বলিউড ধানুসের বলিউড অভিষেক
‘হোয়াই দিস কোলাভেরি কোলাভেরি ডি?’—ইতিহাস
তৈরি করতে বেশি সময় নেয়নি তামিল ছবি থ্রি’র এই গানটি। গোটা ভারতবর্ষ
কাঁপিয়ে কোলাভেরির সুর ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে শেয়ার হতে হতে ছড়িয়ে পড়ে
সারা বিশ্বে।
হঠাৎ করেই কোলাভেরির মাদকতায় বুঁদ হয়ে যায়
জেনারেশন ওয়াই। সিএনএনের বিবেচনায় ২০১১ সালের দুনিয়া-সেরা গান ছিল এটি।
পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি অনলাইন শেয়ারের জন্য ইউটিউবের তরফ থেকেও জোটে সোনার
পদক। গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ায় রাতারাতিই তারকা খ্যাতি পেয়ে যান
জনপ্রিয় এই গানের গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী তামিল ছবির অন্যতম অভিনেতা ধানুস।
সেই ধানুস এবার মুম্বাই ছবির নায়ক। ‘কোলাভেরি ডি’ দিয়ে পুরো ভার্চুয়াল জগৎ মাত করার পর এবার বলিউডে এন্ট্রি ধানুসের। অনিল-কন্যা সোনম কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ধানুসের প্রথম বলিউড ছবি রানঝানা মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল।
রানঝানা ছবির কাহিনি সেই পুরোনো ফরমেটের ত্রিভুজ প্রেমের গল্পই। তবে নতুনত্ব কিছু তো অবশ্যই থাকছে। আর সেটা কী, তা জানতেই ছবির শেষ অবধি দেখতে হবে দর্শকদের। ইতিমধ্যে ছবির ফ্রেশ লুক, ফ্রেশ জুটি বেশ নজর কেড়েছে সবার। হিট রোমান্টিক কমেডি তানু ওয়েডস মানু খ্যাত পরিচালক আনন্দ এল রাই তাই খুবই আশাবাদী রানঝানা নিয়ে। ইউটিউবে ছবিটির ট্রেলার প্রচার করার প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যেই ডুব দিয়েছিল ২০ লাখ ভিউয়ার। ছবিটিতে বেনারসের এক সাধারণ মেয়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সোনম কাপুর একেবারে গ্ল্যামারবিহীন ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। ছবিটির বেশ কিছু দৃশ্যে তাঁকে একেবারে মেকআপ ছাড়া সাদামাটা রূপে দেখা যাবে। বলিউডের খুব বেশি অভিনেত্রী এমন সাজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যেখানে দ্বিধা করবেন, সেখানে চরিত্রের দাবিতে সোনম সেই সাহস দেখিয়েছেন। ছবিটিতে ধানুসের সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন সোনম। ধানুসের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে সোনম বলেন, ‘ধানুসের “কোলাভেরি ডি” গানের আমিও দারুণ ভক্ত। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে আমি সত্যিই আনন্দিত। কো-আর্টিস্ট হিসেবেও সে অসাধারণ। সে কারণেই ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু দৃশ্য বেশ সহজভাবে তাঁর সঙ্গে করেছি। ছবিতে আমার ও ধানুসের জুটি দর্শকেরা ভালোভাবে গ্রহণ করবে বলে আশা করি।’
তামিল ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করলেও রানঝানা দিয়েই বলিউডে অভিষেক হলো দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের জামাতা ধানুসের। তবে বলিউডে নাকি প্রচলিত আছে—তামিল ছবির অভিনেতারা তাঁদের নিজ অঞ্চলে দেবতাতুল্য সম্মান পেলেও বলিউডে থাকে না তাঁদের সেই দাপট। যেমনটা দেখা যায় কমল হাসান কিংবা রজনীকান্তের ক্ষেত্রেই। নিজ নিজ অঞ্চলে তাঁদের ছবি মুক্তি পাওয়া মানে বিশেষ উৎসবের দিন। কিন্তু যখন তাঁরা আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডে পা রাখেন, তখন ভাটা পড়ে তাঁদের সেই হিরোইক ইমেজে। কিন্তু ধানুসকে নিয়ে আঞ্চলিকতার ভয়ে মোটেও ভীত নন পরিচালক আনন্দ রাই। তামিল ছবি আদুকালাম-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ২০১১ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতাকে নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ী আনন্দ। তিনি বলেন, ‘ধানুসকে নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা নেই। তার অভিনয় আমি দেখেছি। সে শুধু “কোলাভেরি”র খ্যাতি দিয়েই পরিচিত নয়, তার অসামান্য মেধা তাকে বলিউডে শক্ত খুঁটি গাড়তে সাহায্য করবে। আমার এই ছবিটি সাধারণ কিছু মানুষের গল্প বলবে। যা সবার কাছে পাশের বাড়ির গল্পের মতো শোনাবে। আর এই ছবি দিয়ে ধানুস সবার মনেই জায়গা করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’
বলিউডে পা রেখেই আনন্দ রাইয়ের মতো গুণী পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছেন ধানুস। বলিউডে অভিষেক সম্পর্কে ধানুস বলেন, ‘আনন্দের সাদামাটা কাজের ধরনই আমার পছন্দ। এ কারণেই তার প্রজেক্টে কাজ করতে রাজি হয়েছি। আনন্দের আগের ছবিও ছিল গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন, এবারেরটা তো আরও আলাদা। মনে হচ্ছে নিজের ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হচ্ছে।’
