স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিমন্ত্রীও লজ্জা পান
প্রবাদে বলে, সর্ব অঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব
কোথা। সরকার ও প্রশাসনের পরতে পরতে অনিয়ম ও দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে
যে তাকে আর ধামাচাপা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য
প্রতিমন্ত্রী নিজে দুদকের কাছে চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে
অনুরোধ করেছেন। দুর্নীতি কতটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে একজন প্রতিমন্ত্রী মুখ
খোলেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
গত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এই মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে প্রথম আলোয় প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদনও প্রতিমন্ত্রী তাঁর চিঠির সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেলেও অধিদপ্তরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ফলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন। তিনি এও লিখেছেন যে লজ্জায় তাঁর মাথা কাটা যায়। এখন দুদক প্রতিমন্ত্রীর মাথা রক্ষা করতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে তিন-চার বছর ধরে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের ফলাফল আলোর মুখ দেখে না। গত মার্চে সারা দেশে শিশুদের টিকা দেওয়ার সময় ভিটামিন ‘এ’ মানসম্পন্ন কি না, সে প্রশ্ন ওঠে। তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদনও দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ জানে না তাতে কী আছে। দুর্নীতির কোনো অভিযোগে আজ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় যে ঠিকভাবে চলছে না, এসব ঘটনায়ই তা পরিষ্কার।
প্রতিমন্ত্রীকে কেন দুদকে যেতে হয়, সেটাও এক প্রশ্ন। স্বাভাবিক অবস্থায় তাঁর গুরুতর অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচিবের ভূমিকাই যথেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বোধ হয় ভিন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছু করাও হয়তো সচিব পর্যায়ের কারও সাধ্যের বাইরে। কোটারি স্বার্থ বাধা দেয়। এর আগে স্বাস্থ্যসচিবকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি অবসরে গিয়ে বেঁচেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে আক্রান্ত হলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে কে? সর্বাগ্রে এর প্রতিকার দরকার। মন্ত্রণালয়ের ভেতর থেকে যাঁরা কলকাঠি নাড়ছেন, তাঁরা যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে কঠোর না হলে মন্ত্রণালয়ের আরও দুর্নীতির কাহিনি পল্লবিত হতে থাকবে। স্বাস্থ্য খাতের ‘সাফল্যগাথা’ নিয়ে দেশে- বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
অধিদপ্তরের অভিযুক্ত মহাপরিচালক বলেছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে প্রতিমন্ত্রী দুদকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর এ দাবি কতটা যুক্তিগ্রাহ্য, দুদকের তদন্তেই তা জানা যাবে। মহাপরিচালক কার্যত দুদকের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এখন দুদককে প্রমাণ করতে হবে যে তারা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত কি না।
গত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এই মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে প্রথম আলোয় প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদনও প্রতিমন্ত্রী তাঁর চিঠির সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেলেও অধিদপ্তরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ফলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন। তিনি এও লিখেছেন যে লজ্জায় তাঁর মাথা কাটা যায়। এখন দুদক প্রতিমন্ত্রীর মাথা রক্ষা করতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে তিন-চার বছর ধরে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের ফলাফল আলোর মুখ দেখে না। গত মার্চে সারা দেশে শিশুদের টিকা দেওয়ার সময় ভিটামিন ‘এ’ মানসম্পন্ন কি না, সে প্রশ্ন ওঠে। তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদনও দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ জানে না তাতে কী আছে। দুর্নীতির কোনো অভিযোগে আজ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় যে ঠিকভাবে চলছে না, এসব ঘটনায়ই তা পরিষ্কার।
প্রতিমন্ত্রীকে কেন দুদকে যেতে হয়, সেটাও এক প্রশ্ন। স্বাভাবিক অবস্থায় তাঁর গুরুতর অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচিবের ভূমিকাই যথেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বোধ হয় ভিন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছু করাও হয়তো সচিব পর্যায়ের কারও সাধ্যের বাইরে। কোটারি স্বার্থ বাধা দেয়। এর আগে স্বাস্থ্যসচিবকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি অবসরে গিয়ে বেঁচেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে আক্রান্ত হলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে কে? সর্বাগ্রে এর প্রতিকার দরকার। মন্ত্রণালয়ের ভেতর থেকে যাঁরা কলকাঠি নাড়ছেন, তাঁরা যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে কঠোর না হলে মন্ত্রণালয়ের আরও দুর্নীতির কাহিনি পল্লবিত হতে থাকবে। স্বাস্থ্য খাতের ‘সাফল্যগাথা’ নিয়ে দেশে- বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
অধিদপ্তরের অভিযুক্ত মহাপরিচালক বলেছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে প্রতিমন্ত্রী দুদকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর এ দাবি কতটা যুক্তিগ্রাহ্য, দুদকের তদন্তেই তা জানা যাবে। মহাপরিচালক কার্যত দুদকের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এখন দুদককে প্রমাণ করতে হবে যে তারা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত কি না।
No comments