একই রকম সঙ্কটের মুখোমুখি
২০০৬ সালের ২১শে অক্টোবর প্রকাশিত
মানবজমিন-এর প্রধান শিরোনাম ছিল দুই নেত্রীকে নিয়েই। ‘আমরা নড়িব না’
শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল সে সময়ের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে
দুই নেত্রীর অনড় মনোভাব। যা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ৭ বছর পর ২০১৩ সালের জুনে দেশবাসী একই রকম সঙ্কটের মুখোমুখি।
দেশটা রসাতলে যাবে, যাক না। মানুষের ঘুম হারাম হবে, হোক না। ঈদ
ভেস্তে যাবে, যাক না। তবুও খেলারাম খেলে যা। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে যেতে
অনেকেই তাই ভয়ে দুরুদুরু। এবারের ঈদ মানুষের ত্রাসের কারণ হয় কিনা- তা নিয়ে
অনেকেই চিন্তিত। উদ্বিগ্ন। কারণ, নোবেল পুরস্কারের আনন্দ ফিকে হতে বেশি
সময় লাগবে না। এরপর চেপে বসবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আতঙ্ক। অক্টোবরের পর
মাঠে আসবে নাকি আরেকটি বিরোধী দল। বৈঠা-লাঠি বনাম কাস্তে। রাজায় রাজায়
যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।
২০০৬ সালের ঈদটি ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকতে পারে। কারণ ঈদের আগে আলোচনা সফল হলে এবারের ঈদের আনন্দের কোন সীমা থাকবে না। কারণ রাজনীতি, নোবেল ও ঈদ- এ তিন মিলে একটা ঐতিহাসিক ঈদ ভোগ করতে পারে মানুষ। কিন্তু অনেকেই যেন আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা বলছেন, দুই নেত্রীর বিদেশ সফরই প্রমাণ করে তারা জনগণের মুডকে কিভাবে গুরুত্ব দেন। যদি আলোচনা সফলই হবে তাহলে মানুষকে এভাবে টেনশনে রেখে তারা দিনের পর দিন বাইরে থাকতে পারতেন না। এ থেকেই বোঝা যায়, এ দেশের মানুষ ঝড়ে থাকুক অথবা তুফানে থাকুক, কিংবা থাকুক সুনামিতে- তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। অবশ্য অনেক আগেই এশিয়াউইক মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘টু লেডিস প্রব্লেম’। তারা অনেক বড় মাপের নেতা। কিন্তু তাদের কোন ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা নেই। মনে হলো, অমনি ছুটে গেলাম। গত কয়েক দিনে বিদেশ গিয়ে তারা যে যা করেছেন, তা ঠিক এ সময়ে করতেই হবে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না। যেসব প্রয়োজনীয় কাজ বা পুণ্য কামাই করেছেন বা করবেন, তা ঈদকে সামনে রেখে মানুষের আবেগ-অনুভূতির চেয়ে অনেক বিরাট ফ্যাক্টর। কিন্তু অতীত মোটেই ভাল নয়। ইতিহাসে সংলাপের নজির আছে। কিন্তু সংলাপ সফলের নজির নেই। রাজনৈতিক দুর্যোগ যতই আসুক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন। রাস্তায় বয়ে যাক রক্তগঙ্গা। লাশ পড়ুক। গাড়ি, দোকানপাটে আগুন ধরুক। পুড়ে যাক জীবন্ত মানুষ। তাতে কি! কোন কিছুতেই যে কোন কিছু নয়। তা তারা প্রমাণ করেছেন। আশির দশকের গোড়ায় দু’জনে প্রায় কাছাকাছি সময় রাজনীতিতে আসেন। সেই থেকে অনেক পর্ব এসেছে, যেখানে দুই নেত্রীর সম্মতির প্রয়োজন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’জনের সম্মতির অভাবে এ দেশের মানুষ অগণিত সহিংস হরতাল, আন্দোলন ও রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে। সামাজিক সন্ত্রাস, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সহিংসতা ’৮০ ও ’৯০ দশকের গোড়ায় বিরাট রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। সমগ্র দেশবাসী, সুশীল সমাজ, বিদেশী কূটনীতিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করেছিলেন। নানাভাবে আশা করেছিলেন, দুই নেত্রী তাদের ছাত্রসংগঠনকে কেন্দ্রীয় দলের লেজুড় হিসেবে নিয়োগ বন্ধ করে দিলেই ক্যাম্পাস শান্ত হবে। রাজপথেও আর সহিংসতা মাথাচাড়া দেবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে শান্ত করার জন্য দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসাতে পারেননি কেউ। পর্যবেক্ষকরা এবারও ধরেই নিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই তারা এক টেবিলে বসবেন না। এই একমত হওয়ার সঙ্গে অনেকেই অবশ্য উত্তরাধিকারের রাজনীতির মেলবন্ধন খুঁজে পান। কারণ, রাজনীতি যদি সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, তাহলে