চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ পানির জন্য গরিবের হাহাকার by প্রণব বল
‘তিন দিন ধরে পানি আসে না। প্রতিদিন কলস
লাইনে বসাই। পরে নিরাশ হয়ে নিয়ে আসি। অনেক দূর থেকে প্রতি কলস দুই টাকা করে
পানি এনে কোনো রকমে জরুরি কাজগুলো সারছি এখন।’
নগরের আমবাগান রেললাইনের বস্তিতে বসবাসকারী পোশাকশ্রমিক নূরজাহান এভাবেই তুলে ধরেন পানিসংকটের কথা।
এখন বর্ষাকাল হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা চাহিদার ৪০ শতাংশ পানি সরবরাহ করতে পারলেও এই গরমে তাও পারছে না। তাই পানির জন্য হাহাকার করছে নূরজাহানের মতো বস্তি ও ছোট ভবনের বাসিন্দা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। অবশ্য ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ থাকায় কোনো কোনো ভবনের বাসিন্দারা পানির সংকট থেকে মুক্ত।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, নগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। ওয়াসা সরবরাহ করে গড়ে ২০ থেকে ২২ কোটি লিটার। এর মধ্যে নয় কোটি লিটার মোহরা পানি শোধনাগারের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়। অবশিষ্ট পানি সরবরাহ করা হয় ৯০টি গভীর নলকূপের সাহায্যে।
ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তপন দাশ বলেন, ‘চাহিদার ৪০-৪২ শতাংশ পানি আমরা সরবরাহ করতে পারি। মোহরা প্রকল্প ও ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে এ পানি সরবরাহ করা হয়। তবে দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে। ২০১৪ সাল নাগাদ কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আরও ১৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ-প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে। তখন সংকট কিছুটা কমবে।’
ওয়াসা সূত্র জানায়, শুষ্ক মৌসুমে পানির চাহিদা আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বিদ্যুৎসহ নানা কারণে এ সময় উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা যায়। কয়েক দিন ধরে মোহরা পানি শোধনাগারে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন করা যায়নি। সিঅ্যান্ডবি রাস্তায় ওয়াসার প্রধান সরবরাহ লাইন ফেটে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে বন্ধ রেখে ওই সরবরাহ লাইনটি মেরামত করা হয়।
পানি আসে না: সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের আসকার দিঘির পাড়, বাগঘোনা, আমবাগান, দক্ষিণ নালাপাড়া, আগ্রাবাদ, সরাইপাড়া, হালিশহরসহ বিভিন্ন স্থানে পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। নালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা অলকেশ পাল বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আমাদের এখানে কোনো পানি সরবরাহ নেই। মাঝেমধ্যে একটু একটু করে এলেও তা কাজ সারার মতো যথেষ্ট নয়। পানির জন্য আমাদের মতো মধ্য ও নিম্নবিত্তরাই সমস্যায় পড়েছে। ভবনের মালিকদের গভীর নলকূপ রয়েছে।’
শহরের কোনো কোনো এলাকায় সপ্তাহে একবার পানি দেয় ওয়াসা। কিছু এলাকায় সপ্তাহে দুইবার। সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করার পরিবর্তে খণ্ডকালীন (রেশনিংয়ের মাধ্যমে) পানি সরবরাহ করে তারা। বাগঘোনা এলাকার পোশাকশ্রমিক বানু আক্তার জানান, রাতে পানি আসে। তবে তা কখনো রাত ১২টায় কখনো বা আরও পরে। প্রতিদিন পানির জন্য রাত জেগে সকালে কর্মস্থলে যেতে কষ্ট হয়।
সংকটমুক্ত যাঁরা: নগরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কতটি গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে, তার পুরো হিসাব ওয়াসার কাছে নেই। যাঁরা অনুমতি নিয়ে নলকূপ স্থাপন করেছেন, তাঁদের হিসাবটি শুধু ওয়াসার কাছে রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তপন দাশ জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে নগরে দুই হাজারের বেশি গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে ওয়াসা। বাড়ির মালিক নিজের প্রয়োজনে এগুলো বসিয়েছেন।
