আঞ্চলিক-চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন মঞ্চ by চি গুয়াংঝু
চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রথম পণ্য প্রদর্শনী
আগামী ৬-১০ জুন চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুমিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ এই প্রদর্শনীর 'থিম কান্ট্রি' হবে এবং দেশটি হবে চীন-দক্ষিণ এশিয়া
বাণিজ্য ফোরামের পালাক্রমিক প্রেসিডেন্ট।
চীন-দক্ষিণ
এশিয়া প্রদর্শনীটি হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সহযোগিতা
বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম জাতীয় পর্যায়ের প্রদর্শনী। বাংলাদেশকে এই প্রদর্শনীর
থিম কান্ট্রি হিসেবে সম্মানিত করার মাধ্যমে চীনের দিক থেকে বাংলাদেশের
সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরার মঞ্চ হিসেবে কাজ
করবে এই প্রদর্শনী। চীনে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করা, চীনের আরও
বিনিয়োগ আকর্ষণ করা, দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বমূলক
বিনিময়কে সহজ করার ক্ষেত্রে এটা অবদান রাখবে। শুধু তাই নয়, এতে দু'দেশের
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা গভীর করার অপার সুযোগও সৃষ্টি
হবে।
সাম্প্র্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় ভালো গতি বজায় রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন বৃহত্তম বাংলাদেশি আমদানির উৎস দেশ। চীনা পরিসংখ্যান অনুসারে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২ সালে ৮৪৫ কোটি ডলার। এটা ২০০২ সালে দু'দেশের বাণিজ্যের তুলনায় ৭ গুণ বেশি। এই বছরের প্রথম চার মাসে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যার মধ্যে চীনে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বৃদ্ধির হার ৩৭.৫ শতাংশ। এটা খবই উৎসাহব্যঞ্জক। আরও বেশি চীনা ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং বাংলাদেশে সরাসরি চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তবে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলো অতিক্রম করতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করা, সহযোগিতার প্রক্রিয়াগত সমৃদ্ধি, বাণিজ্য ক্যাটাগরির বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্য মঞ্চের সম্প্রসারণ।
চীন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে চীন তার অর্থনৈতিক কাঠামোকে খাপ খাইয়ে নেওয়া, উন্নয়নের প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন, পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন ও উন্মুক্তকরণকে আরও বিস্তৃত করার কৌশল বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নতমানের মানবসম্পদ, উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক খোলামেলা নীতি এবং অগ্রাধিকারমূলক রাজস্ব ও আর্থিক নীতির কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। চীন ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত পরিপূরক এবং উভয় দেশেরই রয়েছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংহত করবে ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গভীর করবে এবং চীনের উন্নয়ন যাতে প্রতিবেশীদের জন্য অধিক সুফল বয়ে আনে সেটা নিশ্চিত করবে। উভয় দেশ যাতে একত্রে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যেই প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এটা অর্জনের জন্য প্রয়োজন উভয় দেশের নিজস্ব সুযোগ-সুবিধাকে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করা, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীর করা, শিল্প ডকিং বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের লাভকে শেয়ার করা। চীন সবসময় দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগ এবং এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০১০ সাল থেকে চীন ক্রমাগত বাংলাদেশের তৈরি পণ্যকে বিনাশুল্ক মর্যাদা দিয়ে আসছে। বর্তমানে চীনে রফতানিকৃত ৪ হাজার ৭০০টিরও বেশি বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিনাশুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। এ বছরে এই সুবিধা আরও বিস্তৃত হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে তৈরি ৯৭ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমাদের বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি বন্ধুরা তাদের দেশের পণ্য চীনে রফতানির ক্ষেত্রে শক্তিশালী সমর্থন লাভ করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনান প্রদেশ গতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের বেশি অর্জিত হচ্ছে। ২০১২ সালে ইউনানের জিডিপি ছিল এক ট্রিলিয়ন ইউয়ানের (১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি। সেই প্রাচীন কাল থেকেই ইউনান ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। এ জন্য তাদের ভূখণ্ডগত নৈকট্যকে সাধুবাদ জানাতে হয়। দুটি জায়গাই প্রাচীন সিল্ক রোড দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, যদিও ইউনান দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা বিস্তৃত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে। চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী ইউনান প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে এবং চীনের অর্থনৈতিক দ্রুত প্রসারে অবগাহন করার সুযোগ পাওয়া যাবে এতে। প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় উভয় দেশ যৌথ বিবৃতিতে চীন-ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে ২৮০ কোটি জনসংখ্যার এই অর্থনৈতিক আবর্ত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সামনে অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আমি মনে করি, বাংলাদেশি বন্ধুরা বিশ্ব অর্থনীতির এই উন্নয়ন প্রবণতাকে দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি এবং চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার মঞ্চ হিসেবে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারবে। যৌথভাবে উদ্ভাবনা, সহযোগিতা ও উন্নয়ন কাজে রত থাকার মাধ্যমে আমি মনে করি আপনারা চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতায় উন্নতি সাধন ও দক্ষিণ এশিয়ার সুস্থিতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে নতুন ও বৃহত্তর অবদান রাখবেন।
