গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট
সীমান্তের ওপারে উজান থেকে পানি নেমে আসায়
পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে
রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এ
ছাড়া একটানা ভারী বর্ষণের কারণে ভারতের গজলডোবা বাঁধের গেটগুলো খুলে
দেওয়ায় রংপুর অঞ্চলের তিস্তা, ঘাঘট, ধরলা, যমুনেশ্বরীসহ কয়েকটি নদ-নদীর
পানি আকস্মিকভাবে বেড়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন মণ্ডল জানান, গত শুক্রবার তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পর্যন্ত এ এলাকায় পানি বাড়বে এবং নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘণ্টা, মর্ণেয়া—এই ছয়টি ইউনিয়নসহ কাউনিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাদামখেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার সরজেমিনে দেখা গেছে, গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ইছলি ও শংকরদহ গ্রামের কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইছলি গ্রামের এক কিশোরী তার ছোট ভাইকে কোলে করে নিরাপদ স্থানে ছুটছে। আবার কেউ কেউ শূন্য বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে; কেউ কেউ পানির মধ্যেই বাড়িতে বসবাস করছে। ইছলি গ্রামের কৃষক এজাজুল মিয়া জানান, হঠাৎ করে পানি বাড়ায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। আরও অনেকেই এমন দুর্ভোগের কথা জানান।
এদিকে গঙ্গাচড়া সদর ইউনয়িনের গান্নারপাড় এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি উঠেছে। পানি উঠেছে গান্নারপাড় বাজারসহ বেশ কিছু বাড়িতে। রোকসানা পারভীন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, পানি ওঠায় ক্লিনিকের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাকা, জয়রাম ওঝার চরে পানি ওঠায় সেখানকার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১০০ একর উঠতি বাদামখেত তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাদামচাষি মোশাররফ হোসেন, দুলু মিয়া, আকবর হোসেনসহ কয়েকজন জানান, বাদামখেত তলিয়ে যাওয়ায় তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সাল হাসান ও গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, আকস্মিক পানি বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগে পড়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন মণ্ডল জানান, গত শুক্রবার তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পর্যন্ত এ এলাকায় পানি বাড়বে এবং নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘণ্টা, মর্ণেয়া—এই ছয়টি ইউনিয়নসহ কাউনিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাদামখেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার সরজেমিনে দেখা গেছে, গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ইছলি ও শংকরদহ গ্রামের কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইছলি গ্রামের এক কিশোরী তার ছোট ভাইকে কোলে করে নিরাপদ স্থানে ছুটছে। আবার কেউ কেউ শূন্য বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে; কেউ কেউ পানির মধ্যেই বাড়িতে বসবাস করছে। ইছলি গ্রামের কৃষক এজাজুল মিয়া জানান, হঠাৎ করে পানি বাড়ায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। আরও অনেকেই এমন দুর্ভোগের কথা জানান।
এদিকে গঙ্গাচড়া সদর ইউনয়িনের গান্নারপাড় এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি উঠেছে। পানি উঠেছে গান্নারপাড় বাজারসহ বেশ কিছু বাড়িতে। রোকসানা পারভীন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, পানি ওঠায় ক্লিনিকের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাকা, জয়রাম ওঝার চরে পানি ওঠায় সেখানকার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১০০ একর উঠতি বাদামখেত তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাদামচাষি মোশাররফ হোসেন, দুলু মিয়া, আকবর হোসেনসহ কয়েকজন জানান, বাদামখেত তলিয়ে যাওয়ায় তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সাল হাসান ও গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, আকস্মিক পানি বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগে পড়েছে।
No comments