এর বাইরেও অনেক ভবনমালিক অনুমতি না নিয়ে নলকূপ স্থাপন করে পানির চাহিদা মেটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভবনের বাসিন্দারা পানির সংকট থেকে আপতত মুক্ত। তবে ব্যক্তিপর্যায়ে স্থাপিত এসব গভীর নলকূপ চাহিদার কত শতাংশ পূরণ করছে সে হিসাব ওয়াসার জানা নেই।
এখন বর্ষাকাল হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা চাহিদার ৪০ শতাংশ পানি সরবরাহ করতে পারলেও এই গরমে তাও পারছে না। তাই পানির জন্য হাহাকার করছে নূরজাহানের মতো বস্তি ও ছোট ভবনের বাসিন্দা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। অবশ্য ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ থাকায় কোনো কোনো ভবনের বাসিন্দারা পানির সংকট থেকে মুক্ত।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, নগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। ওয়াসা সরবরাহ করে গড়ে ২০ থেকে ২২ কোটি লিটার। এর মধ্যে নয় কোটি লিটার মোহরা পানি শোধনাগারের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়। অবশিষ্ট পানি সরবরাহ করা হয় ৯০টি গভীর নলকূপের সাহায্যে।
ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তপন দাশ বলেন, ‘চাহিদার ৪০-৪২ শতাংশ পানি আমরা সরবরাহ করতে পারি। মোহরা প্রকল্প ও ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে এ পানি সরবরাহ করা হয়। তবে দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে। ২০১৪ সাল নাগাদ কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আরও ১৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ-প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে। তখন সংকট কিছুটা কমবে।’
ওয়াসা সূত্র জানায়, শুষ্ক মৌসুমে পানির চাহিদা আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বিদ্যুৎসহ নানা কারণে এ সময় উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা যায়। কয়েক দিন ধরে মোহরা পানি শোধনাগারে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন করা যায়নি। সিঅ্যান্ডবি রাস্তায় ওয়াসার প্রধান সরবরাহ লাইন ফেটে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে বন্ধ রেখে ওই সরবরাহ লাইনটি মেরামত করা হয়।
পানি আসে না: সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের আসকার দিঘির পাড়, বাগঘোনা, আমবাগান, দক্ষিণ নালাপাড়া, আগ্রাবাদ, সরাইপাড়া, হালিশহরসহ বিভিন্ন স্থানে পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। নালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা অলকেশ পাল বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আমাদের এখানে কোনো পানি সরবরাহ নেই। মাঝেমধ্যে একটু একটু করে এলেও তা কাজ সারার মতো যথেষ্ট নয়। পানির জন্য আমাদের মতো মধ্য ও নিম্নবিত্তরাই সমস্যায় পড়েছে। ভবনের মালিকদের গভীর নলকূপ রয়েছে।’
শহরের কোনো কোনো এলাকায় সপ্তাহে একবার পানি দেয় ওয়াসা। কিছু এলাকায় সপ্তাহে দুইবার। সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করার পরিবর্তে খণ্ডকালীন (রেশনিংয়ের মাধ্যমে) পানি সরবরাহ করে তারা। বাগঘোনা এলাকার পোশাকশ্রমিক বানু আক্তার জানান, রাতে পানি আসে। তবে তা কখনো রাত ১২টায় কখনো বা আরও পরে। প্রতিদিন পানির জন্য রাত জেগে সকালে কর্মস্থলে যেতে কষ্ট হয়।
সংকটমুক্ত যাঁরা: নগরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কতটি গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে, তার পুরো হিসাব ওয়াসার কাছে নেই। যাঁরা অনুমতি নিয়ে নলকূপ স্থাপন করেছেন, তাঁদের হিসাবটি শুধু ওয়াসার কাছে রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তপন দাশ জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে নগরে দুই হাজারের বেশি গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে ওয়াসা। বাড়ির মালিক নিজের প্রয়োজনে এগুলো বসিয়েছেন।
এর বাইরেও অনেক ভবনমালিক অনুমতি না নিয়ে নলকূপ স্থাপন করে পানির চাহিদা মেটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভবনের বাসিন্দারা পানির সংকট থেকে আপতত মুক্ত। তবে ব্যক্তিপর্যায়ে স্থাপিত এসব গভীর নলকূপ চাহিদার কত শতাংশ পূরণ করছে সে হিসাব ওয়াসার জানা নেই।
No comments