হলিউড সুপারম্যানের অন্তর্বাস গেল কোথায়?
সুপারম্যান কেন তার অন্তর্বাস বাইরে
পরে?—এই প্রশ্নটার বয়স প্রায় এক শতাব্দী। এর একটা অসাধারণ উত্তরও আছে: এ
কারণেই সে ‘ম্যান’ নয়, ‘সুপারম্যান’!
কমিক বই থেকে রুপালি পর্দায় এসেছে অনেক পরে।
কমিক বই থেকে রুপালি পর্দায় এসেছে অনেক পরে।
তবে ১৯৫১ সাল থেকে সেলুলয়েডের ফিতায় হাজির হওয়া সুপারম্যান কিন্তু শুরু
থেকেই ঐতিহ্য মেনে এসেছে। এমনকি ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া সুপারম্যান
রিটার্নস-এও ব্র্যান্ডন রাউথ অবলীলায় হাজির হয়েছিলেন লাল রঙের কৌপিন পরেই।
চোখ ধাঁধানো কটকটে লাল রংটাকে অবশ্য ঘষেমেজে চোখ-সওয়া করা হয়েছিল। তবে
শাস্ত্র লঙ্ঘন করার ‘দুঃসাহস’ তখন পর্যন্ত কেউ দেখায়নি।
সেদিক দিয়ে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন পরিচালক জ্যাক স্নাইডার। নতুনভাবে এই সুপারহিরোকে রুপালি পর্দায় হাজির করার দায়িত্ব নিয়েই আক্ষরিক অর্থেই ‘নতুন সুপারম্যান’ হাজির করলেন মার্কিন পরিচালক। সুপারম্যানের অন্তর্বাসটাই ভ্যানিশ করে দিলেন স্নাইডার! আর এই চমকে দেওয়া কাণ্ডে সবচেয়ে খুশি নিঃসন্দেহে হেনরি ক্যাভিল। প্যান্টের ওপর অন্তর্বাস পরার ‘বিব্রতকর’ ঘটনা থেকে যে বেঁচে গেছেন তিনি!
৩০ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই অভিনেতা তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ‘ব্রেক’টা পেয়েছেন এই ছবিতেই। প্রথমে যখন শুনলেন, তাঁকেই করতে হবে নতুন সুপারম্যান, আনন্দে ডিগবাজি দিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু খানিক পরেই মনে উদয় হলো লাল রঙা অন্তর্বাসটির ছবি। পরে যখন শুনলেন স্নাইডারের পরিকল্পনা, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল তাঁর।
গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে সুপারম্যানের নতুন ছবি ম্যান অব স্টিল। যাঁরা আগে থেকে খোঁজখবর রাখেননি, থিয়েটারে গিয়ে নতুন সুপারম্যানকে দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। সে কী! সুপারম্যানের বিখ্যাত অন্তর্বাস কোথায় গেল? অন্তর্বাসটা ভেতরে রেখেও যে সুপারহিরোগিরি দিব্যি করা যায়, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন ক্যাভিল। আসলে প্রমাণ করেছেন স্নাইডারই। কেন এমন ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত? স্নাইডারের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘এটা এখন এই সময়ের সঙ্গে মানায় না।’
১৯৩৮ সালে জেরি সিগেল আর জো সুস্টার পৃথিবীর প্রথম সুপারহিরোকে বানানোর সময় কী ভেবে এমন একটা কাণ্ড করেছিলেন কে জানে। তবে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত পরিধেয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে না রাখার এই ফ্যাশনটি পরে অনুসরণ করেছেন আরও অনেক সুপারহিরো। ব্যাটম্যান-রবিন, এক্স-মেন, থর, এমনকি হালের গ্রিন ল্যান্টার্নও।
ক্যাভিল মনে করেন, সিদ্ধান্তটি একেবারেই ঠিক। এরই মধ্যে নতুন একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। তাদের কাছে নতুন সুপারম্যানকে এভাবেই হাজির করা জরুরি ছিল, ‘অনেক শিশু এখন বেড়ে উঠছে, যারা আগের সুপারম্যানদের প্রতিমূর্তি দেখেনি বা এ সম্পর্কে জানেই না। তারা হয়তো সুপারম্যানকে এভাবে দেখলে অবাক হয়ে ভাববে, “ব্যাপারটা কী, উনি অন্তর্বাসটা ওপরে পরেছেন কেন!”
