দুই মাস পর বাড়ি ফিরে ফের 'নিখোঁজ' তিনি
জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম দুই মাস সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল বুধবার ভোরে
নিজ বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মিরকামারী গ্রামে ফেরেন। তবে বাড়িতে
আধাঘণ্টা থাকার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
পরিবারের
সদস্যরা জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি গোপন স্থানে চলে গেছেন। এত দিন
কোথায় ছিলেন ও কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি।
৬৭ দিন পর বাড়ি ফিরেই কিছুক্ষণের মধ্যে নজরুল ইসলামের গোপন স্থানে চলে যাওয়ার ঘটনায় জয়পুরহাটবাসীর মধ্যে এ প্রশ্নও দেখা দিয়েছে যে তাঁকে সত্যিই অপহরণ করা হয়েছিল নাকি তিনি লুকিয়ে ছিলেন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, গত ১১ এপ্রিল রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়ার বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে জেলায় একাধিক দিন হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জয়পুরহাট ও ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। এত কিছুর পরও সন্ধান না মেলায় মানুষের মনে ধারণা জন্মেছিল, হয়তো তাঁকে হত্যার পর গুম করা হয়েছে। তবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়, নজরুলের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
নজরুলের বাড়ি ফেরার খবর নিশ্চিত করে তাঁর মা আজেলা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ছেলে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে সে আমার খোঁজখবর নেয়। এর পর সে বের হয়ে যায়।'
ছেলে আবার কোথায় গেছে- প্রশ্নের জবাবে তাঁর মা বলেন, 'সে আবার কোথায় গেছে জানি না। তবে সে বেঁচে আছে আর ভালো আছে, এটুকুই আমার সান্ত্বনা।'
নজরুল ইসলামের ছোট ভাই কামরুজ্জামান মাসুম জানান, বাড়ি ফিরে তাঁর ভাই এত দিন কোথায় ছিলেন বা কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল- কিছুই না জানিয়ে শুধু বলেন, 'যারা নিয়ে গিয়েছিল তারা ভালো রেখেছিল। এখনো তিনি ভালো ও সুস্থ আছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে আরো কিছুদিন আত্মগোপনে থাকতে হবে।' এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি নিষেধ করেন এবং বলেন কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাতে পারবেন না। তবে এখনো তিনি নিরাপদ নন বলেও এ সময় জানান। মাসুম আরো জানান, বাড়িতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিট অবস্থানকালে তিনি অন্য কারো সঙ্গে দেখা করেননি।
তবে নজরুলের বাড়ি ফেরার কথা খুব তাড়াতাড়িই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মিরকামারী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, 'ফজরের নামাজের পর পরই স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দলে দলে সাইকেলে চড়ে তাঁর (নজরুলের) বাড়িতে যায়। তবে শুনেছি, তারা নাকি দেখা পায়নি।'
পাবনা জেলা জামায়াতের আমির তালেব মণ্ডল কালের কণ্ঠকে জানান, পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, অপহরণকারীদের ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাননি। তবে গতকাল ফিরে আসার পর আবার কোথায় তিনি চলে গেছেন, তা তিনি জানেন না।
গতকাল সকালে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার নজরুলের ছোট ভাই মাসুমের বরাত দিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে নজরুলের বাড়ি ফেরার খবরটি নিশ্চিত করেন। এ সময় একাধিক সংবাদকর্মী মাসুমের সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'যেখানে ভাইকে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাসযোগে বুধবার ভোররাতে ভাই বাড়ি ফিরেছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এ মুহূর্তে তাঁকে গোপনে রাখা হয়েছে।' সেলফোনে কথা বলার মতো অবস্থায় তিনি আছেন কি না- জানতে চাইলে মাসুম বলেন, 'কথা বলতে পারলেও এখন সেটা সম্ভব নয়।' এ সময় পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, 'নজরুল ইসলামকে জয়পুরহাটে নেওয়ার জন্য জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদকে ঈশ্বরদীতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফিরে এলে এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে নজরুল ইসলামকে পাওয়া গেছে- খবর প্রচারিত হওয়ার পর বিস্তারিত জানতে কৌতূহলী হয়ে ওঠে জয়পুরহাটের মানুষ। তিনি নিখোঁজের পর তিন দিন হরতালসহ প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে নানা বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে এ জেলার সর্বস্তরের মানুষকে।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী বলেন, 'নজরুল ইসলাম নিখোঁজের কারণে জয়পুরহাটে একাধিক হরতাল হয়েছে। অথচ তিনি একাকী তাঁর বাড়িতে ফিরে এসেছেন বলে শুনেছি। যদি তা-ই হয়, তাহলে কোন কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন তা প্রশাসনেরই উদ্ঘাটন করা জরুরি।' জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দলাল পার্শী বলেন, 'নজরুল হারিয়ে যাক আর নিখোঁজ হোক কোনো রাজনীতিবিদের জীবনে এমন ঘটনা কাম্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়পুরহাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'জামায়াতের নেতা নজরুল ইসলাম নিখোঁজের খবর শুনে খুব আফসোস করেছি। কিন্তু এখন শুনছি উনি একাই বাড়িতে এসে আত্মগোপন করেছেন। এটা দুঃখজনক।'
