পবিত্র কোরআনের আলো-বদনজর ভয়ংকর, তা থেকে বাঁচতে সতর্কতা প্রয়োজন
৬৬. কা-লা লান উরসিলাহূ মা'আকুম হাত্তা-
তু'তূনি মাওছিক্বাম মিনাল্লা-হি লাতা'তুন্নানী বিহী- ইল্লা- আন ইয়ুহা-তা
বিকুম, ফালাম্মা- আ-তাওহু মাওছিকাহুম কা-লাল্লাহু 'আলা- মা- নাকূলু ওয়াকীল।
৬৭. ওয়া কা-লা য়া-বানীয়্যা লা তাদখুলূ মিম বা-বিওঁ
ওয়াহিদিন ওয়াদখুলূ মিন আবওয়াবিম মুতাফাররিকাতিন, ওয়া মা- উগনী 'আনকুম
মিনাল্লা-হি মিন শাইইন, ইনিল হুকমু ইল্লা- লিল্লা-হি, 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু
ওয়া 'আলাইহি ফাল য়াতাওয়াক্কালিল মুতাওয়াক্কিলূন। সুরা ইউসুফ।
অনুবাদ : ৬৬. পিতা বললেন, আমি তাকে (বিনয়ামিনকে) তোমাদের সঙ্গে কিছুতেই পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে আমাকে প্রতিশ্রুতি দাও যে তাকে আমার কাছে ফেরত আনবে। তবে বাস্তবেই তোমরা নিরুপায় হয়ে গেলে তা ভিন্ন কথা। পিতাকে তারা প্রত্যেকেই প্রতিশ্রুতি দিল। তখন তিনি বললেন, আমাদের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হলো, এর সব কিছুতেই আল্লাহ সাক্ষী।* ৬৭. এবং ইয়াকুব (আ.) বললেন, বাপুরা, শোনো, তোমরা (নগরে) সবাই মিলিতভাবে একই দরোজা দিয়ে ঢুকবে না; বরং পৃথক দরোজা দিয়ে প্রবেশ করো।* আমি তোমাদের আল্লাহর বিধান থেকে রক্ষা করতে পারব না। আল্লাহর বিধানই কেবল কার্যকর। আমি তাঁর ওপর ভরসা করি। কেউ ভরসা করতে চাইলে কেবল তাঁর ওপরই ভরসা করা উচিত।
তাফসির : * ইউসুফ (আ.)-এর সৎ ভাইয়েরা ব্যাপক পীড়াপীড়ি করার কারণে শেষ পর্যন্ত ইয়াকুব (আ.) তাদের সঙ্গে বিনয়ামিনকে দিয়ে দিতে সম্মত হলেন। পুত্রদের ঠিকই ইউসুফের ঘটনা স্মরণ করিয়ে তিরস্কার করলেন। বললেন, আমি কি ইউসুফকে সঙ্গে দেওয়ার সময় যেমন বিশ্বাস করেছিলাম, বিনয়ামিনের ক্ষেত্রেও তার মতোই বিশ্বাস করব? না, এটা হতে পারে না। তোমরা বরং কসম করে বলো, বিনয়ামিনকে ফেরত নিয়ে আসবে। ইয়াকুব (আ.)-এর এগুলো ছিল কথার কথা। মূলত তিনি আল্লাহর নবীসুলভ নির্ভরতায় পরিবারের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে ঠিকই বিনয়ামিনকে তাদের সঙ্গে দিয়ে দিলেন। পুত্রদের উদ্দেশে বললেন, বিপদাপদ কোনোটাই মানুষের নিয়ন্ত্রণে নয়। আল্লাহ যা চান, তা কেউ রোধ করতে পারে না। তাই মানুষসহ কোনো সৃষ্টির প্রতিই ভরসা করা ঠিক নয়; সকল নির্ভরতা শুধুই আল্লাহর ওপর। অস্বাভাবিক কোনো গল্প সাজানোর চেষ্টা করো না। আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করছি। তিনিই সব বিষয়ে সবচেয়ে জ্ঞানী ও তত্ত্বাবধায়ক।
* হজরত ইয়াকুব (আ.) সন্তানদের বাড়ি ছাড়ার সময় বললেন, তোমরা শহরে একই পথ দিয়ে মিলিতভাবে প্রবেশ করো না। বিভিন্ন পথে পৃথকভাবে প্রবেশ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেছেন, ইয়াকবু (আ.) এই নির্দেশনা দেওয়ার কারণ ছিল, তিনি সন্তানদের ওপর বদনজর লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। কারণ, তাদের প্রত্যেকেই ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও স্মার্ট। নজর লাগার বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। তা খুবই ভয়ংকর। হজরত ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, ইয়াকুব (আ.) আল্লাহর নবী হওয়ায় তিনি জানতেন, ছেলেরা সবাই শহরের কোনো একটি পথে গিয়ে মিলিত হবে। তাই সতর্ক করে দিয়ে বললেন, তোমরা পৃথকভাবে শহরে প্রবেশ করবে। যদিও আমি তোমাদের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি, তা তকদিরের ফায়সালা খণ্ডন করতে পারবে না।