নতুন বেশের নতুন সুপারম্যানকে কিন্তু ভালোভাবেই নিয়েছে দর্শকেরা। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই উঠে এসেছে বক্স অফিসের শীর্ষে। তবে অনেকের ঘোর এখনো কাটছে না। তাদের বিস্ময়মাখা প্রশ্ন, ‘অন্তর্বাসটা গেল কোথায়!’
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
সেদিক দিয়ে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন পরিচালক জ্যাক স্নাইডার। নতুনভাবে এই সুপারহিরোকে রুপালি পর্দায় হাজির করার দায়িত্ব নিয়েই আক্ষরিক অর্থেই ‘নতুন সুপারম্যান’ হাজির করলেন মার্কিন পরিচালক। সুপারম্যানের অন্তর্বাসটাই ভ্যানিশ করে দিলেন স্নাইডার! আর এই চমকে দেওয়া কাণ্ডে সবচেয়ে খুশি নিঃসন্দেহে হেনরি ক্যাভিল। প্যান্টের ওপর অন্তর্বাস পরার ‘বিব্রতকর’ ঘটনা থেকে যে বেঁচে গেছেন তিনি!
৩০ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই অভিনেতা তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ‘ব্রেক’টা পেয়েছেন এই ছবিতেই। প্রথমে যখন শুনলেন, তাঁকেই করতে হবে নতুন সুপারম্যান, আনন্দে ডিগবাজি দিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু খানিক পরেই মনে উদয় হলো লাল রঙা অন্তর্বাসটির ছবি। পরে যখন শুনলেন স্নাইডারের পরিকল্পনা, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল তাঁর।
গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে সুপারম্যানের নতুন ছবি ম্যান অব স্টিল। যাঁরা আগে থেকে খোঁজখবর রাখেননি, থিয়েটারে গিয়ে নতুন সুপারম্যানকে দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। সে কী! সুপারম্যানের বিখ্যাত অন্তর্বাস কোথায় গেল? অন্তর্বাসটা ভেতরে রেখেও যে সুপারহিরোগিরি দিব্যি করা যায়, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন ক্যাভিল। আসলে প্রমাণ করেছেন স্নাইডারই। কেন এমন ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত? স্নাইডারের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘এটা এখন এই সময়ের সঙ্গে মানায় না।’
১৯৩৮ সালে জেরি সিগেল আর জো সুস্টার পৃথিবীর প্রথম সুপারহিরোকে বানানোর সময় কী ভেবে এমন একটা কাণ্ড করেছিলেন কে জানে। তবে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত পরিধেয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে না রাখার এই ফ্যাশনটি পরে অনুসরণ করেছেন আরও অনেক সুপারহিরো। ব্যাটম্যান-রবিন, এক্স-মেন, থর, এমনকি হালের গ্রিন ল্যান্টার্নও।
ক্যাভিল মনে করেন, সিদ্ধান্তটি একেবারেই ঠিক। এরই মধ্যে নতুন একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। তাদের কাছে নতুন সুপারম্যানকে এভাবেই হাজির করা জরুরি ছিল, ‘অনেক শিশু এখন বেড়ে উঠছে, যারা আগের সুপারম্যানদের প্রতিমূর্তি দেখেনি বা এ সম্পর্কে জানেই না। তারা হয়তো সুপারম্যানকে এভাবে দেখলে অবাক হয়ে ভাববে, “ব্যাপারটা কী, উনি অন্তর্বাসটা ওপরে পরেছেন কেন!”
নতুন বেশের নতুন সুপারম্যানকে কিন্তু ভালোভাবেই নিয়েছে দর্শকেরা। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই উঠে এসেছে বক্স অফিসের শীর্ষে। তবে অনেকের ঘোর এখনো কাটছে না। তাদের বিস্ময়মাখা প্রশ্ন, ‘অন্তর্বাসটা গেল কোথায়!’
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
No comments