর্তারা অনেকটা নিরুপায় দর্শকের ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসির ভিজিলেন্স টিম মাঠে নামলেও তারা নিষ্ক্রিয়। ফলে সংবর্ধনা, তোরণ নির্মাণ, ব্যানার, পোস্টার, মাইকের ব্যবহার—কোনো কিছুতেই নিয়ম বজায় থাকছে না। অথচ আচরণবিধি কঠোরভাবে পর্যালোচনা করার জন্য এরই মধ্যে চার সিটিতে ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা, ১৯০-এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে বিচারার্থে আমলে নেয়া এবং আইন ও বিধি অনুসারে কতিপয় অপরাধের তাত্ক্ষণিক বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি সিটি করপোরেশনে পাঁচজন করে মোট ২০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরেজমিন যা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, বজ্র আঁটুনি পরিণত হচ্ছে ফস্কা গেঁরোয়।
উল্লেখ্য, সব দলের প্রার্থীরাই কমবেশি নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করছেন, তবে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক-প্রার্থীদের বেলায় অভিযোগের বহর বেশি। নির্বাচনী প্রচারে প্রতিমন্ত্রীসহ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের তত্পরতায় এরই মধ্যে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নির্বাচন প্রভাবিত করা এবং প্রচারে অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠছে। মাঠ পর্যায়ে তো বটেই, ইন্টারনেট ও ফেসবুকেও প্রচার চলছে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপও চলছে রীতিমত। কিন্তু কেউ অভিযোগ অস্বীকার করে পার পাচ্ছেন না। কারণ এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে সচিত্র প্রতিবেদন। ২ জুন প্রকাশিত পত্রপত্রিকায় দেখা গেছে, একাধিক প্রতিমন্ত্রী এবং দলীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করছেন। এমনকি পদস্থ সরকারি পেশাজীবীরাও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। সবমিলিয়ে এককথায় বলা যায়, নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা, এমনকি মন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও। এ অবস্থায় স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়, নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মানতেই সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করতে না পারে বা প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে অসমর্থ হয় তাহলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম বা কারচুপির মতো ঘটনা ঘটলে তার মোকাবিলা করবে কীভাবে! আর যদি তা নাই পারে তাহলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে।
আমাদের প্রত্যাশা, বিলম্বে হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের আইন প্রয়োগে পিছ-পা হবে না। তা না হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারে। কোনো গণতন্ত্রমনা মানুষ এই অবাঞ্ছিত পরিণতি দেখতে চান না। নির্বাচন কমিশনেরও সদিচ্ছার অভাব থাকা উচিত নয়। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে এখন থেকে শেষ পর্যন্ত—এটাই কাম্য।
No comments