'নারী হিসেবে আমি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন'
জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের নারী
সংসদ সদস্যদের অশোভন বাক্য বিনিময় ও এর ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে যে
সমালোচনা উঠছে, তার ওপর আলোচনা করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক
অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেছেন,
'আমি নারী হিসেবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন।' তিনি বলেন, 'সরকারি ও
বিরোধী দল বলে কথা নয়, একজন নারী কিভাবে আরেকজন নারীর সম্মান রক্ষা করবেন,
তা না করে সংসদে অশোভন বাক্য বিনিময়ে সচেতন দেশবাসী বিব্রত বোধ করছেন। এ
থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।' তিনি বলেন, 'নারীর ক্ষমতায়ন দরকার আছে। তাই
বলে জাতীয় সংসদের মতো একটি পবিত্র জায়গায় একের প্রতি অন্যের এ ধরনের উক্তি
গ্রহণযোগ্য নয়।'
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলা ভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, 'এত দিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বিরোধী দল সংসদে যায় না। এখন তারা সংসদে যাচ্ছে; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সংসদে নারী সদস্যদের অশোভন বাক্য বিনিময়। নারী সংসদ সদস্যরা একে অন্যের একান্ত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন, যেটা সংসদীয় আচরণের মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'এটা নতুন কোনো বিষয় না। আগের সাড়ে চার বছরের সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখেন, তখনো তাঁরা অনেক অশালীন ভাষায় বিরোধী পক্ষের ওপর মন্তব্য করেছেন।' তিনি বলেন, 'গত সাড়ে চার বছরে এর চেয়েও খারাপ শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এত দিন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একতরফা অশোভন আচরণ করেছেন বলে বাইরে কোনো আলোচনা হয়নি। এখন দুই পক্ষ বলছে বলে বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচনায় এসেছে।'
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের আচরণের বিরোধী। আমি এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করি না। কারণ সংসদ সদস্যদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না। কিন্তু এটি স্পিকারই একমাত্র সমাধান করতে পারেন। রুলস অব প্রসিডিউর অনুযায়ী তাঁর হাতে অনেক ক্ষমতা।' তিনি বলেন, 'স্পিকারকে আগে নিরপেক্ষ ও সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। আগে যদি স্পিকার সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতেন তাহলে এখন এমন অবস্থা হতো না।' তিনি বলেন, 'সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এখন একতরফাভাবে বলতে পারছেন না বলে উদ্বিগ্ন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, 'সংসদ সদস্যরা প্রত্যেকেই নিজেদের নেতা-নেত্রীকে খুশি করার জন্য কথা বলেন। সংসদে এ ধরনের অশোভন উক্তি তারই বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, 'নারী-পুরুষ হিসেবে নয় সংসদ সদস্যদের দেখতে হবে তিনি কোন কাঠামোয় কথা বলছেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, সংসদ সদস্যরা কে কী দিয়ে খান, কিভাবে ঘুমান, ব্যক্তিগত এসব বিষয়ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে চলে আসে। এটা কি ঠিক?
জবাবে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'না এটা ঠিক না। কারণ এ ধরনের বক্তব্য সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে কেউ আশা করে না।' তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিও আরেকজনের চরিত্র নিয়ে কথা বলেছেন।' তিনি বলেন, 'সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে কারো ব্যক্তিগত বিষয় আসা ঠিক নয়। সরকারি দলের পক্ষ থেকে আগেই এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এটা জনগণ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। বিভিন্ন কারণে সরকারি দলের বিভিন্ন নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। সর্বশেষ গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি ছোট পৌরসভা নির্বাচনেও সরকারি দলের ভরাডুবি হয়েছে। এ জন্য সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত।'
আলোচনার এ পর্যায়ে টেলিফোনে অংশ নিয়ে একজন দর্শক আলোচকদের কাছে জানতে চান, অতীতে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা অশোভন বক্তব্য দিয়েছেন বলে এখন বিরোধী দলও তাই করবে?
