পরিচ্ছন্ন নগরের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই by মিঠুন চৌধুরী
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে নগরকে
কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। আবর্জনা পরিবহনে
কেনা হয়েছে ড্রাম ট্রাক ও কনটেইনার মুভার। ফগার যন্ত্র দিয়ে নিয়মিত ওষুধও
ছিটানো হচ্ছে।
অথচ এতসব কর্মযজ্ঞের পরও নগরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় নাকে রুমাল চাপা দিতে হয় নাগরিকদের।
নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন ও দিনের বেলায় খোলা গাড়িতে ময়লা পরিবহনের কারণে বিভিন্ন এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি মজে যাওয়া নালা-নর্দমাও নগরবাসীর বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যার দিকে নজর না দেওয়ায় সিটি করপোরেশনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
গত কয়েক দিনে নগরের তিন পোলের মাথা, আলমাস সিনেমা, জেএম সেন হল, বন্দরটিলা, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর ও আতুরার ডিপো এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ডাস্টবিন উপচে আবর্জনা আশপাশে ছড়িয়ে আছে। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থানে নালা-নর্দমাও অপরিচ্ছন্ন দেখা গেছে। পাশাপাশি নগরের প্রধান সড়কগুলোতে দিনের বেলায় খোলা গাড়িতে আবর্জনা পরিবহনের চিত্র নিত্যদিনের।
বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র মন্জুর আলম তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ ও জৈব সার উৎপাদন প্রকল্পেরও অগ্রগতি নেই ।
আবর্জনা পরিশোধনাগার (গার্বেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের পরিচ্ছন্নতা স্ট্যান্ডিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আবর্জনা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ও সার কারখানা করার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে কয়েক দিন পর জানাতে পারব।’ দিনের বেলা খোলা গাড়িতে আবর্জনা পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী রোজার মাসে মাগরিবের পর আবর্জনা পরিবহন করা হবে। দিনের বেলায় আর খোলাভাবে আবর্জনা বহন করা হবে না।
চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, নগরের মোট এক হাজার ৩০০ ডাস্টবিন আছে। দিনে দুইবেলা এসব ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু অনেকেই নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেলেন না। এ কারণে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেললে তা সরিয়ে নেওয়া সহজসাধ্য হয়। তবে ভোগান্তির শিকার নগরবাসী দুষছেন সিটি করপোরেশনকেই। নগরের মেহেদিবাগ সড়কের বাসিন্দা মইন উদ্দিন বলেন, ‘জহুর আহমদ চৌধুরী সড়কের মুখে আর ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে দুটো ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন আছে। সেগুলো থেকে সব সময় আবর্জনা উপচে পড়তে দেখা যায়। দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটাচলা করতে হয়। জহুর আহমদ চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদের নামফলকের সামনে কীভাবে একটা ডাস্টবিন বছরের পর বছর বসানো থাকে? এটাই কী পরিচ্ছন্ন নগরের নমুনা!’
নগরের বিবিরহাট এলাকার বাসিন্দা শফিউল আজম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিবিরহাট গরুর বাজার ও আতুরার ডিপোসহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ওপর দিয়ে ময়লা পানি প্রবাহিত হতে থাকে। নোংরা পানি ডিঙিয়েই এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হয়।
নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন ও দিনের বেলায় খোলা গাড়িতে ময়লা পরিবহনের কারণে বিভিন্ন এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি মজে যাওয়া নালা-নর্দমাও নগরবাসীর বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যার দিকে নজর না দেওয়ায় সিটি করপোরেশনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
গত কয়েক দিনে নগরের তিন পোলের মাথা, আলমাস সিনেমা, জেএম সেন হল, বন্দরটিলা, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর ও আতুরার ডিপো এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ডাস্টবিন উপচে আবর্জনা আশপাশে ছড়িয়ে আছে। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থানে নালা-নর্দমাও অপরিচ্ছন্ন দেখা গেছে। পাশাপাশি নগরের প্রধান সড়কগুলোতে দিনের বেলায় খোলা গাড়িতে আবর্জনা পরিবহনের চিত্র নিত্যদিনের।
বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র মন্জুর আলম তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ ও জৈব সার উৎপাদন প্রকল্পেরও অগ্রগতি নেই ।
আবর্জনা পরিশোধনাগার (গার্বেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের পরিচ্ছন্নতা স্ট্যান্ডিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আবর্জনা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ও সার কারখানা করার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে কয়েক দিন পর জানাতে পারব।’ দিনের বেলা খোলা গাড়িতে আবর্জনা পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী রোজার মাসে মাগরিবের পর আবর্জনা পরিবহন করা হবে। দিনের বেলায় আর খোলাভাবে আবর্জনা বহন করা হবে না।
চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, নগরের মোট এক হাজার ৩০০ ডাস্টবিন আছে। দিনে দুইবেলা এসব ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু অনেকেই নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেলেন না। এ কারণে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেললে তা সরিয়ে নেওয়া সহজসাধ্য হয়। তবে ভোগান্তির শিকার নগরবাসী দুষছেন সিটি করপোরেশনকেই। নগরের মেহেদিবাগ সড়কের বাসিন্দা মইন উদ্দিন বলেন, ‘জহুর আহমদ চৌধুরী সড়কের মুখে আর ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে দুটো ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন আছে। সেগুলো থেকে সব সময় আবর্জনা উপচে পড়তে দেখা যায়। দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটাচলা করতে হয়। জহুর আহমদ চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদের নামফলকের সামনে কীভাবে একটা ডাস্টবিন বছরের পর বছর বসানো থাকে? এটাই কী পরিচ্ছন্ন নগরের নমুনা!’
নগরের বিবিরহাট এলাকার বাসিন্দা শফিউল আজম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিবিরহাট গরুর বাজার ও আতুরার ডিপোসহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ওপর দিয়ে ময়লা পানি প্রবাহিত হতে থাকে। নোংরা পানি ডিঙিয়েই এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হয়।
No comments