জাতীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন লুপ্ত ধানের রক্ষক ইউসুফ
লুপ্ত ধানের রক্ষক ইউসুফ মোল্লা জাতীয়
পরিবেশ পদক পাচ্ছেন। ৬ জুন ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে
আয়োজিত পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি এই পদক গ্রহণ
করবেন।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামের এই ইউসুফ
মোল্লা বরেন্দ্র অঞ্চলের বহু পুরোনো দিনের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সব জনপ্রিয়
সুগন্ধি ধানসহ প্রায় ৬০ প্রজাতির ধানের বীজ নিজে চাষ করে সংরক্ষণ করে
চলেছেন। নিছক শখের বসে নয়, ভালোবেসে তিনি রক্ষা করে চলেছেন ধানগুলোকে। ৩০
বছর ধরে চলছে তাঁর এই ধান রক্ষার সংগ্রাম। এসব ধানের বেশির ভাগই খরা ও
বালাইসহিষ্ণু। তাঁকে নিয়ে গত ১৬ মার্চ প্রথম আলোয় ‘লুপ্ত ধানের রক্ষক’
শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ইউসুফ মোল্লা পরিবেশ
অধিদপ্তরের নজরে আসেন। জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন তিনি।
গত শুক্রবার ইউসুফ মোল্লার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার খবর পেয়ে গ্রামবাসী অত্যন্ত উৎফুল্ল। গ্রামবাসী জানান, বীজ সংরক্ষণ দেখে গ্রামের অনেকেই, এমন কী নিকট ব্যক্তিরাও ইউসুফ মোল্লাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতেন। তাঁরাই এখন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন। তাঁর ছোট ভাই জাবেদ আলী বলেন, ‘আমি নিজেই কত ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছি। পাগল বলেছি। বলেছি, “কী হোইবে এগলা কইর্যা। কী হোইবে পুরান জিনিষ (ধান) লিয়া আইস্যা। কে এগলার চাষ করবে? যে কাম কইর্যা টাকা পাওয়া যায় না। সে কামের কুনু দাম নাই।” তাঁর ছেলা-পিলারও এগলা কখনো মানেনি। তারাও ঠাট্টা-বিদ্রূপ কইর্যাছে।’
দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দুবইল মোড়ে প্রথম আলোর কাছে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে আসেন। গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাইদুর রহমান বলেন, ‘আসলেন বৃষ্টি বাদলের দিনে। গোটা গ্রাম ঘুরে দেখলে বুঝতে পারতেন গ্রামের মানুষ কতটা খুশি হয়েছে।’
গত শুক্রবার ইউসুফ মোল্লার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার খবর পেয়ে গ্রামবাসী অত্যন্ত উৎফুল্ল। গ্রামবাসী জানান, বীজ সংরক্ষণ দেখে গ্রামের অনেকেই, এমন কী নিকট ব্যক্তিরাও ইউসুফ মোল্লাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতেন। তাঁরাই এখন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন। তাঁর ছোট ভাই জাবেদ আলী বলেন, ‘আমি নিজেই কত ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছি। পাগল বলেছি। বলেছি, “কী হোইবে এগলা কইর্যা। কী হোইবে পুরান জিনিষ (ধান) লিয়া আইস্যা। কে এগলার চাষ করবে? যে কাম কইর্যা টাকা পাওয়া যায় না। সে কামের কুনু দাম নাই।” তাঁর ছেলা-পিলারও এগলা কখনো মানেনি। তারাও ঠাট্টা-বিদ্রূপ কইর্যাছে।’
দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দুবইল মোড়ে প্রথম আলোর কাছে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে আসেন। গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাইদুর রহমান বলেন, ‘আসলেন বৃষ্টি বাদলের দিনে। গোটা গ্রাম ঘুরে দেখলে বুঝতে পারতেন গ্রামের মানুষ কতটা খুশি হয়েছে।’
No comments