সাজিদুল হক
জিনিউজ, ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টাইমস, বক্স অফিস ইন্ডিয়া, বলিউড হাঙ্গামা, রেডিফ, আইএমডিবি অবলম্বনে
সেই ধানুস এবার মুম্বাই ছবির নায়ক। ‘কোলাভেরি ডি’ দিয়ে পুরো ভার্চুয়াল জগৎ মাত করার পর এবার বলিউডে এন্ট্রি ধানুসের। অনিল-কন্যা সোনম কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ধানুসের প্রথম বলিউড ছবি রানঝানা মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল।
রানঝানা ছবির কাহিনি সেই পুরোনো ফরমেটের ত্রিভুজ প্রেমের গল্পই। তবে নতুনত্ব কিছু তো অবশ্যই থাকছে। আর সেটা কী, তা জানতেই ছবির শেষ অবধি দেখতে হবে দর্শকদের। ইতিমধ্যে ছবির ফ্রেশ লুক, ফ্রেশ জুটি বেশ নজর কেড়েছে সবার। হিট রোমান্টিক কমেডি তানু ওয়েডস মানু খ্যাত পরিচালক আনন্দ এল রাই তাই খুবই আশাবাদী রানঝানা নিয়ে। ইউটিউবে ছবিটির ট্রেলার প্রচার করার প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যেই ডুব দিয়েছিল ২০ লাখ ভিউয়ার। ছবিটিতে বেনারসের এক সাধারণ মেয়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সোনম কাপুর একেবারে গ্ল্যামারবিহীন ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। ছবিটির বেশ কিছু দৃশ্যে তাঁকে একেবারে মেকআপ ছাড়া সাদামাটা রূপে দেখা যাবে। বলিউডের খুব বেশি অভিনেত্রী এমন সাজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যেখানে দ্বিধা করবেন, সেখানে চরিত্রের দাবিতে সোনম সেই সাহস দেখিয়েছেন। ছবিটিতে ধানুসের সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন সোনম। ধানুসের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে সোনম বলেন, ‘ধানুসের “কোলাভেরি ডি” গানের আমিও দারুণ ভক্ত। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে আমি সত্যিই আনন্দিত। কো-আর্টিস্ট হিসেবেও সে অসাধারণ। সে কারণেই ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু দৃশ্য বেশ সহজভাবে তাঁর সঙ্গে করেছি। ছবিতে আমার ও ধানুসের জুটি দর্শকেরা ভালোভাবে গ্রহণ করবে বলে আশা করি।’
তামিল ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করলেও রানঝানা দিয়েই বলিউডে অভিষেক হলো দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের জামাতা ধানুসের। তবে বলিউডে নাকি প্রচলিত আছে—তামিল ছবির অভিনেতারা তাঁদের নিজ অঞ্চলে দেবতাতুল্য সম্মান পেলেও বলিউডে থাকে না তাঁদের সেই দাপট। যেমনটা দেখা যায় কমল হাসান কিংবা রজনীকান্তের ক্ষেত্রেই। নিজ নিজ অঞ্চলে তাঁদের ছবি মুক্তি পাওয়া মানে বিশেষ উৎসবের দিন। কিন্তু যখন তাঁরা আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডে পা রাখেন, তখন ভাটা পড়ে তাঁদের সেই হিরোইক ইমেজে। কিন্তু ধানুসকে নিয়ে আঞ্চলিকতার ভয়ে মোটেও ভীত নন পরিচালক আনন্দ রাই। তামিল ছবি আদুকালাম-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ২০১১ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতাকে নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ী আনন্দ। তিনি বলেন, ‘ধানুসকে নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা নেই। তার অভিনয় আমি দেখেছি। সে শুধু “কোলাভেরি”র খ্যাতি দিয়েই পরিচিত নয়, তার অসামান্য মেধা তাকে বলিউডে শক্ত খুঁটি গাড়তে সাহায্য করবে। আমার এই ছবিটি সাধারণ কিছু মানুষের গল্প বলবে। যা সবার কাছে পাশের বাড়ির গল্পের মতো শোনাবে। আর এই ছবি দিয়ে ধানুস সবার মনেই জায়গা করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’
বলিউডে পা রেখেই আনন্দ রাইয়ের মতো গুণী পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছেন ধানুস। বলিউডে অভিষেক সম্পর্কে ধানুস বলেন, ‘আনন্দের সাদামাটা কাজের ধরনই আমার পছন্দ। এ কারণেই তার প্রজেক্টে কাজ করতে রাজি হয়েছি। আনন্দের আগের ছবিও ছিল গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন, এবারেরটা তো আরও আলাদা। মনে হচ্ছে নিজের ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হচ্ছে।’
সাজিদুল হক
জিনিউজ, ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টাইমস, বক্স অফিস ইন্ডিয়া, বলিউড হাঙ্গামা, রেডিফ, আইএমডিবি অবলম্বনে
No comments