পাঠকের মন্তব্য: অনলাইন থেকে তাঁরা এটা কী করলেন?
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com)
নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন
রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন।
তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
শুধু আশরাফুল একা নন
আইসিসির তদন্তে বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতের পাতানো খেলার ইতিবৃত্ত বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মো. মাসুদ কায়সার নিজের অনুভূতি জানিয়ে লিখেছেন: ক্রিকেটাররা ছিলেন আমাদের প্রিয় মানুষ। সমগ্র জাতি তাঁদের সূর্যসন্তান হিসেবে দেখত। কিন্তু তাঁরা এটা কী করলেন? এভাবে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সময় দেশ-মাতার কথা কি তাঁদের একবারও মনে পড়ল না? সমগ্র জাতির মুখে চুনকালি মাখানো এই পতিতদের মানুষ অবশ্যই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
পবিত্র মধু: ভেবেছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেট দুর্নীতিমুক্ত; কিন্তু আমার ভাবনা যে ভুল ছিল, তা এখন বুঝতে পারলাম। আমি চাই, যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়। কাউকে কোনো রকমের ছাড় দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি না।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষায় তাঁর অবদান
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাকিবুল হাসান লিখেছেন: শতভাগ সৎ মানুষ ছিলেন জিয়া। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজনকেও সুযোগ দিতেন না। হয়তো তাঁর নিয়ত খারাপ ছিল না, কিন্তু সামরিক কর্মকর্তার সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়ে পৃথিবী ও দেশকে মেপেছিলেন। এ কারণে সে বোঝায় ভুল ছিল অনেক। ভুলের মাশুল দিয়েছেন তিনি নিজের জীবন দিয়ে। ক্ষমতা হাতে পেয়েছেন অথচ সৎভাবে আয় করা অর্থে জীবন যাপন করতেন। এর নজির বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে খুব কম।
মো. তরিকুল ইসলাম: যিনি রাজাকারের পুনর্বাসন করেন, তিনি কীভাবে স্বাধীনতার রক্ষক হলেন? জিয়া তাঁর শাসনামলে পুঁজিবাদ ও রাজাকারদের উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যান। সে সময়ে বিদেশে অর্থ পাচার শুরু হয়, ধনীরা আরও ধনী হতে থাকে, গরিবেরা আরও গরিব হয়। তিনি যে ধারা শুরু করে গেছেন, তা আজও কেউ রুখতে পারেনি।
রেলের ওপর ওনার যত গোসসা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বিএনপি ট্রেন-বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, রেলওয়ের ওপরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আক্রোশ। এ প্রতিবেদনে টিপু মন্তব্য করেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একতরফা না বলে সাত বছর আগের কথা মনে করুন। সে সময় আপনারা যা করেছিলেন, তা মনে করার চেষ্টা করুন। আমরা দুই দলের কারও কাছেই জ্বালাও-পোড়াও আশা করি না।
মাহফুজা বুলবুল: আমাদের আর কত গোসসা দেখতে হবে, কে জানে! কারও গোসসার কি কমতি আছে? কেউ গোসসা করে রেলগাড়ি পোড়ান, আবার কেউ বাস। ইদানীং কেউ কেউ মানুষ পর্যন্ত গুম করে ফেলেন। আমরা কই যাই!
রতন জ্যোতি: ভালো হোক আর মন্দ, আপনাদের দুজনের গুণে আমরা মুগ্ধ। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আপনাদের বৃত্তে বন্দী। তাই দয়া করে সংলাপে বসুন। হরতাল দেওয়া বন্ধ করুন। দেশের বড়লোকেরা তো দুর্নীতি করে ভালোই আছে। আমরা গরিবেরা যাতে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, এবার এটার একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমরা বেশি কিছু চাই না।
তারেকের এক বক্তব্যেই সরকারের ভিত নড়ে উঠেছে: শামসুজ্জামান
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামানের দাবি, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে সরকারের ভিত নড়ে গেছে। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মনিরুজ্জামান লিখেছেন: তারেক রহমান দেশে এলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি নিজেই। কারণ, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তারেক রহমান একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।
হিমেল: তারেক রহমান যখন হাওয়া ভবনের কর্ণধার ছিলেন, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যার উৎসব শুরু হয়েছিল। ২১ আগস্টে বোমা হামলা হয়েছিল। ১০ ট্রাক অস্ত্র অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সারা দেশ জঙ্গি সংগঠনে ভরে গিয়েছিল। তাই তারেককে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?
