অনলাইন থেকে-মোদি বনাম তাঁর দল
নরেন্দ্র মোদির উত্থানের বিশ্লেষণ হচ্ছে
অনেক। আর সেই আলোচনায় বেশ কিছু প্রশ্নও বেরিয়ে আসছে। বিজেপি এখন কোন
অবস্থানে নিজেকে দাঁড় করাবে? এর আদর্শ, নীতি ও রাজনীতিকে কিভাবে তুলনা করা
হবে বাজপেয়ী ও আদভানি আমলের সঙ্গে?
দীর্ঘ সময়ে দলটি কতটা পথ পাড়ি দিয়েছে, কী লক্ষ্য স্থির হয়েছে দলটির? বাঁয়ে, ডানে, সামনে না পেছনে গেছে সংগঠনটি?
ধরা যাক, দলটি এগিয়ে গেছে ২০০৪ সালের তুলনায়। ওই সময় দলটি অবস্থান হারায়। পরিণতি হয়েছিল বাজপেয়ির পরাজয়। বিজেপিতে মোদির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ঘটনা বর্ণনা করার আগে দেখতে হবে বাজপেয়ি কিভাবে নিজের ভাবমূর্তি হারিয়েছেন, সেটাও। আদভানি অহংবোধে নিমজ্জিত হলেন, এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করলেন, যা ছিল ভ্রান্তিতে ভরা। ফল হলো, তাঁদের কাছে যা অপ্রত্যাশিত। তাঁদের নীতি-কৌশল এনডিএকে সুফল পাওয়ার পথ করে দিল ক্ষমতায় আসার জন্য। তখন তিনি চিন্তা করলেন, নতুনদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। সেখানে বাজপেয়ি-সংশ্লিষ্টদেরও তিনি রাখবেন। তবে তাঁদের সংখ্যা বেশি হবে না। উদ্দেশ্য, চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুনত্ব আনা। রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থান ও বিদেশনীতি, বিশেষ করে পাকিস্তান বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির কথা চিন্তা করলেন। আর এ চারটি বিষয়ের প্রতিটিতেই বিজেপি উদারদৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। বলতে দ্বিধা নেই, বিজেপি অনেক আধুনিক চিন্তাকেই স্থান দিতে সক্ষম হলো। জিন্নাহ সম্পর্কিত বিবৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আদভানি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হলেন।
প্রথম পরিবর্তন এলো পাকিস্তান সম্পর্কিত। দলটি শান্তি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হলো। স্থিতিশীল পাকিস্তান কামনা ভারতের স্বার্থে প্রয়োজন বলে যে অভিমত তিনি দিলেন, সেটাও আলোচনায় এলো। গুরুত্ব পেল অনেকের কাছে। আবার বাজপেয়ি পাকিস্তানের লাহোরে পাকিস্তান মিনারে গিয়ে তাদের দৃষ্টিতে যে অপরাধ করেছেন, সেই ধারণাও পাল্টে যেতে থাকল। কারগিল যুদ্ধের পর বিজেপির অবস্থান তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। ভারতের নির্বাচকমণ্ডলীও এর প্রতিদান বিজেপিকে দিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের মুসলমানদের আস্থায় আনার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য বক্তব্য আদভানির কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। সেই অপূর্ণতা পূরণ করার জন্য তিনি পারভেজ মোশাররফকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে। তিনি মনে করতেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের মিত্র হিসেবেই থাকবে। আবার অনেক নগরকেন্দ্রিক ভোটারকে কিছুটা দ্বিধায়ও ফেলে দিয়েছিল। এমন বেশ কিছু বিষয় বিজেপিকে মূল্যায়ন করতে গেলে আলোচনায় আনতে হবে। দেখতে হবে ২০০৪ সালে বাজপেয়ির প্রস্থানের পর বিজেপি কিভাবে নিজেদের পরিচালিত করেছে এবং তার আগামী দিনও কেমন যাবে।
লেখক : শেখর গুপ্ত
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন।
ধরা যাক, দলটি এগিয়ে গেছে ২০০৪ সালের তুলনায়। ওই সময় দলটি অবস্থান হারায়। পরিণতি হয়েছিল বাজপেয়ির পরাজয়। বিজেপিতে মোদির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ঘটনা বর্ণনা করার আগে দেখতে হবে বাজপেয়ি কিভাবে নিজের ভাবমূর্তি হারিয়েছেন, সেটাও। আদভানি অহংবোধে নিমজ্জিত হলেন, এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করলেন, যা ছিল ভ্রান্তিতে ভরা। ফল হলো, তাঁদের কাছে যা অপ্রত্যাশিত। তাঁদের নীতি-কৌশল এনডিএকে সুফল পাওয়ার পথ করে দিল ক্ষমতায় আসার জন্য। তখন তিনি চিন্তা করলেন, নতুনদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। সেখানে বাজপেয়ি-সংশ্লিষ্টদেরও তিনি রাখবেন। তবে তাঁদের সংখ্যা বেশি হবে না। উদ্দেশ্য, চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুনত্ব আনা। রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থান ও বিদেশনীতি, বিশেষ করে পাকিস্তান বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির কথা চিন্তা করলেন। আর এ চারটি বিষয়ের প্রতিটিতেই বিজেপি উদারদৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। বলতে দ্বিধা নেই, বিজেপি অনেক আধুনিক চিন্তাকেই স্থান দিতে সক্ষম হলো। জিন্নাহ সম্পর্কিত বিবৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আদভানি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হলেন।
প্রথম পরিবর্তন এলো পাকিস্তান সম্পর্কিত। দলটি শান্তি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হলো। স্থিতিশীল পাকিস্তান কামনা ভারতের স্বার্থে প্রয়োজন বলে যে অভিমত তিনি দিলেন, সেটাও আলোচনায় এলো। গুরুত্ব পেল অনেকের কাছে। আবার বাজপেয়ি পাকিস্তানের লাহোরে পাকিস্তান মিনারে গিয়ে তাদের দৃষ্টিতে যে অপরাধ করেছেন, সেই ধারণাও পাল্টে যেতে থাকল। কারগিল যুদ্ধের পর বিজেপির অবস্থান তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। ভারতের নির্বাচকমণ্ডলীও এর প্রতিদান বিজেপিকে দিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের মুসলমানদের আস্থায় আনার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য বক্তব্য আদভানির কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। সেই অপূর্ণতা পূরণ করার জন্য তিনি পারভেজ মোশাররফকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে। তিনি মনে করতেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের মিত্র হিসেবেই থাকবে। আবার অনেক নগরকেন্দ্রিক ভোটারকে কিছুটা দ্বিধায়ও ফেলে দিয়েছিল। এমন বেশ কিছু বিষয় বিজেপিকে মূল্যায়ন করতে গেলে আলোচনায় আনতে হবে। দেখতে হবে ২০০৪ সালে বাজপেয়ির প্রস্থানের পর বিজেপি কিভাবে নিজেদের পরিচালিত করেছে এবং তার আগামী দিনও কেমন যাবে।
লেখক : শেখর গুপ্ত
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন।
No comments