পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান by আনোয়ার পারভেজ
ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় বগুড়ার সরকারি
আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞান ও কলা ভবন
পরিদর্শন করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ
দ্রুত খালি করার পরামর্শ দিলেও এখনো সেখানে পাঠদান চলছে।
একই অবস্থায় জেলার আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ফাটল দেখা দেওয়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভবনগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে।
মিজানুর রহমান জানান, আজিজুল হক কলেজের বিজ্ঞান ও কলা ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দেওয়ায় বিজ্ঞান ভবনের তিনটি এবং কলা ভবনের কয়েকটি কক্ষ সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দ্রুত সেখান থেকে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কলেজ অধ্যক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ দল চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজিজুল হক কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি এখনো খালি করা হয়নি। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা নিয়ে সেখানে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছেন রসায়ন, পদার্থ ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মিলি আখতার জানান, কয়েক বছর আগেই ভবনটিতে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দিয়েছে। অথচ এ রকম ভবনেই পাঠদান চলছে। রসায়ন বিভাগের প্রধান মো. শাহজাহান আলী বলেন, ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবন পরিদর্শন করে কক্ষগুলো থেকে তিনটি বিভাগের কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অন্য ভবনে এসব বিভাগ স্থানান্তরের সুযোগ না থাকায় সেখানেই পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাস প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য কলেজের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনাতলা উপজেলার হরিখালী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের দ্বিতল ভবন ও বিজ্ঞান ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দিয়েছে। জরাজীর্ণ এ ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বের হয়ে পড়েছে ছাদের রড। তার পরও চলছে পাঠদান। এ ছাড়া শিক্ষক বিশ্রামাগারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, সাভারে ভবনধসে বিপুল প্রাণহানির দৃশ্য টেলিভিশনে দেখার পর তারা ভয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এ জন্য পাঠদানে মন বসাতে পারে না। বিদ্যালয়ের প্রধান আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, শ্রেণীকক্ষের অভাবে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরানো যাচ্ছে না।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার মণ্ডল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর পেয়ে সেসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে জোড়গাছা ও সুজায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং কর্পূর উচ্চবিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তা সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র পাঠদান করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হরিখালী উচ্চবিদ্যালয়ও দ্রুত পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নন্দীগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের ইউএনও আসিব আহসান বলেন, এসব কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ভুষকোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনও সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র পাঠদান করাতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ফাটল দেখা দেওয়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভবনগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে।
মিজানুর রহমান জানান, আজিজুল হক কলেজের বিজ্ঞান ও কলা ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দেওয়ায় বিজ্ঞান ভবনের তিনটি এবং কলা ভবনের কয়েকটি কক্ষ সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দ্রুত সেখান থেকে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কলেজ অধ্যক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ দল চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজিজুল হক কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি এখনো খালি করা হয়নি। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা নিয়ে সেখানে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছেন রসায়ন, পদার্থ ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মিলি আখতার জানান, কয়েক বছর আগেই ভবনটিতে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দিয়েছে। অথচ এ রকম ভবনেই পাঠদান চলছে। রসায়ন বিভাগের প্রধান মো. শাহজাহান আলী বলেন, ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবন পরিদর্শন করে কক্ষগুলো থেকে তিনটি বিভাগের কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অন্য ভবনে এসব বিভাগ স্থানান্তরের সুযোগ না থাকায় সেখানেই পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাস প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য কলেজের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনাতলা উপজেলার হরিখালী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের দ্বিতল ভবন ও বিজ্ঞান ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখা দিয়েছে। জরাজীর্ণ এ ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বের হয়ে পড়েছে ছাদের রড। তার পরও চলছে পাঠদান। এ ছাড়া শিক্ষক বিশ্রামাগারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, সাভারে ভবনধসে বিপুল প্রাণহানির দৃশ্য টেলিভিশনে দেখার পর তারা ভয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এ জন্য পাঠদানে মন বসাতে পারে না। বিদ্যালয়ের প্রধান আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, শ্রেণীকক্ষের অভাবে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরানো যাচ্ছে না।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার মণ্ডল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর পেয়ে সেসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে জোড়গাছা ও সুজায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং কর্পূর উচ্চবিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তা সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র পাঠদান করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হরিখালী উচ্চবিদ্যালয়ও দ্রুত পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নন্দীগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশে পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের ইউএনও আসিব আহসান বলেন, এসব কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ভুষকোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনও সাময়িক পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অন্যত্র পাঠদান করাতে বলা হয়েছে।
No comments