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ কালের কণ্ঠকে জানান, নজরুল ইসলামের ফিরে আসার সংবাদ পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সকালেই জয়পুরহাট পুলিশের একটি দল ঈশ্বরদীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
৬৭ দিন পর বাড়ি ফিরেই কিছুক্ষণের মধ্যে নজরুল ইসলামের গোপন স্থানে চলে যাওয়ার ঘটনায় জয়পুরহাটবাসীর মধ্যে এ প্রশ্নও দেখা দিয়েছে যে তাঁকে সত্যিই অপহরণ করা হয়েছিল নাকি তিনি লুকিয়ে ছিলেন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, গত ১১ এপ্রিল রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়ার বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে জেলায় একাধিক দিন হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জয়পুরহাট ও ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। এত কিছুর পরও সন্ধান না মেলায় মানুষের মনে ধারণা জন্মেছিল, হয়তো তাঁকে হত্যার পর গুম করা হয়েছে। তবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়, নজরুলের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
নজরুলের বাড়ি ফেরার খবর নিশ্চিত করে তাঁর মা আজেলা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ছেলে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে সে আমার খোঁজখবর নেয়। এর পর সে বের হয়ে যায়।'
ছেলে আবার কোথায় গেছে- প্রশ্নের জবাবে তাঁর মা বলেন, 'সে আবার কোথায় গেছে জানি না। তবে সে বেঁচে আছে আর ভালো আছে, এটুকুই আমার সান্ত্বনা।'
নজরুল ইসলামের ছোট ভাই কামরুজ্জামান মাসুম জানান, বাড়ি ফিরে তাঁর ভাই এত দিন কোথায় ছিলেন বা কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল- কিছুই না জানিয়ে শুধু বলেন, 'যারা নিয়ে গিয়েছিল তারা ভালো রেখেছিল। এখনো তিনি ভালো ও সুস্থ আছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে আরো কিছুদিন আত্মগোপনে থাকতে হবে।' এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি নিষেধ করেন এবং বলেন কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাতে পারবেন না। তবে এখনো তিনি নিরাপদ নন বলেও এ সময় জানান। মাসুম আরো জানান, বাড়িতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিট অবস্থানকালে তিনি অন্য কারো সঙ্গে দেখা করেননি।
তবে নজরুলের বাড়ি ফেরার কথা খুব তাড়াতাড়িই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মিরকামারী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, 'ফজরের নামাজের পর পরই স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দলে দলে সাইকেলে চড়ে তাঁর (নজরুলের) বাড়িতে যায়। তবে শুনেছি, তারা নাকি দেখা পায়নি।'
পাবনা জেলা জামায়াতের আমির তালেব মণ্ডল কালের কণ্ঠকে জানান, পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, অপহরণকারীদের ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাননি। তবে গতকাল ফিরে আসার পর আবার কোথায় তিনি চলে গেছেন, তা তিনি জানেন না।
গতকাল সকালে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার নজরুলের ছোট ভাই মাসুমের বরাত দিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে নজরুলের বাড়ি ফেরার খবরটি নিশ্চিত করেন। এ সময় একাধিক সংবাদকর্মী মাসুমের সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'যেখানে ভাইকে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাসযোগে বুধবার ভোররাতে ভাই বাড়ি ফিরেছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এ মুহূর্তে তাঁকে গোপনে রাখা হয়েছে।' সেলফোনে কথা বলার মতো অবস্থায় তিনি আছেন কি না- জানতে চাইলে মাসুম বলেন, 'কথা বলতে পারলেও এখন সেটা সম্ভব নয়।' এ সময় পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, 'নজরুল ইসলামকে জয়পুরহাটে নেওয়ার জন্য জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদকে ঈশ্বরদীতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফিরে এলে এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে নজরুল ইসলামকে পাওয়া গেছে- খবর প্রচারিত হওয়ার পর বিস্তারিত জানতে কৌতূহলী হয়ে ওঠে জয়পুরহাটের মানুষ। তিনি নিখোঁজের পর তিন দিন হরতালসহ প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে নানা বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে এ জেলার সর্বস্তরের মানুষকে।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী বলেন, 'নজরুল ইসলাম নিখোঁজের কারণে জয়পুরহাটে একাধিক হরতাল হয়েছে। অথচ তিনি একাকী তাঁর বাড়িতে ফিরে এসেছেন বলে শুনেছি। যদি তা-ই হয়, তাহলে কোন কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন তা প্রশাসনেরই উদ্ঘাটন করা জরুরি।' জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দলাল পার্শী বলেন, 'নজরুল হারিয়ে যাক আর নিখোঁজ হোক কোনো রাজনীতিবিদের জীবনে এমন ঘটনা কাম্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়পুরহাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'জামায়াতের নেতা নজরুল ইসলাম নিখোঁজের খবর শুনে খুব আফসোস করেছি। কিন্তু এখন শুনছি উনি একাই বাড়িতে এসে আত্মগোপন করেছেন। এটা দুঃখজনক।'
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ কালের কণ্ঠকে জানান, নজরুল ইসলামের ফিরে আসার সংবাদ পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সকালেই জয়পুরহাট পুলিশের একটি দল ঈশ্বরদীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
No comments