উন্নত বিশ্বের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগিতা বাড়ান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহস্রাব্দ
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) ও ২০১৫-উত্তর লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা বাড়ানোর
জন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার
সকালে রাজধানীতে হোটেল রূপসী বাংলায় ২০১৫-উত্তর উন্নয়ন এজেন্ডা বিষয়ে
জাতীয় সংলাপ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ (জিইডি) এই সংলাপের আয়োজন করে। পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও রিও+২০ ড্রাফটিং কমিটির জাতীয় আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) হ্রাস পাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহু কর্মসূচি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি লাভ করতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-উত্তর উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলার ওপর সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদানের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলা কর্মসূচির পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হচ্ছে। তারপর বিশ্ব উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো কী হবে—এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলো আলোচনা করে যাচ্ছে। বিশ্ব আলোচনায় প্রথম সারির একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ বিষয়ে অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গড়ে সাড়ে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে। দারিদ্র্য দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার হার ও মান বেড়েছে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। শিশুমৃত্যু হার ও মাতৃমৃত্যু হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ সাফল্য অর্জন করায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এমডিজি পুরস্কার দিয়েছে। দেশ সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের পণ্য ও সেবার অবাধ বিশ্ববাজার নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর উত্থাপিত ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মডেলের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই উন্নয়ন মডেলে তিনি ছয়টি পরস্পর ক্রিয়াশীল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাসকরণ, বঞ্চনার অবসান ঘটানো, সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, মানবসম্পদের দ্রুত উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস নির্মূলকরণ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী উন্নয়ন এজেন্ডায় এই বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউএনডিপি এমডিজি অর্জনে সফল ১৮টি অগ্রসরমাণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, এ অর্জন ধরে রাখতে হবে এবং সেটিই হবে আমাদের ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ (জিইডি) এই সংলাপের আয়োজন করে। পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও রিও+২০ ড্রাফটিং কমিটির জাতীয় আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) হ্রাস পাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহু কর্মসূচি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি লাভ করতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-উত্তর উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলার ওপর সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদানের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলা কর্মসূচির পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হচ্ছে। তারপর বিশ্ব উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো কী হবে—এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলো আলোচনা করে যাচ্ছে। বিশ্ব আলোচনায় প্রথম সারির একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ বিষয়ে অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গড়ে সাড়ে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে। দারিদ্র্য দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার হার ও মান বেড়েছে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। শিশুমৃত্যু হার ও মাতৃমৃত্যু হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ সাফল্য অর্জন করায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এমডিজি পুরস্কার দিয়েছে। দেশ সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের পণ্য ও সেবার অবাধ বিশ্ববাজার নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর উত্থাপিত ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মডেলের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই উন্নয়ন মডেলে তিনি ছয়টি পরস্পর ক্রিয়াশীল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাসকরণ, বঞ্চনার অবসান ঘটানো, সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, মানবসম্পদের দ্রুত উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস নির্মূলকরণ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী উন্নয়ন এজেন্ডায় এই বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউএনডিপি এমডিজি অর্জনে সফল ১৮টি অগ্রসরমাণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, এ অর্জন ধরে রাখতে হবে এবং সেটিই হবে আমাদের ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য।
No comments