স চি গুয়াংঝু :ঢাকায় চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ও ডিসিএম (ভাষান্তরিত)
সাম্প্র্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় ভালো গতি বজায় রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন বৃহত্তম বাংলাদেশি আমদানির উৎস দেশ। চীনা পরিসংখ্যান অনুসারে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২ সালে ৮৪৫ কোটি ডলার। এটা ২০০২ সালে দু'দেশের বাণিজ্যের তুলনায় ৭ গুণ বেশি। এই বছরের প্রথম চার মাসে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যার মধ্যে চীনে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বৃদ্ধির হার ৩৭.৫ শতাংশ। এটা খবই উৎসাহব্যঞ্জক। আরও বেশি চীনা ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং বাংলাদেশে সরাসরি চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তবে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলো অতিক্রম করতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করা, সহযোগিতার প্রক্রিয়াগত সমৃদ্ধি, বাণিজ্য ক্যাটাগরির বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্য মঞ্চের সম্প্রসারণ।
চীন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে চীন তার অর্থনৈতিক কাঠামোকে খাপ খাইয়ে নেওয়া, উন্নয়নের প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন, পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন ও উন্মুক্তকরণকে আরও বিস্তৃত করার কৌশল বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নতমানের মানবসম্পদ, উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক খোলামেলা নীতি এবং অগ্রাধিকারমূলক রাজস্ব ও আর্থিক নীতির কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। চীন ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত পরিপূরক এবং উভয় দেশেরই রয়েছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংহত করবে ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গভীর করবে এবং চীনের উন্নয়ন যাতে প্রতিবেশীদের জন্য অধিক সুফল বয়ে আনে সেটা নিশ্চিত করবে। উভয় দেশ যাতে একত্রে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যেই প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এটা অর্জনের জন্য প্রয়োজন উভয় দেশের নিজস্ব সুযোগ-সুবিধাকে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করা, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীর করা, শিল্প ডকিং বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের লাভকে শেয়ার করা। চীন সবসময় দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগ এবং এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০১০ সাল থেকে চীন ক্রমাগত বাংলাদেশের তৈরি পণ্যকে বিনাশুল্ক মর্যাদা দিয়ে আসছে। বর্তমানে চীনে রফতানিকৃত ৪ হাজার ৭০০টিরও বেশি বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিনাশুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। এ বছরে এই সুবিধা আরও বিস্তৃত হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে তৈরি ৯৭ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমাদের বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি বন্ধুরা তাদের দেশের পণ্য চীনে রফতানির ক্ষেত্রে শক্তিশালী সমর্থন লাভ করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনান প্রদেশ গতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের বেশি অর্জিত হচ্ছে। ২০১২ সালে ইউনানের জিডিপি ছিল এক ট্রিলিয়ন ইউয়ানের (১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি। সেই প্রাচীন কাল থেকেই ইউনান ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। এ জন্য তাদের ভূখণ্ডগত নৈকট্যকে সাধুবাদ জানাতে হয়। দুটি জায়গাই প্রাচীন সিল্ক রোড দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, যদিও ইউনান দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা বিস্তৃত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে। চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী ইউনান প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে এবং চীনের অর্থনৈতিক দ্রুত প্রসারে অবগাহন করার সুযোগ পাওয়া যাবে এতে। প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় উভয় দেশ যৌথ বিবৃতিতে চীন-ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে ২৮০ কোটি জনসংখ্যার এই অর্থনৈতিক আবর্ত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সামনে অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আমি মনে করি, বাংলাদেশি বন্ধুরা বিশ্ব অর্থনীতির এই উন্নয়ন প্রবণতাকে দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি এবং চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার মঞ্চ হিসেবে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারবে। যৌথভাবে উদ্ভাবনা, সহযোগিতা ও উন্নয়ন কাজে রত থাকার মাধ্যমে আমি মনে করি আপনারা চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতায় উন্নতি সাধন ও দক্ষিণ এশিয়ার সুস্থিতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে নতুন ও বৃহত্তর অবদান রাখবেন।
স চি গুয়াংঝু :ঢাকায় চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ও ডিসিএম (ভাষান্তরিত)
No comments