আল-কায়েদার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ষড়যন্ত্রনস্যাৎ
ইরাক সরকার গতকাল রোববার বলেছে, তারা আল-কায়েদার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল-কায়েদার পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরাকি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির তিনটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এসব রাসায়নিক অস্ত্র ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার। ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-আসকারি বলেন, সেনা গোয়েন্দারা আল-কায়েদার পাঁচ সদস্যের কর্মকাণ্ডের ওপর প্রায় তিন মাস নজরদারি চালায়। তিনটি কারখানায় সারিন ও মাস্টার্ড গ্যাসসহ রাসায়নিক অস্ত্রে ব্যবহারের উপযোগী গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছিল। আল-আসকারি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা আল-কায়েদার অন্য শাখা থেকে নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ-সংক্রান্ত খবর সম্প্রচারের সময় কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা চারজনকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের হাত পেছনে বাঁধা ছিল। ধারণা করা হয়, আল-কায়েদার মধ্যে শুধু তাদের ইরাক শাখাই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। দেশটিতে ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত ১৬টি নিম্নমানের ক্লোরিন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সে সময় মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, আল-কায়েদা জঙ্গিরাই এসব বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্লোরিন গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে টানার কারণে শত শত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিবিসি।
No comments