তাফসিরে ইবনে কাছির ও মাআরেফুল কোরআন অবলম্বনে হাসানুল কাদির
অনুবাদ : ৬৬. পিতা বললেন, আমি তাকে (বিনয়ামিনকে) তোমাদের সঙ্গে কিছুতেই পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে আমাকে প্রতিশ্রুতি দাও যে তাকে আমার কাছে ফেরত আনবে। তবে বাস্তবেই তোমরা নিরুপায় হয়ে গেলে তা ভিন্ন কথা। পিতাকে তারা প্রত্যেকেই প্রতিশ্রুতি দিল। তখন তিনি বললেন, আমাদের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হলো, এর সব কিছুতেই আল্লাহ সাক্ষী।* ৬৭. এবং ইয়াকুব (আ.) বললেন, বাপুরা, শোনো, তোমরা (নগরে) সবাই মিলিতভাবে একই দরোজা দিয়ে ঢুকবে না; বরং পৃথক দরোজা দিয়ে প্রবেশ করো।* আমি তোমাদের আল্লাহর বিধান থেকে রক্ষা করতে পারব না। আল্লাহর বিধানই কেবল কার্যকর। আমি তাঁর ওপর ভরসা করি। কেউ ভরসা করতে চাইলে কেবল তাঁর ওপরই ভরসা করা উচিত।
তাফসির : * ইউসুফ (আ.)-এর সৎ ভাইয়েরা ব্যাপক পীড়াপীড়ি করার কারণে শেষ পর্যন্ত ইয়াকুব (আ.) তাদের সঙ্গে বিনয়ামিনকে দিয়ে দিতে সম্মত হলেন। পুত্রদের ঠিকই ইউসুফের ঘটনা স্মরণ করিয়ে তিরস্কার করলেন। বললেন, আমি কি ইউসুফকে সঙ্গে দেওয়ার সময় যেমন বিশ্বাস করেছিলাম, বিনয়ামিনের ক্ষেত্রেও তার মতোই বিশ্বাস করব? না, এটা হতে পারে না। তোমরা বরং কসম করে বলো, বিনয়ামিনকে ফেরত নিয়ে আসবে। ইয়াকুব (আ.)-এর এগুলো ছিল কথার কথা। মূলত তিনি আল্লাহর নবীসুলভ নির্ভরতায় পরিবারের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে ঠিকই বিনয়ামিনকে তাদের সঙ্গে দিয়ে দিলেন। পুত্রদের উদ্দেশে বললেন, বিপদাপদ কোনোটাই মানুষের নিয়ন্ত্রণে নয়। আল্লাহ যা চান, তা কেউ রোধ করতে পারে না। তাই মানুষসহ কোনো সৃষ্টির প্রতিই ভরসা করা ঠিক নয়; সকল নির্ভরতা শুধুই আল্লাহর ওপর। অস্বাভাবিক কোনো গল্প সাজানোর চেষ্টা করো না। আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করছি। তিনিই সব বিষয়ে সবচেয়ে জ্ঞানী ও তত্ত্বাবধায়ক।
* হজরত ইয়াকুব (আ.) সন্তানদের বাড়ি ছাড়ার সময় বললেন, তোমরা শহরে একই পথ দিয়ে মিলিতভাবে প্রবেশ করো না। বিভিন্ন পথে পৃথকভাবে প্রবেশ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেছেন, ইয়াকবু (আ.) এই নির্দেশনা দেওয়ার কারণ ছিল, তিনি সন্তানদের ওপর বদনজর লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। কারণ, তাদের প্রত্যেকেই ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও স্মার্ট। নজর লাগার বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। তা খুবই ভয়ংকর। হজরত ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, ইয়াকুব (আ.) আল্লাহর নবী হওয়ায় তিনি জানতেন, ছেলেরা সবাই শহরের কোনো একটি পথে গিয়ে মিলিত হবে। তাই সতর্ক করে দিয়ে বললেন, তোমরা পৃথকভাবে শহরে প্রবেশ করবে। যদিও আমি তোমাদের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি, তা তকদিরের ফায়সালা খণ্ডন করতে পারবে না।
তাফসিরে ইবনে কাছির ও মাআরেফুল কোরআন অবলম্বনে হাসানুল কাদির
No comments