ঋণ করে শ্বেতহস্তী কেনার পেছনে দুর্নীতির আলামত ভোগান্তির নাম ডেমু ট্রেন
সূচনাতেই গুমর ফাঁস হয়ে গিয়েছিল ডেমু
ট্রেনের। উদ্বোধনের দিনেই নষ্ট হয়ে জানিয়ে দিয়েছিল বাহন ও তার যাত্রীদের
ভবিষ্যৎ ভোগান্তির কথা। ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি এখন কেবল রেল কর্তৃপক্ষের
কাঁধেই নয়, দেশেরই বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এত বিপুল অর্থ দিয়ে এই খেলনা পরিবহন কেনার কী অর্থ থাকতে পারে?
গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৫ মে থেকে চট্টগ্রামেও চালু হয়েছে। রেলের লক্ষ্য ছিল ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় যাত্রীর চাপ কমানো। কিন্তু এখন এর পরিচালকেরা চেষ্টা করছেন, কীভাবে এতে সবচেয়ে কম যাত্রী পরিবহন করা যায়। ট্রেনটির সুবিধা কিছুই জানা যায়নি; বরং চলাচলে যত রকম অসুবিধা হওয়া সম্ভব, সবই এর আছে। প্রথমত, এত বিপুল অর্থ দিয়ে এত কম ধারণক্ষমতার বাহন কেনার যুক্তি কী? ডেমুতে চড়া কঠিন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি উঁচু হওয়ার জন্য, বাতাস চলাচল না করায় এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য গাড়ির ভেতর থাকাও কঠিন। এর মধ্যে যাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এই বাহন নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রতিকূল। এ বিষয়ে গতকাল রোববারের প্রথম আলোয় সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রেলের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের যাত্রীদের প্রয়োজন এবং অবকাঠামোর চরিত্র বিচার করেননি। তাঁরা কোম্পানি যেমন বানায়, সে অনুযায়ীই দরপত্র আহ্বান করেছেন এবং তেমন জিনিসই কিনেছেন; কার্যকারিতার দিকটি চিন্তা করেননি। অথচ এই কেনাকাটার নামেই ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা চীন সফর করেছেন। তাঁদের একটা অংশ আবার এই কাজে চার মাস চীনে অবস্থানও করেছে। এতই যদি তোড়জোড়, তাহলে অশ্বডিম্ব প্রসবের ব্যাখ্যা কী? কী ব্যাখ্যা দেশের অবকাঠামোর সঙ্গে বেমানান বাহন এনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ানোর? অথচ রেলের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, একটি ডেমুর টাকা দিয়ে চার-পাঁচটি ট্রেন কেনা যেত, যা হতো লাভজনক ও দরকারি। ঋণ করে চীন থেকে এই শ্বেতহস্তী কেনা এবং তা পুষতে গিয়ে অপচয়ের কল বসানোর একটাই ব্যাখ্যা: দুর্নীতি।
ডেমু ট্রেনের অপচয় ও দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৫ মে থেকে চট্টগ্রামেও চালু হয়েছে। রেলের লক্ষ্য ছিল ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় যাত্রীর চাপ কমানো। কিন্তু এখন এর পরিচালকেরা চেষ্টা করছেন, কীভাবে এতে সবচেয়ে কম যাত্রী পরিবহন করা যায়। ট্রেনটির সুবিধা কিছুই জানা যায়নি; বরং চলাচলে যত রকম অসুবিধা হওয়া সম্ভব, সবই এর আছে। প্রথমত, এত বিপুল অর্থ দিয়ে এত কম ধারণক্ষমতার বাহন কেনার যুক্তি কী? ডেমুতে চড়া কঠিন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি উঁচু হওয়ার জন্য, বাতাস চলাচল না করায় এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য গাড়ির ভেতর থাকাও কঠিন। এর মধ্যে যাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এই বাহন নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রতিকূল। এ বিষয়ে গতকাল রোববারের প্রথম আলোয় সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রেলের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের যাত্রীদের প্রয়োজন এবং অবকাঠামোর চরিত্র বিচার করেননি। তাঁরা কোম্পানি যেমন বানায়, সে অনুযায়ীই দরপত্র আহ্বান করেছেন এবং তেমন জিনিসই কিনেছেন; কার্যকারিতার দিকটি চিন্তা করেননি। অথচ এই কেনাকাটার নামেই ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা চীন সফর করেছেন। তাঁদের একটা অংশ আবার এই কাজে চার মাস চীনে অবস্থানও করেছে। এতই যদি তোড়জোড়, তাহলে অশ্বডিম্ব প্রসবের ব্যাখ্যা কী? কী ব্যাখ্যা দেশের অবকাঠামোর সঙ্গে বেমানান বাহন এনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ানোর? অথচ রেলের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, একটি ডেমুর টাকা দিয়ে চার-পাঁচটি ট্রেন কেনা যেত, যা হতো লাভজনক ও দরকারি। ঋণ করে চীন থেকে এই শ্বেতহস্তী কেনা এবং তা পুষতে গিয়ে অপচয়ের কল বসানোর একটাই ব্যাখ্যা: দুর্নীতি।
ডেমু ট্রেনের অপচয় ও দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
No comments