কলেজের মন্দিরের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজের
মন্দিরের জায়গা বেদখল করে সেখানে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দোতলা ভবন
নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শাহজাদপুর
উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪
সালে শাহজাদপুর সরকারি কলেজটি ৩ দশমিক ৪৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৯০ সালে কলেজের উত্তর-পূর্ব পাশে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই
মন্দিরের উত্তর পাশে গৌর বসাক নামের এক ব্যক্তির বাড়ি হওয়ায় তিনি মন্দিরটি
দেখশোনার দায়িত্ব নেন। এরপর তিনি মন্দিরের উত্তর পাশের প্রায় ৫০ লাখ টাকা
মূল্যের দশমিক ৪১২ একর খালি জায়গা দখল করে দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করেন। এ
ছাড়া মন্দিরের পূর্ব পাশের একটি কক্ষ তিনি তাঁর দোকানের মালামাল রাখার
গুদাম ও কর্মচারীর থাকার ঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন।
কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, তিনি সরকারি এই সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের বরাবর আবেদন করেন। ইউএনও রাসেল সাবরিন উপজেলা ভূমি কার্যালয়কে জরিপ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরপর ভূমি কার্যালয় থেকে কলেজ মন্দিরের দশমিক ৪১২ একর সম্পত্তির ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে গৌর বসাক বলেন, কলেজসংলগ্ন চার শতক জায়গা কিনে তিনি সেখানে ভবন নির্মাণ করে বাস করছেন। ইউএনও কলেন, জরিপে দখলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিয়মনুযায়ী প্রতিবেদনের একটি কপি শিগগিরই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ দখল করা ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রতিবেদনসহ একটি আবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করবে। এরপর জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, তিনি সরকারি এই সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের বরাবর আবেদন করেন। ইউএনও রাসেল সাবরিন উপজেলা ভূমি কার্যালয়কে জরিপ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরপর ভূমি কার্যালয় থেকে কলেজ মন্দিরের দশমিক ৪১২ একর সম্পত্তির ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে গৌর বসাক বলেন, কলেজসংলগ্ন চার শতক জায়গা কিনে তিনি সেখানে ভবন নির্মাণ করে বাস করছেন। ইউএনও কলেন, জরিপে দখলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিয়মনুযায়ী প্রতিবেদনের একটি কপি শিগগিরই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ দখল করা ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রতিবেদনসহ একটি আবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করবে। এরপর জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
No comments