হাকিমপুরে লোহার আকরিকের খনি আবিষ্কার by জাহিদুল ইসলাম
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট
ইউনিয়নের মশিদপুরে লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনি আবিষ্কার করেছে
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।
সেখানে ভূগর্ভের এক হাজার ৮৮৮ ফুট নিচে প্রায় তিন মিটার পুরু ম্যাগনেটাইটের একাধিক স্তর পাওয়া গেছে।
জিএসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ভূগর্ভের খনিতে ম্যাগনেটাইট আবিষ্কার এই প্রথম। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পলিবাহিত এবং কক্সবাজারে সমুদ্রতটের বালুতে ম্যাগনেটাইটের উপস্থিতি আরও আগে নিশ্চিত হয়েছে। ম্যাগনেটাইট হচ্ছে চুম্বকজাতীয় একটি খনিজ পদার্থ, যার মধ্যে ‘আয়রন ডাই-অক্সাইড’ থাকে। হাকিমপুরে খনির প্রায় দেড় হাজার ফুট গভীরে চুনাপাথরেরও (লাইম স্টোন) সন্ধান পাওয়া গেছে।
জিএসবি ও হাকিমপুর কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. নেহাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, মশিদপুরের মহেশপুর সেতুর পশ্চিম পাশে কূপ (জিডিএইচ-৬৮) খনন করে ম্যাগনেটাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এই খনি এলাকা কতখানি বিস্তৃত এবং সেখানে কী পরিমাণ ম্যাগনেটাইট
মজুত রয়েছে, তা জানার জন্য অধিকতর অনুসন্ধানের কাজ চলছে। এ ছাড়া এই খনিতে হেমাটাইট ও লিমোনাইট নামক খনিজেরও উপস্থিতি রয়েছে।
জরিপকাজে নিয়োজিত সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মো. নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, খনিজ সম্পদ উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের আওতায় জরিপকাজ পরিচালিত হচ্ছে। গত ২২ মার্চ খননকাজ শুরু হয়ে এখনো চলছে। কূপ খনন করে যে খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে, তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জিএসবিসহ অন্যান্য গবেষণাগারে কাজ চলছে।
ম্যাগনেটাইট আবিষ্কারের খবর পেয়ে জিএসবির মহাপরিচালক সিরাজুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে মহাপরিচালক প্রথম আলোকে বলেন, এখানে মূল্যবান লৌহজাতীয় ধাতব পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে এখানে সমুদ্র ছিল। এ কারণে এখানে আগ্নেয়শিলাও ছিল। জমাট বাঁধা ওই শিলার ভেতরে খনিজ পদার্থ খোঁজা হচ্ছে। সেখানে ম্যাগনেটাইট পাওয়া গেছে, যা দেশের জন্য লাভজনক হবে। তিনি বলেন, ‘এই চুম্বকজাতীয় খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করার পাশাপাশি আমরা সেখানে চুনাপাথরেরও সন্ধান পেয়েছি, যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই খননকাজের ব্যয় সরকারের রাজস্ব খাত থেকে নির্বাহ হচ্ছে।
জিএসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ভূগর্ভের খনিতে ম্যাগনেটাইট আবিষ্কার এই প্রথম। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পলিবাহিত এবং কক্সবাজারে সমুদ্রতটের বালুতে ম্যাগনেটাইটের উপস্থিতি আরও আগে নিশ্চিত হয়েছে। ম্যাগনেটাইট হচ্ছে চুম্বকজাতীয় একটি খনিজ পদার্থ, যার মধ্যে ‘আয়রন ডাই-অক্সাইড’ থাকে। হাকিমপুরে খনির প্রায় দেড় হাজার ফুট গভীরে চুনাপাথরেরও (লাইম স্টোন) সন্ধান পাওয়া গেছে।
জিএসবি ও হাকিমপুর কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. নেহাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, মশিদপুরের মহেশপুর সেতুর পশ্চিম পাশে কূপ (জিডিএইচ-৬৮) খনন করে ম্যাগনেটাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এই খনি এলাকা কতখানি বিস্তৃত এবং সেখানে কী পরিমাণ ম্যাগনেটাইট
মজুত রয়েছে, তা জানার জন্য অধিকতর অনুসন্ধানের কাজ চলছে। এ ছাড়া এই খনিতে হেমাটাইট ও লিমোনাইট নামক খনিজেরও উপস্থিতি রয়েছে।
জরিপকাজে নিয়োজিত সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মো. নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, খনিজ সম্পদ উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের আওতায় জরিপকাজ পরিচালিত হচ্ছে। গত ২২ মার্চ খননকাজ শুরু হয়ে এখনো চলছে। কূপ খনন করে যে খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে, তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জিএসবিসহ অন্যান্য গবেষণাগারে কাজ চলছে।
ম্যাগনেটাইট আবিষ্কারের খবর পেয়ে জিএসবির মহাপরিচালক সিরাজুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে মহাপরিচালক প্রথম আলোকে বলেন, এখানে মূল্যবান লৌহজাতীয় ধাতব পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে এখানে সমুদ্র ছিল। এ কারণে এখানে আগ্নেয়শিলাও ছিল। জমাট বাঁধা ওই শিলার ভেতরে খনিজ পদার্থ খোঁজা হচ্ছে। সেখানে ম্যাগনেটাইট পাওয়া গেছে, যা দেশের জন্য লাভজনক হবে। তিনি বলেন, ‘এই চুম্বকজাতীয় খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করার পাশাপাশি আমরা সেখানে চুনাপাথরেরও সন্ধান পেয়েছি, যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই খননকাজের ব্যয় সরকারের রাজস্ব খাত থেকে নির্বাহ হচ্ছে।
No comments