এখনো আটকা ৬৬ হাজার তীর্থযাত্রী
ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বন্যাজনিত বিভিন্ন কারণে গতকাল বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে পৌঁছেছে। অতিবর্ষণকবলিত উত্তরাখন্ড রাজ্যের হিমালয়সংলগ্ন এলাকায় ৬৫ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী আটকা পড়ে আছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ক্ষমতাসীন জোট ইউপিএর সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী গতকাল বিকেলে হেলিকপ্টারে করে উত্তরাখন্ডের তীর্থ শহর কেদারনাথ পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তাঁরা আটকে পড়া তীর্থযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃষ্টি কমে আসার পর গতকাল হেলিকপ্টারে করে সেনাবাহিনী উত্তরাখন্ডে আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের মধ্যে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১১ হাজার জনকে। গোটা উত্তরাখন্ড রাজ্য এখন বন্যার কবলে। বন্যায় সৃষ্ট ভূমিধসসহ বিভিন্ন কারণে সেখানে এ পর্যন্ত ১০২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বহু লোক আহত ও কয়েক শ বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হতাহতের বাকি ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাতায়াতের সময় দুর্যোগের কবলে পড়েছেন ৬৫ হাজার মানুষ। তাঁরা রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি ও উত্তরাক্ষী জেলায় আটকা পড়েছেন। বিরূপ আবহাওয়া ও সড়কযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় সেখানকার বিখ্যাত চরধাম যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ার কারণে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাজমহলের জন্য বিখ্যাত আগ্রায়ও বন্যার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে যমুনা নদীর তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে ২৪ ঘণ্টার জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments