বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পর্যবেক্ষক নিয়োগে
দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল বিশ্বব্যাংকের। দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন
(দুদক) সেই অভিযোগের তদন্ত করে। সে তদন্ত বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এর আগে একই প্রতিবেদন
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছিল। তখন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন,
বাংলাদেশ এই প্রতিবেদন সম্পর্কে মতামত দেবে। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে সেই
মতামত যুক্ত করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের
পক্ষ থেকে কোনো মতামত না দেওয়ায় বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেখানে অনিবার্যভাবেই এসে পড়েছে সাবেক
যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নাম। পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের করা এফআইআরের
প্রশংসা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তবে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের
নাম এফআইআর থেকে বাদ দেওয়াকে যৌক্তিক মনে করেনি বিশ্বব্যাংক।
এ কথা ঠিক, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর থেকেই আবুল হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর, তা আমলে না নিয়ে উল্টো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এক অঘোষিত যুদ্ধই যেন শুরু হয়ে যায়। বিশ্বব্যাংক আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-কাজে সংস্থাটি অর্থায়ন করে থাকে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের বড় অঙ্কের অর্থায়ন করার ছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের পর একপর্যায়ে সরে গেলেও সেই অর্থ অন্য কোনো দেশকে না দিয়ে বাংলাদেশের ভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে বিশ্বব্যাংক। কাজেই পদ্মা সেতু থেকে দুর্নীতির অভিযোগে সরে গেলেও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকতে বিশ্বব্যাংকের আগ্রহে ঘাটতি পড়েনি। কিন্তু পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্বব্যাংকের অসন্তুষ্টি স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক তিনটি সুপারিশও করেছে। কাজেই বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের আন্তরিকতাও স্পষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের আন্তরিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নাম এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করলেই কি তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়ে যেতেন? আদালতে যতক্ষণ না অভিযোগ প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করা হয়নি। আবেগকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক বিবেচনায় নিলে পদ্মা সেতুর মতো নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এত দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে হতো না সরকারকে।
এ কথা ঠিক, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর থেকেই আবুল হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর, তা আমলে না নিয়ে উল্টো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এক অঘোষিত যুদ্ধই যেন শুরু হয়ে যায়। বিশ্বব্যাংক আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-কাজে সংস্থাটি অর্থায়ন করে থাকে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের বড় অঙ্কের অর্থায়ন করার ছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের পর একপর্যায়ে সরে গেলেও সেই অর্থ অন্য কোনো দেশকে না দিয়ে বাংলাদেশের ভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে বিশ্বব্যাংক। কাজেই পদ্মা সেতু থেকে দুর্নীতির অভিযোগে সরে গেলেও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকতে বিশ্বব্যাংকের আগ্রহে ঘাটতি পড়েনি। কিন্তু পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্বব্যাংকের অসন্তুষ্টি স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক তিনটি সুপারিশও করেছে। কাজেই বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের আন্তরিকতাও স্পষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের আন্তরিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নাম এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করলেই কি তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়ে যেতেন? আদালতে যতক্ষণ না অভিযোগ প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করা হয়নি। আবেগকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক বিবেচনায় নিলে পদ্মা সেতুর মতো নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এত দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে হতো না সরকারকে।
No comments