উত্তরাধিকারের রাজনীতি আপনাআপনি দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এ দুই নেত্রীই জানেন, উত্তরাধিকারের পরিবর্তে যদি রাজনৈতিক দলগুলোতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়, তাহলে ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করবে। আর তখন এসব প্রতিষ্ঠানের অন্তর্নিহিত চাপে পরিবারতন্ত্র ধীরে ধীরে শিথিল হতে শুরু করবে। সুতরাং যদিও দৃশ্যত নিজেদের মধ্যকার ঘোরতর বিদ্বেষ ও হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির কারণে ব্যবধানটা দেখা যায়, কিন্তু উত্তরাধিকারের রাজনীতির সমীকরণ অনুযায়ী তাদের মধ্যে এ ধরনের একটা অহিনকুল সম্পর্ক বজায় রাখা বা অন্য কথায় বাঁচিয়ে রাখাই স্বাভাবিক। দুই দলের সংলাপ যদি ভেঙে যায়, তাহলে দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি দুই নেত্রীর অনমনীয়তার কারণে অতীতে বহুবার সৃষ্টি হয়েছে। আরেকবার হলে ক্ষতি কি। ১৯৮৬ সালে সব রাজনৈতিক দল এক মঞ্চে আসতে আসতেও বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮৮ সালেও এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে দুই নেত্রীর অনৈক্যের কারণে বহু যানবাহন ও সরকারি ভবনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখাও ভিন্ন ভিন্নভাবেই দেয়া সম্ভব হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। গণতন্ত্র হচ্ছে আর্ট অব কমেপ্রামাইজ। কিন্তু এ দু’জন আপসহীন হতেই আগ্রহী। তাই অনেকেই বলছেন, দ্রব্যমূল্য আরও বাড়ুক, বিদ্যুৎ সমস্যা আরও তীব্র হোক, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি পরিবারের পরতে পারতে ঢুকে যাক, মানুষ না খেয়ে থাক, তবু হরতাল হোক। আওয়ামী লীগের হরতাল হবে, বিএনপির হরতাল হবে। প্রথম দল ১০টি গাড়িতে আগুন দিলে দ্বিতীয় দল ২০টি গাড়িতে আগুন দিয়ে টেক্কা দেবে। সুতরাং অনেকের আশঙ্কা, এরা এবারও আপসহীন হতে পারে। যা কিছু হোক এক রোম পুড়ে গেছে বলে ঢাকা অরক্ষিত থাকবে কেন? যা পোড়ে পুড়ুক। অনেকে ইদানীং এমন আফসোসের সঙ্গে কটাক্ষ করেন, ‘যা ঘটে ঘটুক, আমরা নড়িব না।’ একজন সংবিধান নিয়ে, অন্যজন ব্যক্তি পরিবর্তনের জন্য মরিয়া। সিস্টেম পরিবর্তনের চেয়ে ব্যক্তি সরানোর আগ্রহই দেখা যাচ্ছে বেশি। অথচ ব্যক্তি মুখ্য হওয়ার কথা নয়। তারা যদি নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনে সক্ষম হন তাহলে সংবিধানও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। দুনিয়ায় কত কিছু বদলায়, বাংলাদেশে বদলায় না। এটাই বোধ করি বাংলাদেশী রাজনীতির দুর্ভাগ্যজনক দিক।
২০০৬ সালের ঈদটি ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকতে পারে। কারণ ঈদের আগে আলোচনা সফল হলে এবারের ঈদের আনন্দের কোন সীমা থাকবে না। কারণ রাজনীতি, নোবেল ও ঈদ- এ তিন মিলে একটা ঐতিহাসিক ঈদ ভোগ করতে পারে মানুষ। কিন্তু অনেকেই যেন আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা বলছেন, দুই নেত্রীর বিদেশ সফরই প্রমাণ করে তারা জনগণের মুডকে কিভাবে গুরুত্ব দেন। যদি আলোচনা সফলই হবে তাহলে মানুষকে এভাবে টেনশনে রেখে তারা দিনের পর দিন বাইরে থাকতে পারতেন না। এ থেকেই বোঝা যায়, এ দেশের মানুষ ঝড়ে থাকুক অথবা তুফানে থাকুক, কিংবা থাকুক সুনামিতে- তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। অবশ্য অনেক আগেই এশিয়াউইক মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘টু লেডিস প্রব্লেম’। তারা অনেক বড় মাপের নেতা। কিন্তু তাদের কোন ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা নেই। মনে হলো, অমনি ছুটে গেলাম। গত কয়েক দিনে বিদেশ গিয়ে তারা যে যা করেছেন, তা ঠিক এ সময়ে করতেই হবে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না। যেসব প্রয়োজনীয় কাজ বা পুণ্য কামাই করেছেন বা করবেন, তা ঈদকে সামনে রেখে মানুষের আবেগ-অনুভূতির চেয়ে অনেক বিরাট ফ্যাক্টর। কিন্তু অতীত মোটেই ভাল নয়। ইতিহাসে সংলাপের নজির আছে। কিন্তু সংলাপ সফলের নজির নেই। রাজনৈতিক দুর্যোগ যতই আসুক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন। রাস্তায় বয়ে