মামুন খান: শামসুজ্জামানের কথা কিছুটা হলেও ঠিক। সরকার নিজের আমলনামার ব্যাপারে ঠিকই জানে। তাই বিরোধী কাউকে দেখলেই সরকারের পেটে মোচড় দিয়ে ওঠে।
রোববারের হরতালে উল্টো ফল
গত সপ্তাহে বিএনপির ডাকা হরতালে দলটি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির অনেক প্রবীণ নেতা। এ নিয়ে করা বিশেষ প্রতিবেদন পাঠের পর মতামত জানিয়ে ইবনে মিজান লিখেছেন: দেশে বিরোধী দলের প্রায় সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়ার পরও সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেনের কোনো অসুবিধা হয়নি। আর বিরোধী দল হরতাল দিয়েছে বলেই তারা মন্দ হয়ে গেল?
ফয়সাল মাহমুদ: এর আগে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় হরতাল ডাকার কারণে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাই বলে দেশ তো আগের জায়গায় বসে থাকেনি। এ দেশের মানুষই এ দেশের চালিকাশক্তি, শারমেন নন।
হাসান রাসেল: শারমেন দেখা করেননি, তাতে হয়েছে কী? এসব ব্যক্তি আমাদের দেশে আসেন আর আমাদের দলগুলো তাঁদের খাতিরযত্ন করে অস্থির করে তোলে। এ জন্যই তাঁরা নিজেদের হুজুর বলে মনে করেন। তাই বলি, বাঙালি এগিয়ে যাও। আমাদের সমস্যার সমাধান আমরাই করব।
পঙ্গু লিমন বনাম রাষ্ট্র
লিমন হোসেনকে অন্যায়ভাবে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলা এখনো চলছে। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন তাহরিম রিপন: লিমন আজ বাংলাদেশের প্রতীক। রাজনীতি না-করা সব তরুণ আজ লিমন। কারণ, র্যাব-পুলিশ মনে করে যাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই, তাদের মারলে কোনো দোষ নেই।
আবদুল্লাহ কাওসার: আমরা আসলে কোন সমাজে বাস করি, তা লিমনের ঘটনা থেকে বুঝতে একটুও সমস্যা হয় না। রাষ্ট্র যখন নাগরিকের ভালো করা বাদ দিয়ে তার অধিকার হরণের চেষ্টা করে, শৃঙ্খলা রক্ষার বদলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে, তখনই লিমনের মতো হতদরিদ্ররা অন্যায়ের শিকার হয়। ভালো লোকদের সন্ত্রাসী বানানো আর সন্ত্রাসীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষণা এখন আমাদের গা-সওয়া ব্যাপার হয়ে গেছে।
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
শুধু আশরাফুল একা নন
আইসিসির তদন্তে বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতের পাতানো খেলার ইতিবৃত্ত বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মো. মাসুদ কায়সার নিজের অনুভূতি জানিয়ে লিখেছেন: ক্রিকেটাররা ছিলেন আমাদের প্রিয় মানুষ। সমগ্র জাতি তাঁদের সূর্যসন্তান হিসেবে দেখত। কিন্তু তাঁরা এটা কী করলেন? এভাবে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সময় দেশ-মাতার কথা কি তাঁদের একবারও মনে পড়ল না? সমগ্র জাতির মুখে চুনকালি মাখানো এই পতিতদের মানুষ অবশ্যই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
পবিত্র মধু: ভেবেছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেট দুর্নীতিমুক্ত; কিন্তু আমার ভাবনা যে ভুল ছিল, তা এখন বুঝতে পারলাম। আমি চাই, যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়। কাউকে কোনো রকমের ছাড় দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি না।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষায় তাঁর অবদান
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাকিবুল হাসান লিখেছেন: শতভাগ সৎ মানুষ ছিলেন জিয়া। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজনকেও সুযোগ দিতেন না। হয়তো তাঁর নিয়ত খারাপ ছিল না, কিন্তু সামরিক কর্মকর্তার সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়ে পৃথিবী ও দেশকে মেপেছিলেন। এ কারণে সে বোঝায় ভুল ছিল অনেক। ভুলের মাশুল দিয়েছেন তিনি নিজের জীবন দিয়ে। ক্ষমতা হাতে পেয়েছেন অথচ সৎভাবে আয় করা অর্থে জীবন যাপন করতেন। এর নজির বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে খুব কম।
মো. তরিকুল ইসলাম: যিনি রাজাকারের পুনর্বাসন করেন, তিনি কীভাবে স্বাধীনতার রক্ষক হলেন? জিয়া তাঁর শাসনামলে পুঁজিবাদ ও রাজাকারদের উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যান। সে সময়ে বিদেশে অর্থ পাচার শুরু হয়, ধনীরা আরও ধনী হতে থাকে, গরিবেরা আরও গরিব হয়। তিনি যে ধারা শুরু করে গেছেন, তা আজও কেউ রুখতে পারেনি।
রেলের ওপর ওনার যত গোসসা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বিএনপি ট্রেন-বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, রেলওয়ের ওপরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আক্রোশ। এ প্রতিবেদনে টিপু মন্তব্য করেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একতরফা না বলে সাত বছর আগের কথা মনে করুন। সে সময় আপনারা যা করেছিলেন, তা মনে করার চেষ্টা করুন। আমরা দুই দলের কারও কাছেই জ্বালাও-পোড়াও আশা করি না।
মাহফুজা বুলবুল: আমাদের আর কত গোসসা দেখতে হবে, কে জানে! কারও গোসসার কি কমতি আছে? কেউ গোসসা করে রেলগাড়ি পোড়ান, আবার কেউ বাস। ইদানীং কেউ কেউ মানুষ পর্যন্ত গুম করে ফেলেন। আমরা কই যাই!
