ওয়াকআউটের পর আর ফেরেনি বিরোধী দল
ওয়াক-আউটের পর আর ফেরেনি বিরোধী দল। তাই
বিরোধী দলকে ছাড়াই সোমবার রাত পৌনে ন’টার দিকে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটা
পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
এর আগে ৮৩ কার্যদিবস পর সংসদে যোগ দেওয়ার মাত্র ২ ঘণ্টার মাথায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে বিরোধী দল।
মাগরিবের নামাজ বিরতির পর দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন।
অবশ্য তার আগে মাগরিবের নামাজ বিরতির সময়েই অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বাসার পথ ধরেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ‘সরকারি দলের আচরণের ওপর আমাদের সংসদে থাকা নির্ভর করছে’ মন্তব্য করলেও শেষ পর্যন্ত ওই কথা ঠিক থাকেনি। সরকারি দলের কোনরকম উস্কানি ছাড়াই তারা ওয়াক আউট করেন।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে বিরোধী দল কোন প্রস্তাব তুলবে না বলে যে ঘোষণা ফারুক দিয়েছিলেন তা শেষ পর্যন্ত ঠিক রেখেছেন।
কার্যত ওয়াক আউট ছাড়া মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিএনপির তেমন উল্লেখযোগ্য কোন অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি।
এর আগে বেলা ৫টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী দলের ৩৮ জন সংসদ সদস্য অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সরকার দলীয় সাংসদরা করতালি দিয়ে ও টেবিল চাপড়ে তাদের স্বাগত জানান। বিরোধী দলীয় নেতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান দেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির কয়েকজন সদস্য সম্পূরক প্রশ্নে অংশ নিলেও পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মওদুদ আহমদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে তার সভা-সমাবেশ বিষয়ক বক্তবের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে দু:খ প্রকাশ করে সেই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, “দু:খ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করলে আমরা সংসদ কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবো।”
মওদুদ এ দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়াক আউটের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে মওদুদ আহমদ বলেন, “গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এক মাস সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তার সেই ঘোষণায় মন্ত্রিসভায় কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকি ১৪ দলের বৈঠকেও তার ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।”
মওদুদ বলেন, “কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন হতে পারে না।”
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “তাহলে কি মুখের কথায় দেশ চলে? শুধু জরুরি অবস্থায় এ ঘোষণা দেওয়া যায়। তাহলে কি আমরা ধরে নেব অঘোষিত জরুরি আইন চলছে?”
মওদুদ বলেন, “আইনের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। কিন্তু আমার জানা মতে এরকম কোন আইন নেই।”
সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, “আপনাদের চিন্তা করা উচিত- কোন সরকারই শেষ সরকার নয়, কোন বিরোধী দলই শেষ বিরোধী দল নয়। একবার ভেবে দেখুন- আপনরা যদি বিরোধী দলে যান, আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সভা-সমাবেশের ঘোষণা দেন, তাহলে তখন আপনাদের কি অবস্থা দাঁড়াবে।”
সোমবার বিকেল ৫টায় শুরু হয় বর্তমান সংসদের ১৮তম এ অধিবেশন। এটি নবম জাতীয় সংসদ তথা মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশন। নবনির্বাচিত দেশের প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত প্রথম দিনের অধিবেশন চলে।
মাগরিবের নামাজ বিরতির পর দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন।
অবশ্য তার আগে মাগরিবের নামাজ বিরতির সময়েই অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বাসার পথ ধরেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ‘সরকারি দলের আচরণের ওপর আমাদের সংসদে থাকা নির্ভর করছে’ মন্তব্য করলেও শেষ পর্যন্ত ওই কথা ঠিক থাকেনি। সরকারি দলের কোনরকম উস্কানি ছাড়াই তারা ওয়াক আউট করেন।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে বিরোধী দল কোন প্রস্তাব তুলবে না বলে যে ঘোষণা ফারুক দিয়েছিলেন তা শেষ পর্যন্ত ঠিক রেখেছেন।
কার্যত ওয়াক আউট ছাড়া মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিএনপির তেমন উল্লেখযোগ্য কোন অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি।
এর আগে বেলা ৫টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী দলের ৩৮ জন সংসদ সদস্য অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সরকার দলীয় সাংসদরা করতালি দিয়ে ও টেবিল চাপড়ে তাদের স্বাগত জানান। বিরোধী দলীয় নেতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান দেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির কয়েকজন সদস্য সম্পূরক প্রশ্নে অংশ নিলেও পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মওদুদ আহমদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে তার সভা-সমাবেশ বিষয়ক বক্তবের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে দু:খ প্রকাশ করে সেই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, “দু:খ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করলে আমরা সংসদ কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবো।”
মওদুদ এ দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়াক আউটের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে মওদুদ আহমদ বলেন, “গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এক মাস সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তার সেই ঘোষণায় মন্ত্রিসভায় কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকি ১৪ দলের বৈঠকেও তার ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।”
মওদুদ বলেন, “কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন হতে পারে না।”
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “তাহলে কি মুখের কথায় দেশ চলে? শুধু জরুরি অবস্থায় এ ঘোষণা দেওয়া যায়। তাহলে কি আমরা ধরে নেব অঘোষিত জরুরি আইন চলছে?”
মওদুদ বলেন, “আইনের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। কিন্তু আমার জানা মতে এরকম কোন আইন নেই।”
সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, “আপনাদের চিন্তা করা উচিত- কোন সরকারই শেষ সরকার নয়, কোন বিরোধী দলই শেষ বিরোধী দল নয়। একবার ভেবে দেখুন- আপনরা যদি বিরোধী দলে যান, আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সভা-সমাবেশের ঘোষণা দেন, তাহলে তখন আপনাদের কি অবস্থা দাঁড়াবে।”
সোমবার বিকেল ৫টায় শুরু হয় বর্তমান সংসদের ১৮তম এ অধিবেশন। এটি নবম জাতীয় সংসদ তথা মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশন। নবনির্বাচিত দেশের প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত প্রথম দিনের অধিবেশন চলে।
No comments