সদস্যপদ রক্ষার জন্য যাওয়া নয় আজ সংসদ অধিবেশন
জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সবার দৃষ্টি
থাকবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দিকে। যদি তারা প্রথম দিনেই অধিবেশনে যোগ
দেয় এবং এরপর কোনো কারণে যদি তাদের অধিবেশন বর্জন করতে না হয়, তাহলে
খানিকটা আশার আলো দেখা যাবে।
কারণ, এই অধিবেশন বাজেট
অধিবেশন এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হবে তিনটি সরকারের আমলে।
প্রথম কয়েক মাস বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। এরপর তিন মাসের জন্য দেশ পরিচালিত
হবে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস পরিচালিত হবে নতুন
নির্বাচিত সরকারের অধীনে। সুতরাং, এই বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ
খুব দরকার। আজ যারা বিরোধী দলে, কাল তারা সরকারি দলে থাকতেও পারে। তখন এ
বাজেট অনুসারেই তাদের দেশ চালাতে হবে।
কিন্তু শুধু সংসদ সদস্যপদ ধরে রাখার আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য যদি বিএনপি সংসদে যায়, তাহলে তাদের সংসদে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্য থাকবে না; বরং একধরনের সুবিধাবাদ বলে প্রতিভাত হবে। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলের সংসদ অধিবেশন বর্জনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে যে সমঝোতার কথা এত দিন আলোচনায় ছিল, সংসদে সেই সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই ক্ষীণতর হয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা এখনো এ প্রশ্নে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন। দুই পক্ষ অনড় অবস্থান থেকে সরে না এলে এই অধিবেশন কার্যত দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে মেঘাচ্ছন্ন করবে।
আশার কথা হলো, এখনো বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকার যদি ইতিবাচক মনোভাব দেখায় এবং নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তাদের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপনের অনুরোধ করে, তাহলেই কেবল তারা সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। এখন সরকারের দিক থেকে সমঝোতার মনোভাব দেখানো এবং অর্থবহ আলোচনার উদ্যোগ আসা দরকার।
সংসদের বর্তমান অধিবেশনটি হবে দেশের প্রথম নারী স্পিকারের অভিভাবকত্বে। তিনি বিএনপির দুজন আটক সাংসদকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁরা জামিন পেয়েছেন। তাঁদের কারামুক্তি ও সংসদ অধিবেশনে যোগদান দুই পক্ষের দূরত্ব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
সংসদে বিরোধী দলের প্রতি সরকারদলীয় সদস্যদের মনোভাবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অতীতে দেখা গেছে, অধিবেশনে সরকারদলীয় সদস্যদের একতরফা আক্রমণাত্মক বক্তৃতার শিকার হতে হয়েছে বিরোধীদলীয় সাংসদদের। এ কারণে তাঁরা বারবার বলেন, সংসদ অধিবেশনে যথোপযুক্ত মর্যাদা নিয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ তাঁরা পান না। এ বিষয়ে সরকারদলীয় সাংসদেরা সতর্ক থাকলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের উপস্থিতি অব্যাহত থাকুক। সমঝোতার সম্ভাবনা উজ্জ্বলতর হোক। এটাই সবার কাম্য।
কিন্তু শুধু সংসদ সদস্যপদ ধরে রাখার আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য যদি বিএনপি সংসদে যায়, তাহলে তাদের সংসদে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্য থাকবে না; বরং একধরনের সুবিধাবাদ বলে প্রতিভাত হবে। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলের সংসদ অধিবেশন বর্জনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে যে সমঝোতার কথা এত দিন আলোচনায় ছিল, সংসদে সেই সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই ক্ষীণতর হয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা এখনো এ প্রশ্নে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন। দুই পক্ষ অনড় অবস্থান থেকে সরে না এলে এই অধিবেশন কার্যত দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে মেঘাচ্ছন্ন করবে।
আশার কথা হলো, এখনো বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকার যদি ইতিবাচক মনোভাব দেখায় এবং নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তাদের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপনের অনুরোধ করে, তাহলেই কেবল তারা সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। এখন সরকারের দিক থেকে সমঝোতার মনোভাব দেখানো এবং অর্থবহ আলোচনার উদ্যোগ আসা দরকার।
সংসদের বর্তমান অধিবেশনটি হবে দেশের প্রথম নারী স্পিকারের অভিভাবকত্বে। তিনি বিএনপির দুজন আটক সাংসদকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁরা জামিন পেয়েছেন। তাঁদের কারামুক্তি ও সংসদ অধিবেশনে যোগদান দুই পক্ষের দূরত্ব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
সংসদে বিরোধী দলের প্রতি সরকারদলীয় সদস্যদের মনোভাবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অতীতে দেখা গেছে, অধিবেশনে সরকারদলীয় সদস্যদের একতরফা আক্রমণাত্মক বক্তৃতার শিকার হতে হয়েছে বিরোধীদলীয় সাংসদদের। এ কারণে তাঁরা বারবার বলেন, সংসদ অধিবেশনে যথোপযুক্ত মর্যাদা নিয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ তাঁরা পান না। এ বিষয়ে সরকারদলীয় সাংসদেরা সতর্ক থাকলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের উপস্থিতি অব্যাহত থাকুক। সমঝোতার সম্ভাবনা উজ্জ্বলতর হোক। এটাই সবার কাম্য।
No comments