বৈধকরণের সময় বাড়াতে অনুরোধ যাচ্ছে সৌদি বাদশাহর কাছে by মেহেদী হাসান
অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণের মেয়াদ বাড়াতে
বাংলাদেশের অনুরোধ সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের কাছে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার জেদ্দায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
নাজির বিন ওবায়েদ মাদানির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠকে
বৈধকরণের সময় বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে
সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অনুরোধ সৌদি বাদশাহকে অবহিত করার
আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, আগামী ৩ জুলাই সৌদিতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি কালের কণ্ঠকে জানান, সৌদি আরব
বাংলাদেশিদের ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর
পক্ষ থেকে সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা চিঠি তিনি সৌদি
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হস্তান্তর করেছেন। সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে
জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবারই এ চিঠি সৌদি বাদশাহর কাছে পৌঁছে যাবে। এর
পাশাপাশি বৈধ হওয়ার সময় বাড়াতে বাংলাদেশের আবেদনটিও পৌঁছে যাবে বলে দীপু
মনি আশা করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের সুবিধার বিষয়টি দেখবেন
বলে সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত (প্রায় ৪০ দিনে) সৌদি আরবে এক লাখ ৯০ হাজার ৫৯১ জন বাংলাদেশি কনস্যুলার সেবা (নতুন পাসপোর্ট, পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন, আউটপাস প্রভৃতি) নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনস্যুলার সেবার বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সেখানে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ চলছে। পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষমাণ বাংলাদেশিরা জানান, আগের চেয়ে ভিড় অনেক কমেছে। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য তাঁরা চেষ্টা করছেন। কনস্যুলেটে উপস্থিত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈধকরণের সময় বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার আবেদন করেছে। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়সীমাকে সামনে রেখে ব্যাপক পরিসরে কাজ চলছে। সর্বশেষ বাংলাদেশিকে কনস্যুলার সেবা দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সৌদি সরকার ঘোষিত তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার শেষ সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। বৈধ হওয়ার জন্য পাসপোর্ট থাকার পাশাপাশি বৈধ চাকরি থাকতে হবে এবং বৈধতার বিষয়টি অনুমোদন করতে হবে সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে। এটি বেশ সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) পরিবর্তন প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই বন্ধ ছিল। এর ফলে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যাঁরা পাসপোর্ট নিচ্ছেন তাঁরা বৈধকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ইকামা পরিবর্তনের জন্য আগের পাসপোর্ট, আগের নিয়োগপত্র, সৌদিতে আসার কাগজপত্র কিংবা সৌদিতে ঢোকার সময় অভিবাসন বিভাগে আঙুলের যে ছাপ দিয়েছিলেন তার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে এগুলোর কোনো একটি প্রয়োজন হবে। এগুলোর কোনোটিই যার নেই তার বৈধ হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষে ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বৈধকরণের সময় আরেকটু বাড়ানো হলে বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ইকামা পরিবর্তন করা প্রয়োজন তাদের সবাই এ সুযোগ নিতে পারবেন। সময় বৃদ্ধি করা হলে কারোরই বাদ পড়ার সুযোগ থাকবে না।
এদিকে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জনশক্তিবিষয়ক সৌদি প্রতিনিধি দলের সামপ্রতিক বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, সৌদি সরকার শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে অধিক হারে জনশক্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত (প্রায় ৪০ দিনে) সৌদি আরবে এক লাখ ৯০ হাজার ৫৯১ জন বাংলাদেশি কনস্যুলার সেবা (নতুন পাসপোর্ট, পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন, আউটপাস প্রভৃতি) নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনস্যুলার সেবার বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সেখানে পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ চলছে। পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষমাণ বাংলাদেশিরা জানান, আগের চেয়ে ভিড় অনেক কমেছে। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য তাঁরা চেষ্টা করছেন। কনস্যুলেটে উপস্থিত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈধকরণের সময় বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার আবেদন করেছে। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়সীমাকে সামনে রেখে ব্যাপক পরিসরে কাজ চলছে। সর্বশেষ বাংলাদেশিকে কনস্যুলার সেবা দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সৌদি সরকার ঘোষিত তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার শেষ সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। বৈধ হওয়ার জন্য পাসপোর্ট থাকার পাশাপাশি বৈধ চাকরি থাকতে হবে এবং বৈধতার বিষয়টি অনুমোদন করতে হবে সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে। এটি বেশ সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) পরিবর্তন প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই বন্ধ ছিল। এর ফলে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যাঁরা পাসপোর্ট নিচ্ছেন তাঁরা বৈধকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ইকামা পরিবর্তনের জন্য আগের পাসপোর্ট, আগের নিয়োগপত্র, সৌদিতে আসার কাগজপত্র কিংবা সৌদিতে ঢোকার সময় অভিবাসন বিভাগে আঙুলের যে ছাপ দিয়েছিলেন তার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে এগুলোর কোনো একটি প্রয়োজন হবে। এগুলোর কোনোটিই যার নেই তার বৈধ হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষে ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বৈধকরণের সময় আরেকটু বাড়ানো হলে বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ইকামা পরিবর্তন করা প্রয়োজন তাদের সবাই এ সুযোগ নিতে পারবেন। সময় বৃদ্ধি করা হলে কারোরই বাদ পড়ার সুযোগ থাকবে না।
এদিকে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জনশক্তিবিষয়ক সৌদি প্রতিনিধি দলের সামপ্রতিক বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, সৌদি সরকার শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে অধিক হারে জনশক্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।
No comments