দাম কম, হিমাগারে আলু রেখে ব্যবসায়ীরা বিপাকে
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় হিমাগারে আলু রেখে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও
ব্যবসায়ীরা। বাজারে দাম না থাকায় হিমাগার ভাড়াই তুলতে পারছেন না তাঁরা।
পরিস্থিতি না পাল্টালে শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগের সব টাকাই লোকসান হবে বলে
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ীরা জানান, এ উপজেলায় ১২টি হিমাগার রয়েছে। এসব হিমাগারে এলাকার
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার বস্তা আলু রেখেছেন। গত বছর আলুর
দাম কম হলেও এ বছর লাভ হওয়ার আশায় তাঁরা হিমাগারগুলোতে আলু রাখেন। এবার এক
বস্তা পাইকর জাতের আলু হিমাগারে রাখতে গিয়ে এক হাজার ৫৮০ এবং গ্রানুলা
জাতের আলু রাখতে ৯৮৫ টাকা খরচ হয়েছে।
আলু ব্যবসায়ীরা জানায়, বাংলা প্রতি সনের ১৫ জ্যৈষ্ঠ থেকে হিমাগারগুলো থেকে আলু বের করে বাজারে বিক্রি করা শুরু হয়। কিন্তু এ সনে আষাঢ় মাস শুরু হওয়ার পরও হিমাগার থেকে আলু তোলা হচ্ছে না। কারণ, হিমাগার থেকে আলু তুলে বাজারে নেওয়ার পর বিনিয়োগের টাকাও তোলা যাচ্ছে না। প্রতি বস্তায় ৬৩৫-৭৮০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।
১৫ জুন উপজেলার মহাস্থানহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বস্তা (৮৫ কেজি) দেশি পাইকর জাতের আলু ৭৭০-৮০০ টাকা এবং গ্রানুলা জাতের আলু ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এই সময়ে প্রতি বস্তা পাইকর জাতের আলু ১৫০০-১৬০০ টাকা ও গ্রানুলা জাতের আলু ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর প্রতি হেক্টরে ১৯ দশমিক ৫ টন আলু হয়েছিল। আর এ বছর প্রতি হেক্টরে ২২ টন আলু হয়েছে।
আলুচাষিরা জানান, এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় এখনো কৃষকের ঘরে বিপুল পরিমাণ আলু রয়ে গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি ফসলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলে আলুর চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া লাগাতার হরতালের কারণে বাড়িতে সংরক্ষণ করা যেসব আলু বাজারে আনা সম্ভব হয়নি তা এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে বাজারে আলুর দাম কমে গেছে।
আটমূল গ্রামের চাষি আশরাফ আলী জানান, তাঁদের বাড়িতে ৯০ মণ আলু আছে। দাম কম হওয়ায় তিনি আলু বিক্রি করতে পারছেন না।
শিবগঞ্জের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল জানান, কৃষকের ঘরে এখনো অনেক আলু আছে। তাই হিমাগারের আলুর তেমন চাহিদা নেই। চাহিদার তুলনায় জোগান অনেক বেশি থাকায় দাম পড়ে গেছে।
আলু ব্যবসায়ীরা জানায়, বাংলা প্রতি সনের ১৫ জ্যৈষ্ঠ থেকে হিমাগারগুলো থেকে আলু বের করে বাজারে বিক্রি করা শুরু হয়। কিন্তু এ সনে আষাঢ় মাস শুরু হওয়ার পরও হিমাগার থেকে আলু তোলা হচ্ছে না। কারণ, হিমাগার থেকে আলু তুলে বাজারে নেওয়ার পর বিনিয়োগের টাকাও তোলা যাচ্ছে না। প্রতি বস্তায় ৬৩৫-৭৮০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।
১৫ জুন উপজেলার মহাস্থানহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বস্তা (৮৫ কেজি) দেশি পাইকর জাতের আলু ৭৭০-৮০০ টাকা এবং গ্রানুলা জাতের আলু ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এই সময়ে প্রতি বস্তা পাইকর জাতের আলু ১৫০০-১৬০০ টাকা ও গ্রানুলা জাতের আলু ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর প্রতি হেক্টরে ১৯ দশমিক ৫ টন আলু হয়েছিল। আর এ বছর প্রতি হেক্টরে ২২ টন আলু হয়েছে।
আলুচাষিরা জানান, এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় এখনো কৃষকের ঘরে বিপুল পরিমাণ আলু রয়ে গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি ফসলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলে আলুর চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া লাগাতার হরতালের কারণে বাড়িতে সংরক্ষণ করা যেসব আলু বাজারে আনা সম্ভব হয়নি তা এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে বাজারে আলুর দাম কমে গেছে।
আটমূল গ্রামের চাষি আশরাফ আলী জানান, তাঁদের বাড়িতে ৯০ মণ আলু আছে। দাম কম হওয়ায় তিনি আলু বিক্রি করতে পারছেন না।
শিবগঞ্জের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল জানান, কৃষকের ঘরে এখনো অনেক আলু আছে। তাই হিমাগারের আলুর তেমন চাহিদা নেই। চাহিদার তুলনায় জোগান অনেক বেশি থাকায় দাম পড়ে গেছে।
No comments