শিক্ষকসংকট নিয়ে চলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও কম্পিউটার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এতে ব্যাহত হচ্ছে সুষ্ঠু পাঠদান। ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, করপোরেশন পরিচালিত ১৩ কলেজে স্থায়ী কোনো অধ্যক্ষ নেই। বছরের পর বছর এগুলো চালানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়েও রয়েছে নানা জটিলতা। ফলে আট থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে করপোরেশনের কলেজে কাজ করেও কারও কারও পদোন্নতি হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা জানান, সিটি করপোরেশন পরিচালিত কলেজগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হওয়ার কথা এবং সেখানে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হওয়ার শর্ত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বলা হচ্ছে এমপিওভুক্তির আট বছর পরে পদোন্নতির কথা। অন্যদিকে করপোরেশনের বাইরের কলেজ থেকে আসা এমপিওভুক্ত কোনো কোনো শিক্ষক করপোরেশনের কলেজের পুরোনো শিক্ষকদের ডিঙিয়ে পদোন্নতি দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের নিয়োগের সময়ে বলা হয়েছিল করপোরেশনের কলেজগুলো সরকারি নিয়মে পরিচালিত হবে এবং সে হিসেবে সব সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগের পর সে রকম সুযোগ-সুবিধা আমরা ভোগ করতে পারছি না। এখন আবার এমপিওভুক্তির কথা বলে আমাদের পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
কম্পিউটার কলেজ: নগরে করপোরেশন পরিচালিত পাঁচটি কম্পিউটার কলেজ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, জামাল খান কম্পিউটার কলেজ, কাপাসগোলা কম্পিউটার কলেজ, সরাইপাড়া কম্পিউটার কলেজ, মনসুরাবাদ কম্পিউটার কলেজ এবং দামপাড়া পুলিশ লাইন কম্পিউটার কলেজ। এগুলোর মধ্যে তিনটিতেই প্রশিক্ষকসংকট রয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, পুলিশ লাইন, কাপাসগোলা ও মনসুরাবাদ ক্যাম্পাস চলছে শুধু একজন প্রশিক্ষক দিয়ে। বাকি দুটিতে তিনজন করে প্রশিক্ষক রয়েছেন। অন্যদিকে পাঁচটি কলেজের মধ্যে কাপাসগোলা কম্পিউটার কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে। অপর চারটি রয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে।
কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমেদ বলেন, ‘প্রশিক্ষক সংকট থাকলেও আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। প্রয়োজনে ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক দিয়েও সহযোগিতা করছি।’
দুই পালার বিদ্যালয়: গত বছরের জানুয়ারি থেকে করপোরেশনের চারটি বিদ্যালয়ে চালু করা হয় প্রাতঃশাখার (মর্নিং শিফট) পাঠদান কার্যক্রম। কিন্তু এ জন্য কোনো নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দিবা শাখা এবং করপোরেশনের অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে এসব বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুলগাঁও সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ এবং সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ। এসব বিদ্যালয়ে প্রাতঃশাখায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রাতঃশাখার শিক্ষক কাঠামোতে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিদ্যালয় রয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে ২৫টি বালক, সাতটি বালিকা ও ১৩টি বালক-বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল: করপোরেশন সূত্র জানায়, বছরের শুরুতেই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের আশঙ্কার কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তা বাতিল করা হয়।
প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য: সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলেজের শিক্ষকদের পদোন্নতি-সংক্রান্ত সব জটিলতা নিরসনে আমরা একটি নতুন নীতিমালা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে কেউ-ই কোনোভাবে বঞ্চিত না হন, এতে সে রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী মাসের শুরুতেই প্রথমে কলেজ শিক্ষক নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ভাবছি। এরপর বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেব। এ সময়ে কিছু কম্পিউটার শিক্ষকও নেব। আশা করি, এরপর তেমন সমস্যা থাকবে না।’
করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, করপোরেশন পরিচালিত ১৩ কলেজে স্থায়ী কোনো অধ্যক্ষ নেই। বছরের পর বছর এগুলো চালানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়েও রয়েছে নানা জটিলতা। ফলে আট থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে করপোরেশনের কলেজে কাজ করেও কারও কারও পদোন্নতি হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা জানান, সিটি করপোরেশন পরিচালিত কলেজগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হওয়ার কথা এবং সেখানে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হওয়ার শর্ত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বলা হচ্ছে এমপিওভুক্তির আট বছর পরে পদোন্নতির কথা। অন্যদিকে করপোরেশনের বাইরের কলেজ থেকে আসা এমপিওভুক্ত কোনো কোনো শিক্ষক করপোরেশনের কলেজের পুরোনো শিক্ষকদের ডিঙিয়ে পদোন্নতি দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের নিয়োগের সময়ে বলা হয়েছিল করপোরেশনের কলেজগুলো সরকারি নিয়মে পরিচালিত হবে এবং সে হিসেবে সব সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগের পর সে রকম সুযোগ-সুবিধা আমরা ভোগ করতে পারছি না। এখন আবার এমপিওভুক্তির কথা বলে আমাদের পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
কম্পিউটার কলেজ: নগরে করপোরেশন পরিচালিত পাঁচটি কম্পিউটার কলেজ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, জামাল খান কম্পিউটার কলেজ, কাপাসগোলা কম্পিউটার কলেজ, সরাইপাড়া কম্পিউটার কলেজ, মনসুরাবাদ কম্পিউটার কলেজ এবং দামপাড়া পুলিশ লাইন কম্পিউটার কলেজ। এগুলোর মধ্যে তিনটিতেই প্রশিক্ষকসংকট রয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, পুলিশ লাইন, কাপাসগোলা ও মনসুরাবাদ ক্যাম্পাস চলছে শুধু একজন প্রশিক্ষক দিয়ে। বাকি দুটিতে তিনজন করে প্রশিক্ষক রয়েছেন। অন্যদিকে পাঁচটি কলেজের মধ্যে কাপাসগোলা কম্পিউটার কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে। অপর চারটি রয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে।
কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমেদ বলেন, ‘প্রশিক্ষক সংকট থাকলেও আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। প্রয়োজনে ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক দিয়েও সহযোগিতা করছি।’
দুই পালার বিদ্যালয়: গত বছরের জানুয়ারি থেকে করপোরেশনের চারটি বিদ্যালয়ে চালু করা হয় প্রাতঃশাখার (মর্নিং শিফট) পাঠদান কার্যক্রম। কিন্তু এ জন্য কোনো নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দিবা শাখা এবং করপোরেশনের অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে এসব বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুলগাঁও সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ এবং সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ। এসব বিদ্যালয়ে প্রাতঃশাখায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রাতঃশাখার শিক্ষক কাঠামোতে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিদ্যালয় রয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে ২৫টি বালক, সাতটি বালিকা ও ১৩টি বালক-বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল: করপোরেশন সূত্র জানায়, বছরের শুরুতেই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের আশঙ্কার কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তা বাতিল করা হয়।
প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য: সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলেজের শিক্ষকদের পদোন্নতি-সংক্রান্ত সব জটিলতা নিরসনে আমরা একটি নতুন নীতিমালা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে কেউ-ই কোনোভাবে বঞ্চিত না হন, এতে সে রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী মাসের শুরুতেই প্রথমে কলেজ শিক্ষক নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ভাবছি। এরপর বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেব। এ সময়ে কিছু কম্পিউটার শিক্ষকও নেব। আশা করি, এরপর তেমন সমস্যা থাকবে না।’
No comments