যাক রক্তগঙ্গা। লাশ পড়ুক। গাড়ি, দোকানপাটে আগুন ধরুক। পুড়ে যাক জীবন্ত মানুষ। তাতে কি! কোন কিছুতেই যে কোন কিছু নয়। তা তারা প্রমাণ করেছেন। আশির দশকের গোড়ায় দু’জনে প্রায় কাছাকাছি সময় রাজনীতিতে আসেন। সেই থেকে অনেক পর্ব এসেছে, যেখানে দুই নেত্রীর সম্মতির প্রয়োজন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’জনের সম্মতির অভাবে এ দেশের মানুষ অগণিত সহিংস হরতাল, আন্দোলন ও রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে। সামাজিক সন্ত্রাস, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সহিংসতা ’৮০ ও ’৯০ দশকের গোড়ায় বিরাট রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। সমগ্র দেশবাসী, সুশীল সমাজ, বিদেশী কূটনীতিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করেছিলেন। নানাভাবে আশা করেছিলেন, দুই নেত্রী তাদের ছাত্রসংগঠনকে কেন্দ্রীয় দলের লেজুড় হিসেবে নিয়োগ বন্ধ করে দিলেই ক্যাম্পাস শান্ত হবে। রাজপথেও আর সহিংসতা মাথাচাড়া দেবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে শান্ত করার জন্য দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসাতে পারেননি কেউ। পর্যবেক্ষকরা এবারও ধরেই নিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই তারা এক টেবিলে বসবেন না। এই একমত হওয়ার সঙ্গে অনেকেই অবশ্য উত্তরাধিকারের রাজনীতির মেলবন্ধন খুঁজে পান। কারণ, রাজনীতি যদি সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, তাহলে উত্তরাধিকারের রাজনীতি আপনাআপনি দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এ দুই নেত্রীই জানেন, উত্তরাধিকারের পরিবর্তে যদি রাজনৈতিক দলগুলোতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়, তাহলে ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করবে। আর তখন এসব প্রতিষ্ঠানের অন্তর্নিহিত চাপে পরিবারতন্ত্র ধীরে ধীরে শিথিল হতে শুরু করবে। সুতরাং যদিও দৃশ্যত নিজেদের মধ্যকার ঘোরতর বিদ্বেষ ও হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির কারণে ব্যবধানটা দেখা যায়, কিন্তু উত্তরাধিকারের রাজনীতির সমীকরণ অনুযায়ী তাদের মধ্যে এ ধরনের একটা অহিনকুল সম্পর্ক বজায় রাখা বা অন্য কথায় বাঁচিয়ে রাখাই স্বাভাবিক। দুই দলের সংলাপ যদি ভেঙে যায়, তাহলে দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি দুই নেত্রীর অনমনীয়তার কারণে অতীতে বহুবার সৃষ্টি হয়েছে। আরেকবার হলে ক্ষতি কি। ১৯৮৬ সালে সব রাজনৈতিক দল এক মঞ্চে আসতে আসতেও বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮৮ সালেও এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে দুই নেত্রীর অনৈক্যের কারণে বহু যানবাহন ও সরকারি ভবনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখাও ভিন্ন ভিন্নভাবেই দেয়া সম্ভব হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। গণতন্ত্র হচ্ছে আর্ট অব কমেপ্রামাইজ। কিন্তু এ দু’জন আপসহীন হতেই আগ্রহী। তাই অনেকেই বলছেন, দ্রব্যমূল্য আরও বাড়ুক, বিদ্যুৎ সমস্যা আরও তীব্র হোক, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি পরিবারের পরতে পারতে ঢুকে যাক, মানুষ না খেয়ে থাক, তবু হরতাল হোক। আওয়ামী লীগের হরতাল হবে, বিএনপির হরতাল হবে। প্রথম দল ১০টি গাড়িতে আগুন দিলে দ্বিতীয় দল ২০টি গাড়িতে আগুন দিয়ে টেক্কা দেবে। সুতরাং অনেকের আশঙ্কা, এরা এবারও আপসহীন হতে পারে। যা কিছু হোক এক রোম পুড়ে গেছে বলে ঢাকা অরক্ষিত থাকবে কেন? যা পোড়ে পুড়ুক। অনেকে ইদানীং এমন আফসোসের সঙ্গে কটাক্ষ করেন, ‘যা ঘটে ঘটুক, আমরা নড়িব না।’ একজন সংবিধান নিয়ে, অন্যজন ব্যক্তি পরিবর্তনের জন্য মরিয়া। সিস্টেম পরিবর্তনের চেয়ে ব্যক্তি সরানোর আগ্রহই দেখা যাচ্ছে বেশি। অথচ ব্যক্তি মুখ্য হওয়ার কথা নয়। তারা যদি নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনে সক্ষম হন তাহলে সংবিধানও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। দুনিয়ায় কত কিছু বদলায়, বাংলাদেশে বদলায় না। এটাই বোধ করি বাংলাদেশী রাজনীতির দুর্ভাগ্যজনক দিক।
No comments