জারদারি 'খালাস'
অর্থ পাচারের মামলায় পাকিস্তানের
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে 'খালাস' দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একটি
আদালত। বিচারকাজের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মামলাটি খারিজ করে
দিয়েছেন আদালত।
মামলা খারিজ হওয়ায় জারদারিও অব্যাহতি
পেয়েছেন। সুইস সরকার চিঠি দিয়ে বিষয়টি পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছে। ছয় কোটি
ডলার অর্থ পাচারের অভিযোগে জারদারির বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়েছিল।
সুইস সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে ওই চিঠি দিয়েছে। এতে জারদারিকে 'নির্দোষ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এত দিন চিঠির বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ বিষয়টি প্রকাশ করেন।
আইনমন্ত্রী স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, সুইস কর্তৃপক্ষের পাঠানো চিঠিটি তিনি পড়েছেন। শিগগিরই সেটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। তবে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। এমনকি পাকিস্তানের আদালতে মামলাটি পুনরায় চালু নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও তিনি কোনো কথা বলেননি। তবে সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানি দূতাবাসের কাছে এ মামলার কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাবেক আইনমন্ত্রী ফারুক এইচ নায়েক সুইস কর্তৃপক্ষকে জারদারির বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলা চালুর জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সাবেক আইনমন্ত্রী পাকিস্তানি পত্রিকা ডনকে জানান, ফেব্রুয়ারিতে ওই চিঠির জবাব দেয় সুইজারল্যান্ড। তারা জানায়, বিচারকাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাই জারদারির বিরুদ্ধে মামলা তারা পুনরায় চালু করবে না।
পিপিপি জানিয়েছে, দেশের কোনো আদালতেই জারদারির বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। তবে পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই জারদারির বিরুদ্ধে মামলাগুলো পুনরায় চালু করা হতে পারে।
পাকিস্তানে সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের আমলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ পাস করা হয়। এর আওতায় ২০০৭ সালে রাজনীতিক ও আমলাসহ কয়েক হাজার ব্যক্তির দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হয়। এর মধ্যে জারদারির মামলাগুলোও ছিল। তবে এর দুই বছর পর সুপ্রিম কোর্ট আইনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারসহ কয়েকটি অভিযোগে জারদারির বিরুদ্ধে মামলাগুলো আবার চালুর নির্দেশ দেন।
সুইস সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে ওই চিঠি দিয়েছে। এতে জারদারিকে 'নির্দোষ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এত দিন চিঠির বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ বিষয়টি প্রকাশ করেন।
আইনমন্ত্রী স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, সুইস কর্তৃপক্ষের পাঠানো চিঠিটি তিনি পড়েছেন। শিগগিরই সেটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। তবে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। এমনকি পাকিস্তানের আদালতে মামলাটি পুনরায় চালু নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও তিনি কোনো কথা বলেননি। তবে সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানি দূতাবাসের কাছে এ মামলার কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাবেক আইনমন্ত্রী ফারুক এইচ নায়েক সুইস কর্তৃপক্ষকে জারদারির বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলা চালুর জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সাবেক আইনমন্ত্রী পাকিস্তানি পত্রিকা ডনকে জানান, ফেব্রুয়ারিতে ওই চিঠির জবাব দেয় সুইজারল্যান্ড। তারা জানায়, বিচারকাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাই জারদারির বিরুদ্ধে মামলা তারা পুনরায় চালু করবে না।
পিপিপি জানিয়েছে, দেশের কোনো আদালতেই জারদারির বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। তবে পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই জারদারির বিরুদ্ধে মামলাগুলো পুনরায় চালু করা হতে পারে।
পাকিস্তানে সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের আমলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ পাস করা হয়। এর আওতায় ২০০৭ সালে রাজনীতিক ও আমলাসহ কয়েক হাজার ব্যক্তির দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হয়। এর মধ্যে জারদারির মামলাগুলোও ছিল। তবে এর দুই বছর পর সুপ্রিম কোর্ট আইনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারসহ কয়েকটি অভিযোগে জারদারির বিরুদ্ধে মামলাগুলো আবার চালুর নির্দেশ দেন।
No comments