জবাবে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'না, বিরোধী দল এখন একই ধরনের আচরণ করবে, তা ঠিক নয়। তবে দর্শক আমার বক্তব্য মনে হয় পুরোপুরিভাবে শুনতে পাননি। আমি যেমন আগে এ ধরনের বক্তব্য বলা হয়েছে বলেছি। তেমনি এ-ও বলেছি, এটা বলা ঠিক হয়নি।'
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলা ভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, 'এত দিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বিরোধী দল সংসদে যায় না। এখন তারা সংসদে যাচ্ছে; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সংসদে নারী সদস্যদের অশোভন বাক্য বিনিময়। নারী সংসদ সদস্যরা একে অন্যের একান্ত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন, যেটা সংসদীয় আচরণের মধ্যে পড়ে না। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'এটা নতুন কোনো বিষয় না। আগের সাড়ে চার বছরের সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখেন, তখনো তাঁরা অনেক অশালীন ভাষায় বিরোধী পক্ষের ওপর মন্তব্য করেছেন।' তিনি বলেন, 'গত সাড়ে চার বছরে এর চেয়েও খারাপ শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এত দিন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একতরফা অশোভন আচরণ করেছেন বলে বাইরে কোনো আলোচনা হয়নি। এখন দুই পক্ষ বলছে বলে বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচনায় এসেছে।'
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের আচরণের বিরোধী। আমি এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করি না। কারণ সংসদ সদস্যদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না। কিন্তু এটি স্পিকারই একমাত্র সমাধান করতে পারেন। রুলস অব প্রসিডিউর অনুযায়ী তাঁর হাতে অনেক ক্ষমতা।' তিনি বলেন, 'স্পিকারকে আগে নিরপেক্ষ ও সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। আগে যদি স্পিকার সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতেন তাহলে এখন এমন অবস্থা হতো না।' তিনি বলেন, 'সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এখন একতরফাভাবে বলতে পারছেন না বলে উদ্বিগ্ন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, 'সংসদ সদস্যরা প্রত্যেকেই নিজেদের নেতা-নেত্রীকে খুশি করার জন্য কথা বলেন। সংসদে এ ধরনের অশোভন উক্তি তারই বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, 'নারী-পুরুষ হিসেবে নয় সংসদ সদস্যদের দেখতে হবে তিনি কোন কাঠামোয় কথা বলছেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, সংসদ সদস্যরা কে কী দিয়ে খান, কিভাবে ঘুমান, ব্যক্তিগত এসব বিষয়ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে চলে আসে। এটা কি ঠিক?
জবাবে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'না এটা ঠিক না। কারণ এ ধরনের বক্তব্য সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে কেউ আশা করে না।' তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিও আরেকজনের চরিত্র নিয়ে কথা বলেছেন।' তিনি বলেন, 'সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে কারো ব্যক্তিগত বিষয় আসা ঠিক নয়। সরকারি দলের পক্ষ থেকে আগেই এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এটা জনগণ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। বিভিন্ন কারণে সরকারি দলের বিভিন্ন নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। সর্বশেষ গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি ছোট পৌরসভা নির্বাচনেও সরকারি দলের ভরাডুবি হয়েছে। এ জন্য সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত।'
আলোচনার এ পর্যায়ে টেলিফোনে অংশ নিয়ে একজন দর্শক আলোচকদের কাছে জানতে চান, অতীতে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা অশোভন বক্তব্য দিয়েছেন বলে এখন বিরোধী দলও তাই করবে?
জবাবে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'না, বিরোধী দল এখন একই ধরনের আচরণ করবে, তা ঠিক নয়। তবে দর্শক আমার বক্তব্য মনে হয় পুরোপুরিভাবে শুনতে পাননি। আমি যেমন আগে এ ধরনের বক্তব্য বলা হয়েছে বলেছি। তেমনি এ-ও বলেছি, এটা বলা ঠিক হয়নি।'
No comments