গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুৎ অঙ্গীকার আছে, বাস্তবায়ন নেই
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ব্যর্থতায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামীণ এলাকার
বেশির ভাগ সংসদ সদস্য।
বেশির ভাগ সংসদ সদস্য।
সন্দেহ নেই, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
প্রচারাভিযানকালে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ
বাড়ানো এবং সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল।
উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির জন্য এটাই স্বাভাবিক। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর
প্রাচুর্য শহর ও গ্রাম সর্বত্র। এর ব্যবহারের জন্য চাই বিদ্যুৎ। গ্রামে
শিল্পের প্রসার ঘটছে। কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে। ঘরে ঘরে এখন
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার,
ল্যাপটপ। বাড়িতে পড়াশোনার কাজও এখন আর হারিকেনের আলোয় চলে না। সবারই যে চাই
বিদ্যুৎ!
এই বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বা আরইবির। কিন্তু তাদের নির্ভরতা রয়েছে সরকারের ওপর। ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। কিন্তু এ জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ চাই_ ধাপে ধাপে উৎপাদন এবং পাশাপাশি সংযোগ লাইন বাড়িয়ে চলা। কিন্তু রোববার সমকালে 'বিদ্যুতের খুঁটি বসেনি_ এমপিদের পেরেশানি' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল চলতি অর্থবছরেই আরইবি বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে দশ হাজার কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু অর্জনের হার চার ভাগের এক ভাগেরও কম। আরইবির অভিমত_ সরকার থেকে যতটা অর্থ মিলেছে, কাজ হয়েছে ততটুকুই। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার পেছনে আরও যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে_ প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাব, বিলম্বিত দরপত্র প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। কারণ ছাড়া কিছুই ঘটে না। নতুন বিদ্যুৎ লাইন পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ করতে না পারা এবং বিদ্যমান লাইনে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে মারাত্মক সমস্যার নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের জনগণ এ জন্য আরইবিকে যতটা না, তার চেয়ে ঢের বেশি অভিযুক্ত করবে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে এবং এ সূত্রে সরকারকেও। ভোটাররা সংসদ সদস্যকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করবেই। ক্ষোভের প্রকাশ ভোটের বাক্সেও ঘটতে পারে। তবে তাতে কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান নেই। নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না ঘটা হচ্ছে আসল ক্ষতি। তা দূর করায় চাই মহা আয়োজন। সংসদ সদস্যদেরও এ ক্ষেত্রে বিপুল ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার লক্ষণ যে নেই!
এই বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বা আরইবির। কিন্তু তাদের নির্ভরতা রয়েছে সরকারের ওপর। ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। কিন্তু এ জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ চাই_ ধাপে ধাপে উৎপাদন এবং পাশাপাশি সংযোগ লাইন বাড়িয়ে চলা। কিন্তু রোববার সমকালে 'বিদ্যুতের খুঁটি বসেনি_ এমপিদের পেরেশানি' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল চলতি অর্থবছরেই আরইবি বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে দশ হাজার কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু অর্জনের হার চার ভাগের এক ভাগেরও কম। আরইবির অভিমত_ সরকার থেকে যতটা অর্থ মিলেছে, কাজ হয়েছে ততটুকুই। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার পেছনে আরও যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে_ প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাব, বিলম্বিত দরপত্র প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। কারণ ছাড়া কিছুই ঘটে না। নতুন বিদ্যুৎ লাইন পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ করতে না পারা এবং বিদ্যমান লাইনে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে মারাত্মক সমস্যার নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের জনগণ এ জন্য আরইবিকে যতটা না, তার চেয়ে ঢের বেশি অভিযুক্ত করবে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে এবং এ সূত্রে সরকারকেও। ভোটাররা সংসদ সদস্যকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করবেই। ক্ষোভের প্রকাশ ভোটের বাক্সেও ঘটতে পারে। তবে তাতে কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান নেই। নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না ঘটা হচ্ছে আসল ক্ষতি। তা দূর করায় চাই মহা আয়োজন। সংসদ সদস্যদেরও এ ক্ষেত্রে বিপুল ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার লক্ষণ যে নেই!
No comments