গত বছর বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭৬ লাখ মানুষ
বিশ্বব্যাপী গত বছর ভিটাছাড়া হয়েছে ৭৬ লাখ
মানুষ। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) মতে, গত দুই
দশকের মধ্যে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সিরিয়ার চলমান সংঘাত শরণার্থীর সংখ্যা
বাড়ানোর পেছনে 'গুরুত্বপূর্ণ কারণ' হিসেবে কাজ করেছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশ করা বিশ্বসংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে।
এক বছরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের ঘরছাড়া হওয়ার ব্যাপারটিকে 'সত্যিকারের বিপদসংকেত' বলে মনে করে ইউএনএইচসিআর। এই ৭৬ লাখসহ শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৫২ লাখে। ইউএনএইচসিআরের নিজস্ব তথ্যসাবুদ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের সরকারি নথি ও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এক বছরে ৭৬ লাখ মানুষের শরণার্থী হওয়ার অর্থ প্রতি ৪ দশমিক ১ সেকেন্ডে একজন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ৭৬ লাখের মধ্যে ১১ লাখ মানুষ দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। অন্য ৬৫ লাখ দেশের ভেতরেই ঘরহারা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যা ও সাবেক যুগোশ্লাভিয়ায় সংঘাতের কারণে ওই বছর ঘরহারা মানুষের সংখ্যা এত দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
ইউএনএইচসিআরের প্রধান আন্তোনিও গুয়েতেরেস জানান, ইতিমধ্যে ১৫ লাখ সিরীয় পাশের দেশগুলোর বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরো ২০ লাখ মানুষ সিরিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হবে। গত বছর গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম২৩ যোদ্ধাদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর প্রায় আট লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট শরণার্থীর মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ মানুষ। নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ। ৯ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ ভিন দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, এই শরণার্থীর ৫৫ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশের নাগরিক। দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইরাক, সুদান ও সিরিয়া। শরণার্থীদের ৮১ শতাংশই রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে। এক দশক আগে এ হার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। শরণার্থীদের ৪৬ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
বিশ্বে এখনো সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আফগানিস্তানের। গত ৩২ বছর ধরে এ তালিকায় ১ নম্বরে আছে তারা। আফগান শরণার্থীদের ৯৫ শতাংশই রয়েছে হয় ইরান না হয় পাকিস্তানে। গত বছর সবচেয়ে বেশি ১৬ লাখ শরণার্থী ছিল পাকিস্তানে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইরান। দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীর সংখ্যা আট লাখ ৬৮ হাজার। পাঁচ লাখ ৯০ হাজার শরণার্থী নিয়ে জার্মানি আছে তৃতীয় অবস্থানে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
এক বছরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের ঘরছাড়া হওয়ার ব্যাপারটিকে 'সত্যিকারের বিপদসংকেত' বলে মনে করে ইউএনএইচসিআর। এই ৭৬ লাখসহ শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৫২ লাখে। ইউএনএইচসিআরের নিজস্ব তথ্যসাবুদ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের সরকারি নথি ও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এক বছরে ৭৬ লাখ মানুষের শরণার্থী হওয়ার অর্থ প্রতি ৪ দশমিক ১ সেকেন্ডে একজন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ৭৬ লাখের মধ্যে ১১ লাখ মানুষ দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। অন্য ৬৫ লাখ দেশের ভেতরেই ঘরহারা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যা ও সাবেক যুগোশ্লাভিয়ায় সংঘাতের কারণে ওই বছর ঘরহারা মানুষের সংখ্যা এত দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
ইউএনএইচসিআরের প্রধান আন্তোনিও গুয়েতেরেস জানান, ইতিমধ্যে ১৫ লাখ সিরীয় পাশের দেশগুলোর বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরো ২০ লাখ মানুষ সিরিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হবে। গত বছর গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম২৩ যোদ্ধাদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর প্রায় আট লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট শরণার্থীর মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ মানুষ। নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ। ৯ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ ভিন দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, এই শরণার্থীর ৫৫ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশের নাগরিক। দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইরাক, সুদান ও সিরিয়া। শরণার্থীদের ৮১ শতাংশই রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে। এক দশক আগে এ হার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। শরণার্থীদের ৪৬ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
বিশ্বে এখনো সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আফগানিস্তানের। গত ৩২ বছর ধরে এ তালিকায় ১ নম্বরে আছে তারা। আফগান শরণার্থীদের ৯৫ শতাংশই রয়েছে হয় ইরান না হয় পাকিস্তানে। গত বছর সবচেয়ে বেশি ১৬ লাখ শরণার্থী ছিল পাকিস্তানে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইরান। দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীর সংখ্যা আট লাখ ৬৮ হাজার। পাঁচ লাখ ৯০ হাজার শরণার্থী নিয়ে জার্মানি আছে তৃতীয় অবস্থানে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments