যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে ফের উত্তাল গণজাগরণ মঞ্চ- শহীদ জননী স্মরণ ॥ হাজারো মানুষের ‘আঁধার বিনাশী আলোক মালা’য় যোগদান
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সর্বোচ্চ শাস্তির
দাবিসহ সকল অন্ধকার দূর করার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে শাহবাগে ‘আঁধারবিনাশী
আলোকমালা’য় যোগ দিলেন হাজারো মানুষ। সবার কণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হলো ‘নিপাত
যাক মৌলবাদ।
পতন হোক ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর। জেগে ওঠো বাঙালী,
মানুষ আর মানবতা।’ আজ আবারও জাতির পতাকা খামচে ধরেছে পুরনো শকুন। তাই এখন
আর ঘরে বসে থাকার সময নেই। সময় এখন প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের। দেশ রক্ষার
জন্য এমন ডাক অনেক আগেই দিয়ে গেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। এবার ডাকে সাড়া
দেয়ার পালা।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার দিনব্যাপী কর্মসূচী হাতে নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। গণজাগরণ মঞ্চের পাশেই জাহানারা ইমামের অস্থায়ী বেদিতে দিনভর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সকালে শাহবাগে শহীদ জননীর ছবি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ। যারা গত পাঁচ মাস ধরে এ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
শহীদ জননীর প্রতি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম শফিউল্লাহ প্রমুখ শহীদ জননীর বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের দাবি ছিল তিনটি। যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন না দেয়া, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত না করা আর ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা। কিন্তু এসব ইস্যুতে বিএনপি আমাদের কথায় সাড়া দেয়নি। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোই ক্ষমতায় আসুক। আর তা না হলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব হবে না।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করলেও তাঁকে হত্যা করার পর জাহানারা ইমামই এই বিচারের পক্ষে জোর দাবি করেন। এই বীরগেরিলা শহীদ রুমীর জননী জাহানারা ইমামই আমাদের আন্দোলনের প্রেরণা ও শক্তি। আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারুণ্যের প্রতিবাদ কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ তারুণ্যের রক্তে মিশে গেছে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের প্রত্যাশা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ হবে।
সন্ধ্যায় জাহানারা ইমামের ছবিসহ শাহবাগ চত্বর ফের প্রজ্জ্বলিত হয় ‘আঁধারবিনাশী আলোকমালা’য়। তারপর গণজাগরণ মঞ্চে পরিবেশিত হয় বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের গান ও কবিতা। এতে অংশ নেন বরেণ্য শিল্পী ও আবৃত্তিকারকরা। নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও গণআদালতের প্রধান উদ্যোক্তা জাহানারা ইমাম মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান।
’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সূচনা। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অবস্থানের ইতি টানা হলেও আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় গণজাগরণ মঞ্চের।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার দিনব্যাপী কর্মসূচী হাতে নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। গণজাগরণ মঞ্চের পাশেই জাহানারা ইমামের অস্থায়ী বেদিতে দিনভর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সকালে শাহবাগে শহীদ জননীর ছবি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ। যারা গত পাঁচ মাস ধরে এ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
শহীদ জননীর প্রতি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম শফিউল্লাহ প্রমুখ শহীদ জননীর বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের দাবি ছিল তিনটি। যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন না দেয়া, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত না করা আর ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা। কিন্তু এসব ইস্যুতে বিএনপি আমাদের কথায় সাড়া দেয়নি। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোই ক্ষমতায় আসুক। আর তা না হলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব হবে না।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করলেও তাঁকে হত্যা করার পর জাহানারা ইমামই এই বিচারের পক্ষে জোর দাবি করেন। এই বীরগেরিলা শহীদ রুমীর জননী জাহানারা ইমামই আমাদের আন্দোলনের প্রেরণা ও শক্তি। আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারুণ্যের প্রতিবাদ কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ তারুণ্যের রক্তে মিশে গেছে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের প্রত্যাশা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ হবে।
সন্ধ্যায় জাহানারা ইমামের ছবিসহ শাহবাগ চত্বর ফের প্রজ্জ্বলিত হয় ‘আঁধারবিনাশী আলোকমালা’য়। তারপর গণজাগরণ মঞ্চে পরিবেশিত হয় বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের গান ও কবিতা। এতে অংশ নেন বরেণ্য শিল্পী ও আবৃত্তিকারকরা। নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও গণআদালতের প্রধান উদ্যোক্তা জাহানারা ইমাম মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান।
’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সূচনা। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অবস্থানের ইতি টানা হলেও আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় গণজাগরণ মঞ্চের।
No comments