যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করলেন কারজাই
দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তির (বিএসএ)
বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে আফগান সরকার। ২০১৪ সালের
পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক এ
আলোচনা চলছিল।
গতকাল বুধবার আফগান সরকার আলোচনা স্থগিতের
ঘোষণা দেয়। তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরুর
প্রতিবাদে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায়
তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান বাহিনী দেশের
নিরাপত্তাভার নেওয়ার পরের দিনই এ ঘটনা ঘটল। আফগান সরকারের নেতৃত্ব ছাড়া
তালেবানের সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনায় বসবে না সরকার।
২০১৪ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব ন্যাটো সেনা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরুও করেছে ন্যাটো বাহিনী। গত মঙ্গলবার আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাছে আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দেবে। তবে ২০১৪ সালের পরও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা থাকবে কি না, থাকলেও তাদের সংখ্যা ও ভূমিকা কী হবে- সে ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক আলোচনা চলছিল। তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি শান্তি আলোচনার ঘোষণা দেওয়ায় আফগান সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে।
গত মঙ্গলবার দোহায় তালেবানের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেয়। দোহায় আজ এ আলোচনা শুরুর কথা। শান্তি আলোচনার ব্যাপারে কথা বলতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠান। কিন্তু আফগান কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক পক্ষীয় বৈঠকের ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কারজাই। তাঁর মুখপাত্র আইমাল ফাইজি গতকাল বলেন, 'আফগান শান্তি আলোচনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কথায় ও কাজে মিল নেই। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএসএ সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করেছেন।' এদিকে তালেবানের কার্যালয়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, 'তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার পথে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়, সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আছে। তবে আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনাই আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে টেকসই স্থিতিশীলতা আনতে পারে।' আফগান সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনায় যোগ দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ তালেবানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকে বন্দি বিনিময় ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবানের সঙ্গে কোনো সমঝোতা চুক্তি নাও হতে পারে বলে মনে করছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড।
তবে আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান। তাদের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম বলেন, 'কারজাইয়ের সরকারকে আমরা মানি না। কাতারের মধ্যস্থতায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসব আমরা। আমরা আফগান জনগণের প্রতিনিধিত্ব করব, কারজাই সরকারের নয়।' তালেবান আফগানিস্তানে দখলদারত্ব শেষ করার জন্য জিহাদ চালিয়ে যাবে এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন নাইম।
চার মার্কিন সেনা নিহত : মঙ্গলবার রাতে কাবুলের উত্তরে বাগরাম ঘাঁটিতে তালেবানের রকেট হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত ও ছয় সেনা আহত হয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
২০১৪ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব ন্যাটো সেনা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরুও করেছে ন্যাটো বাহিনী। গত মঙ্গলবার আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাছে আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দেবে। তবে ২০১৪ সালের পরও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা থাকবে কি না, থাকলেও তাদের সংখ্যা ও ভূমিকা কী হবে- সে ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক আলোচনা চলছিল। তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি শান্তি আলোচনার ঘোষণা দেওয়ায় আফগান সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে।
গত মঙ্গলবার দোহায় তালেবানের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেয়। দোহায় আজ এ আলোচনা শুরুর কথা। শান্তি আলোচনার ব্যাপারে কথা বলতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠান। কিন্তু আফগান কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক পক্ষীয় বৈঠকের ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কারজাই। তাঁর মুখপাত্র আইমাল ফাইজি গতকাল বলেন, 'আফগান শান্তি আলোচনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কথায় ও কাজে মিল নেই। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএসএ সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করেছেন।' এদিকে তালেবানের কার্যালয়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, 'তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার পথে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়, সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আছে। তবে আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনাই আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে টেকসই স্থিতিশীলতা আনতে পারে।' আফগান সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনায় যোগ দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ তালেবানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকে বন্দি বিনিময় ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবানের সঙ্গে কোনো সমঝোতা চুক্তি নাও হতে পারে বলে মনে করছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড।
তবে আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান। তাদের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম বলেন, 'কারজাইয়ের সরকারকে আমরা মানি না। কাতারের মধ্যস্থতায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসব আমরা। আমরা আফগান জনগণের প্রতিনিধিত্ব করব, কারজাই সরকারের নয়।' তালেবান আফগানিস্তানে দখলদারত্ব শেষ করার জন্য জিহাদ চালিয়ে যাবে এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন নাইম।
চার মার্কিন সেনা নিহত : মঙ্গলবার রাতে কাবুলের উত্তরে বাগরাম ঘাঁটিতে তালেবানের রকেট হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত ও ছয় সেনা আহত হয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments