আস্থা ভোটে উতরে গেলেন নীতিশ
প্রত্যাশিতভাবেই আস্থা ভোটে জিতলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। আস্থা ভোটে সমর্থন জানানোর জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ দিয়েও বললেন, এখনই তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া তিনি বাঁধছেন না। গতকাল বুধবার পাটনায় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে চমক দিয়ে বিজেপি ওয়াকআউট করে। ভোটাভুটির আগেই হার মানতে হবে এমন আশঙ্কা তাদের কিন্তু ছিল না। সকালে পরিষদীয় দলের বৈঠকে আস্থা ভোটের বিরুদ্ধে হুইপ জারির সময় দেখা যায়, বিজেপির ছয়জন বিধায়ক গরহাজির। অনুপস্থিত সদস্যদের হদিস না পেয়ে রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি সভাকক্ষ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সুশীল মোদি বুঝেছিলেন, নীতিশের রথ আটকানো সম্ভব নয়, বরং ভোটাভুটিতে অংশ নিলে বিজেপির ভঙ্গুর চেহারাটাই প্রকট হবে। ওয়াক আউটের আগে অবশ্য তাঁরা নীতিশের বিরুদ্ধে ঘরভাঙার অভিযোগ আনেন। অন্যদিকে কংগ্রেস ঠিক কী করবে, আগের রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত ছিল না। বিধানসভায় তাদের আসন মাত্র চারটি। ভোট না দিয়ে কক্ষ ত্যাগ করলেও মোট আসনের সংখ্যা কমিয়ে জনতা দলকে (সংযুক্ত) সাহায্য করা যেত। কিন্তু জোটে নীতিশকে টানতে মরিয়া কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত আস্থা প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চার স্বতন্ত্র ও এক সিপিআইয়ের সমর্থন নীতিশ আগেই জোগাড় করেছিলেন। বিজেপির কক্ষ ত্যাগ ও কংগ্রেসের সমর্থনের ফলে ভোটাভুটির ফল দাঁড়ায় ১২৬-২৪। বিরুদ্ধে যে ২৪টি ভোট পড়ল তার মধ্যে ২২টিই লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের। লালু-নীতিশ সম্পর্ক এই মুহূর্তে অহি-নকুলের। সন্দেহ নেই কংগ্রেসের কাছে এটা একটা সমস্যার ক্ষেত্র। ২০১৪-এর ধর্মযুদ্ধে কংগ্রেসের কাছে নীতিশের প্রয়োজনীয়তা প্রবল। নীতিশেরও প্রয়োজন কংগ্রেসকে। মুশকিলটা হলেন লালু। রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় ক্ষেত্রেই লালু বহুদিন থেকেই কংগ্রেসের বিশ্বস্ত সঙ্গী। এমনকি, সোনিয়া যখন বিদেশিনী প্রশ্নে বিদ্ধ হচ্ছিলেন, লালু তখন প্রবলভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নীতিশের সঙ্গে সম্পর্কের বদলে লালুকে হারাতে সোনিয়া নিশ্চয় চাইবেন না। কিন্তু কী করে দুজনকে ধরে রাখা যাবে সেই ভাবনা কংগ্রেসকে ভাবাচ্ছে।
No comments