বিএনপির প্রতিক্রিয়া-প্রার্থিতা প্রত্যাহার আচরণবিধি লঙ্ঘন
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক
ফোরামের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জোরপূর্বক
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক কাউকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলা সরাসরি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উচ্চ আদালত অবমাননার শামিল।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক হান্নান শাহ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ।
বুধবার বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন ও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে হান্নান শাহ বলেন, 'সরকার চার সিটি নির্বাচনে ভরাডুবির পর গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠবে- এটা আমরা আগে থেকে আঁচ করতে পেরেছি। তবে জোর করে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা সিটি নির্বাচনে সরকার ও প্রশাসনের প্রাথমিক হস্তক্ষেপ বলেই আমি মনে করি।' হান্নান শাহ বলেন, 'গাজীপুরে এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। চার সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর সরকার বৈরী হয়েই এমন আচরণ করছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ও গাজীপুরের জনগণ সরকারের এহেন আচরণের তীব্র জবাব দেবে। সিটি নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের অপকৌশল ১৮ দলীয় জোট প্রতিহত করবে।'
জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতার বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিতে হয়েছে। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই পদত্যাগপত্র গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পাঠিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাহাঙ্গীরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
হান্নান শাহ বলেন, পত্রিকা ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, মঙ্গলবার টঙ্গীতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাহাঙ্গীরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকের লোকজন এবং ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কিছু নেতা-কর্মী জোর করে সরকারি গাড়িতে উঠিয়ে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে চাপ সইতে না পেরে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে না-সূচক উত্তর পেয়ে তাঁকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। পরে তাঁকে সংসদ ভবন থেকে রাত ১১টায় বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হান্নান শাহ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক হান্নান শাহ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ।
বুধবার বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন ও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে হান্নান শাহ বলেন, 'সরকার চার সিটি নির্বাচনে ভরাডুবির পর গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠবে- এটা আমরা আগে থেকে আঁচ করতে পেরেছি। তবে জোর করে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা সিটি নির্বাচনে সরকার ও প্রশাসনের প্রাথমিক হস্তক্ষেপ বলেই আমি মনে করি।' হান্নান শাহ বলেন, 'গাজীপুরে এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। চার সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর সরকার বৈরী হয়েই এমন আচরণ করছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ও গাজীপুরের জনগণ সরকারের এহেন আচরণের তীব্র জবাব দেবে। সিটি নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের অপকৌশল ১৮ দলীয় জোট প্রতিহত করবে।'
জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতার বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিতে হয়েছে। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই পদত্যাগপত্র গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পাঠিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাহাঙ্গীরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
হান্নান শাহ বলেন, পত্রিকা ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, মঙ্গলবার টঙ্গীতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাহাঙ্গীরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকের লোকজন এবং ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কিছু নেতা-কর্মী জোর করে সরকারি গাড়িতে উঠিয়ে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে চাপ সইতে না পেরে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে না-সূচক উত্তর পেয়ে তাঁকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। পরে তাঁকে সংসদ ভবন থেকে রাত ১১টায় বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হান্নান শাহ।
No comments