খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা by প্রণব বল
১৭ জুন তিন বছর পার হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি
করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের। সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম দায়িত্ব নেন এক
মাস পর ২০ জুলাই। এ তিন বছরে নাগরিক সেবার মান কি বেড়েছে, নাকি আগের
অবস্থান থেকে সূচক নিম্নগামী?
এ নিয়ে আজকের আয়োজনখুঁড়িয়ে
চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্যসেবা। জনবল সংকটে চসিকের
নিজস্ব অর্থায়নে চালু চারটি মাতৃসদন ও একটি হাসপাতালের সেবার মান
নিম্নমুখী। এর মধ্যে বন্দরটিলা, দক্ষিণ বাকলিয়া ও পূর্ব বাকলিয়া মাতৃসদন ও
হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় পরিচালিত ৩৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও দুইটি মাতৃসদনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গত ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন এখানকার ৫১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এডিবির প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি আবার আমাদের কাছে রাখতে চাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের মেমন মাতৃসদনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা চলছে।’
জানা গেছে, এডিবি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালেও তা এককভাবে চসিকের নাও থাকতে পারে এমন কথা আগেই বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দরপত্রও হয়ে গেছে। তাতে চসিকও অংশ নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা পাবে কি না সংশয় রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দরপত্রে সিটি করপোরেশন অন্যদের মতো অংশগ্রহণ করেছে। এখন দেখা যাক কী হয়। এ নিয়ে দেন-দরবার চলছে। আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের কাছে পরিচালনার দায়িত্ব রাখতে।’
বর্তমানে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরতদের তিন মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। তাঁরা গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদনগুলোতে এখন চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম নেই বললে চলে। কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা কেবল তাঁদের চাকরি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত।
এদিকে, সিটি করপোরেশন পরিচালিত চারটি মাতৃসদন ও শিশু হাসপাতালে সেবার মান নিচে নেমেছে। এসব সেবাকেন্দ্রে রোগীর ভিড় নেই এখন। একসময় ১০০ শয্যার মেমন হাসপাতালের প্রসূতি সেবার জন্য খ্যাতি ছিল। কিন্তু এখন প্রতিদিন গড়ে সেখানে রোগী থাকে অর্ধেক। সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
রোগীদের অভিযোগ, কাগজে-কলমে ২০ জন চিকিৎসক থাকলেও সে অনুযায়ী সেবাবঞ্চিত রোগীরা। সেবার মান দিন দিন কমছে। চিকিৎসক ও সেবিকার চাকরি স্থায়ী নয়। তাই তারা ভালো সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন সব সময়।
চসিক সূত্র জানায়, বন্দরটিলা, দক্ষিণ বাকলিয়া ও পূর্ব বাকলিয়ার অবশিষ্ট তিনটি মাতৃসদন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট। কিন্তু লোকবল-সংকটের কারণে এই তিনটিতে কোনো রোগী ভর্তি করা হয় না। তারা শুধু বহির্বিভাগের সেবা দিয়ে থাকে। বন্দরটিলা মাতৃসদনে শয্যা থাকলেও তা খালি পড়ে আছে। ২০০৭ সাল থেকে চিকিৎসক-সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ বিভাগে রোগী রাখা হয় না বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ বাকলিয়া নুরুল ইসলাম বিএসসি মাতৃসদন হাসপাতাল ও পূর্ব বাকলিয়া হাজী ওয়াইজ খাতুন মাতৃসদন হাসপাতালে একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন। অভ্যন্তরীণ বিভাগ তো দূরের কথা বহির্বিভাগেও সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না এখানে।
অন্যদিকে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় পরিচালিত ৩৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও দুইটি মাতৃসদনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গত ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন এখানকার ৫১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এডিবির প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি আবার আমাদের কাছে রাখতে চাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের মেমন মাতৃসদনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা চলছে।’
জানা গেছে, এডিবি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালেও তা এককভাবে চসিকের নাও থাকতে পারে এমন কথা আগেই বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দরপত্রও হয়ে গেছে। তাতে চসিকও অংশ নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা পাবে কি না সংশয় রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দরপত্রে সিটি করপোরেশন অন্যদের মতো অংশগ্রহণ করেছে। এখন দেখা যাক কী হয়। এ নিয়ে দেন-দরবার চলছে। আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের কাছে পরিচালনার দায়িত্ব রাখতে।’
বর্তমানে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরতদের তিন মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। তাঁরা গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদনগুলোতে এখন চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম নেই বললে চলে। কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা কেবল তাঁদের চাকরি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত।
এদিকে, সিটি করপোরেশন পরিচালিত চারটি মাতৃসদন ও শিশু হাসপাতালে সেবার মান নিচে নেমেছে। এসব সেবাকেন্দ্রে রোগীর ভিড় নেই এখন। একসময় ১০০ শয্যার মেমন হাসপাতালের প্রসূতি সেবার জন্য খ্যাতি ছিল। কিন্তু এখন প্রতিদিন গড়ে সেখানে রোগী থাকে অর্ধেক। সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
রোগীদের অভিযোগ, কাগজে-কলমে ২০ জন চিকিৎসক থাকলেও সে অনুযায়ী সেবাবঞ্চিত রোগীরা। সেবার মান দিন দিন কমছে। চিকিৎসক ও সেবিকার চাকরি স্থায়ী নয়। তাই তারা ভালো সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন সব সময়।
চসিক সূত্র জানায়, বন্দরটিলা, দক্ষিণ বাকলিয়া ও পূর্ব বাকলিয়ার অবশিষ্ট তিনটি মাতৃসদন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট। কিন্তু লোকবল-সংকটের কারণে এই তিনটিতে কোনো রোগী ভর্তি করা হয় না। তারা শুধু বহির্বিভাগের সেবা দিয়ে থাকে। বন্দরটিলা মাতৃসদনে শয্যা থাকলেও তা খালি পড়ে আছে। ২০০৭ সাল থেকে চিকিৎসক-সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ বিভাগে রোগী রাখা হয় না বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ বাকলিয়া নুরুল ইসলাম বিএসসি মাতৃসদন হাসপাতাল ও পূর্ব বাকলিয়া হাজী ওয়াইজ খাতুন মাতৃসদন হাসপাতালে একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন। অভ্যন্তরীণ বিভাগ তো দূরের কথা বহির্বিভাগেও সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না এখানে।
No comments