সিঙ্গাপুরে খালেদা-এরশাদ বৈঠক হয়নি নজরদারিতে
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের
সিঙ্গাপুরে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। অতিরিক্ত
গোয়েন্দা নজরদারি থাকায় এরশাদের পক্ষে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি বলে বিভিন্ন
সূত্র দাবি করছে।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে রওশন এরশাদের। তিনি বিরোধীদলীয় নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন এরশাদ। গতকাল বুধবার বারিধারায় তাঁর বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকরা বসে থাকলেও এরশাদ সাক্ষাৎ দেননি।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত রবিবার রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁর ২৪ জুন দেশে ফেরার কথা। এর আগেই স্ত্রী রওশন এরশাদসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ৯ দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের বৈঠকের বিষয়ে মধ্যস্থতা করছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তাঁর উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু এবং এরশাদের পক্ষে রওশন এরশাদ। সিঙ্গাপুরে একই হাসপাতালে খালেদা ও এরশাদ চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ওঠে। আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়। সিঙ্গাপুরেও প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ওঠে। এরপর শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারি। আর এ কারণেই খালেদা ও এরশাদের মধ্যে বৈঠক হয়নি বলে সূত্র জানায়।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরশাদ আগামীতে কী করতে চান, সে বিষয়টি ফালুর মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে চাইছিল। এ জন্য দুদিন আগে ঢাকা থেকে দুবাই যান ফালু। পরে দুবাই থেকে তিনি যান সিঙ্গাপুরে। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারি এবং হাসপাতালে পরিবেশ না থাকায় এরশাদের সঙ্গে ফালুর বৈঠকটি হয়নি বলে সূত্র দাবি করছে।
সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের বৈঠক হয়েছে কি না অথবা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কি না, তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও নানা ধরনের কথাবার্তা উঠছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা যাননি। বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কেউ নেই। তবে একান্ত সচিব সালেহ আহমেদ সঙ্গে আছেন। দলের কাউকে না নেওয়ার পেছনে অনেকের মনে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, হয়তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা থাকায় খালেদা জিয়া দলের কাউকে সিঙ্গাপুরে নেননি।
জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, এ বিষয় কিছু জানেন না তাঁরা। বৈঠক হলে তাঁরা অন্তত কিছু না কিছু আভাস পেতেন। তবে রওশনের সঙ্গে কথাবার্তা ও কুশল বিনিময় হয়ে থাকতে পারে। একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক কিছু ঘটতে পারে। এরশাদ যদি ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকতে চান তাহলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতেই হবে। আগ্রহী হলে এরশাদই এগিয়ে আসতে পারেন।'
এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদ মঙ্গলবার রাতে দেশে ফেরেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরশাদকে অভ্যর্থনা জানাতে যান দলের মহাসচিবসহ সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। কিন্তু তাঁদের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের বাইরে থাকতে হয়। এই বাধা দেওয়ার ঘটনাকেও সরকারের নজরদারি হিসেবে দেখছেন জাপা নেতারা। এ ঘটনায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ওই ঘটনার এখনো কোনো ব্যাখ্যা সরকারের কাছ থেকে পাইনি। স্বাভাবিকভাবে এমনটা হওয়া উচিত ছিল না।'
গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সাংবাদিকরা এরশাদের বাসভবনে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও তিনি কারো সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে এ বিষয়ে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্যার (এরশাদ) অনেক রাতে দেশে ফিরে এসে কিছুটা অসুস্থ বোধ করছেন। তাই মিডিয়াকে এড়িয়ে চলছেন।'
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন এরশাদ। গতকাল বুধবার বারিধারায় তাঁর বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকরা বসে থাকলেও এরশাদ সাক্ষাৎ দেননি।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত রবিবার রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁর ২৪ জুন দেশে ফেরার কথা। এর আগেই স্ত্রী রওশন এরশাদসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ৯ দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের বৈঠকের বিষয়ে মধ্যস্থতা করছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তাঁর উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু এবং এরশাদের পক্ষে রওশন এরশাদ। সিঙ্গাপুরে একই হাসপাতালে খালেদা ও এরশাদ চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ওঠে। আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়। সিঙ্গাপুরেও প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ওঠে। এরপর শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারি। আর এ কারণেই খালেদা ও এরশাদের মধ্যে বৈঠক হয়নি বলে সূত্র জানায়।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরশাদ আগামীতে কী করতে চান, সে বিষয়টি ফালুর মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে চাইছিল। এ জন্য দুদিন আগে ঢাকা থেকে দুবাই যান ফালু। পরে দুবাই থেকে তিনি যান সিঙ্গাপুরে। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারি এবং হাসপাতালে পরিবেশ না থাকায় এরশাদের সঙ্গে ফালুর বৈঠকটি হয়নি বলে সূত্র দাবি করছে।
সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের বৈঠক হয়েছে কি না অথবা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কি না, তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও নানা ধরনের কথাবার্তা উঠছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা যাননি। বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কেউ নেই। তবে একান্ত সচিব সালেহ আহমেদ সঙ্গে আছেন। দলের কাউকে না নেওয়ার পেছনে অনেকের মনে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, হয়তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা থাকায় খালেদা জিয়া দলের কাউকে সিঙ্গাপুরে নেননি।
জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, এ বিষয় কিছু জানেন না তাঁরা। বৈঠক হলে তাঁরা অন্তত কিছু না কিছু আভাস পেতেন। তবে রওশনের সঙ্গে কথাবার্তা ও কুশল বিনিময় হয়ে থাকতে পারে। একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক কিছু ঘটতে পারে। এরশাদ যদি ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকতে চান তাহলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতেই হবে। আগ্রহী হলে এরশাদই এগিয়ে আসতে পারেন।'
এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদ মঙ্গলবার রাতে দেশে ফেরেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরশাদকে অভ্যর্থনা জানাতে যান দলের মহাসচিবসহ সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। কিন্তু তাঁদের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের বাইরে থাকতে হয়। এই বাধা দেওয়ার ঘটনাকেও সরকারের নজরদারি হিসেবে দেখছেন জাপা নেতারা। এ ঘটনায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ওই ঘটনার এখনো কোনো ব্যাখ্যা সরকারের কাছ থেকে পাইনি। স্বাভাবিকভাবে এমনটা হওয়া উচিত ছিল না।'
গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সাংবাদিকরা এরশাদের বাসভবনে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও তিনি কারো সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে এ বিষয়ে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্যার (এরশাদ) অনেক রাতে দেশে ফিরে এসে কিছুটা অসুস্থ বোধ করছেন। তাই মিডিয়াকে এড়িয়ে চলছেন।'
No comments