টনক নড়ল ৩ মাস পর by তোফায়েল আহমদ
বান্দরবানের বাদুরঝিরির গহিন পাহাড়ের
আদিবাসীদের উচ্ছেদের তিন মাস পর গতকাল বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি
মামলা করা হয়েছে। তাও কালের কণ্ঠে 'দখলবাজদের হুমকিতে ভিটা ছাড়ছে পাহাড়িরা'
শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর।
সংবাদ প্রকাশের
পর গতকালই বান্দরবানের লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ
প্রথমবারের মতো বাইশারী এলাকায় যান। বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদে তিনি স্থানীয়
গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক
দলের নেতা-কর্মী এবং চাক সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চাকদের
পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম মনু কালের কণ্ঠকে জানান, চাক সম্প্রদায়কে উচ্ছেদের ঘটনায় লামা সার্কেলের এএসপি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, নীতিমালার বাইরে জমি বেচাকেনা, দখল প্রভৃতি বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বাইশারী এলাকা পরিদর্শন করেছি। উচ্ছেদ হওয়া ১৪টি চাক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বাদুরঝিরির নিজ এলাকায় পুনর্বাসন করা হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।' উচ্ছেদের ঘটনায় এত দিন মামলা হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে না গেলেও থানার ওসি এবং ফাঁড়ির ইনচার্জ চাকদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করার জন্য বলেছেন। কিন্তু তারা (উচ্ছেদের শিকার চাক পরিবারের সদস্যরা) কেউ মামলা করতে রাজি ছিল না। আজ (বুধবার) আমি সেখানে গিয়ে তাদের সাহস জুগিয়ে, নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করেছি।'
জানা গেছে, উচ্ছেদের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১০-১২ জন দখলদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন চাক সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা খিজারী কারবারি (নং-(৪) ১৯/৬/১৩ ইং)। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমিত বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে জানান, আদিবাসীদের জমি দখলের ঘটনায় ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত ও আদিবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দখলবাজদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তছলিম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল জানান, কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ (বুধবার) বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কৈ শৈলা মারমা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মুজিবুর রহমান আদিবাসীদের জমি দখলের ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের বাদুরঝিরি এলাকা থেকে ১৪টি চাক পরিবারকে উচ্ছেদ করে দখলবাজরা। এর আগের এক মাসে ওই এলাকা থেকে আরো সাতটি চাক পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম মনু কালের কণ্ঠকে জানান, চাক সম্প্রদায়কে উচ্ছেদের ঘটনায় লামা সার্কেলের এএসপি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, নীতিমালার বাইরে জমি বেচাকেনা, দখল প্রভৃতি বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বাইশারী এলাকা পরিদর্শন করেছি। উচ্ছেদ হওয়া ১৪টি চাক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বাদুরঝিরির নিজ এলাকায় পুনর্বাসন করা হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।' উচ্ছেদের ঘটনায় এত দিন মামলা হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে না গেলেও থানার ওসি এবং ফাঁড়ির ইনচার্জ চাকদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করার জন্য বলেছেন। কিন্তু তারা (উচ্ছেদের শিকার চাক পরিবারের সদস্যরা) কেউ মামলা করতে রাজি ছিল না। আজ (বুধবার) আমি সেখানে গিয়ে তাদের সাহস জুগিয়ে, নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করেছি।'
জানা গেছে, উচ্ছেদের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১০-১২ জন দখলদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন চাক সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা খিজারী কারবারি (নং-(৪) ১৯/৬/১৩ ইং)। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমিত বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে জানান, আদিবাসীদের জমি দখলের ঘটনায় ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত ও আদিবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দখলবাজদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তছলিম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল জানান, কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ (বুধবার) বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কৈ শৈলা মারমা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মুজিবুর রহমান আদিবাসীদের জমি দখলের ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের বাদুরঝিরি এলাকা থেকে ১৪টি চাক পরিবারকে উচ্ছেদ করে দখলবাজরা। এর আগের এক মাসে ওই এলাকা থেকে আরো সাতটি চাক পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
No comments