রতন জ্যোতি: ভালো হোক আর মন্দ, আপনাদের দুজনের গুণে আমরা মুগ্ধ। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আপনাদের বৃত্তে বন্দী। তাই দয়া করে সংলাপে বসুন। হরতাল দেওয়া বন্ধ করুন। দেশের বড়লোকেরা তো দুর্নীতি করে ভালোই আছে। আমরা গরিবেরা যাতে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, এবার এটার একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমরা বেশি কিছু চাই না।
তারেকের এক বক্তব্যেই সরকারের ভিত নড়ে উঠেছে: শামসুজ্জামান
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামানের দাবি, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে সরকারের ভিত নড়ে গেছে। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মনিরুজ্জামান লিখেছেন: তারেক রহমান দেশে এলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি নিজেই। কারণ, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তারেক রহমান একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।
হিমেল: তারেক রহমান যখন হাওয়া ভবনের কর্ণধার ছিলেন, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যার উৎসব শুরু হয়েছিল। ২১ আগস্টে বোমা হামলা হয়েছিল। ১০ ট্রাক অস্ত্র অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সারা দেশ জঙ্গি সংগঠনে ভরে গিয়েছিল। তাই তারেককে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?
মামুন খান: শামসুজ্জামানের কথা কিছুটা হলেও ঠিক। সরকার নিজের আমলনামার ব্যাপারে ঠিকই জানে। তাই বিরোধী কাউকে দেখলেই সরকারের পেটে মোচড় দিয়ে ওঠে।
রোববারের হরতালে উল্টো ফল
গত সপ্তাহে বিএনপির ডাকা হরতালে দলটি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির অনেক প্রবীণ নেতা। এ নিয়ে করা বিশেষ প্রতিবেদন পাঠের পর মতামত জানিয়ে ইবনে মিজান লিখেছেন: দেশে বিরোধী দলের প্রায় সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়ার পরও সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেনের কোনো অসুবিধা হয়নি। আর বিরোধী দল হরতাল দিয়েছে বলেই তারা মন্দ হয়ে গেল?
ফয়সাল মাহমুদ: এর আগে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় হরতাল ডাকার কারণে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাই বলে দেশ তো আগের জায়গায় বসে থাকেনি। এ দেশের মানুষই এ দেশের চালিকাশক্তি, শারমেন নন।
হাসান রাসেল: শারমেন দেখা করেননি, তাতে হয়েছে কী? এসব ব্যক্তি আমাদের দেশে আসেন আর আমাদের দলগুলো তাঁদের খাতিরযত্ন করে অস্থির করে তোলে। এ জন্যই তাঁরা নিজেদের হুজুর বলে মনে করেন। তাই বলি, বাঙালি এগিয়ে যাও। আমাদের সমস্যার সমাধান আমরাই করব।
পঙ্গু লিমন বনাম রাষ্ট্র
লিমন হোসেনকে অন্যায়ভাবে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলা এখনো চলছে। এ নিয়ে করা প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন তাহরিম রিপন: লিমন আজ বাংলাদেশের প্রতীক। রাজনীতি না-করা সব তরুণ আজ লিমন। কারণ, র্যাব-পুলিশ মনে করে যাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই, তাদের মারলে কোনো দোষ নেই।
আবদুল্লাহ কাওসার: আমরা আসলে কোন সমাজে বাস করি, তা লিমনের ঘটনা থেকে বুঝতে একটুও সমস্যা হয় না। রাষ্ট্র যখন নাগরিকের ভালো করা বাদ দিয়ে তার অধিকার হরণের চেষ্টা করে, শৃঙ্খলা রক্ষার বদলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে, তখনই লিমনের মতো হতদরিদ্ররা অন্যায়ের শিকার হয়। ভালো লোকদের সন্ত্রাসী বানানো আর সন্ত্রাসীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষণা এখন আমাদের গা-সওয়া ব্যাপার হয়ে গেছে।
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments