মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১২ মানুষ মানুষের জন্য by জাহীদ রেজা নূর
২৬ এপ্রিল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠান হবে, তা নির্ধারিত ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু ২৪ এপ্রিল
সাভারে ঘটল মহা দুর্ঘটনা। রানা প্লাজার ধসে তখন হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন
সংকটাপন্ন।
পত্রিকার পাতায় কিংবা টেলিভিশনের পর্দায়
উদ্ধারকাজের খবর পড়ে ও দেখে পুরো দেশ অশ্রুসিক্ত। ঠিক এ রকম একটি সময় কি
জাঁকজমকপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠান করা ঠিক?
এ প্রশ্ন আমাদের মনে এসেছিল। এ অবস্থায় অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দেওয়াই বুঝি বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু একজনের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেলে তা ভালো লেগে যায় সবার। মনে হয়, সত্যিই তো, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই কি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় না? মুক্তিযুদ্ধের সময় কি ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ হয়নি? কিংবা হাইতির আর্ত মানুষের পাশে কি দাঁড়াননি শিল্পীরা? এ রকম ঘটনা কি কম? তাই সিদ্ধান্ত হয়, হোক না ছোট পরিসরে, কিন্তু এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাভার ট্র্যাজেডির জন্য তহবিল সংগ্রহ করার কাজটি অন্যায় হবে না। বরং হতভাগ্য মানুষের সমব্যথী হয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া যাবে, ‘ভাই, আমি তোমার পাশেই।’
যাঁরা ২৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁদের মুখাবয়বও ছিল বিষাদাক্রান্ত। অনুষ্ঠান শুরুর আগে রেড কার্পেটে যখন শিল্পীরা কথা বলছিলেন, তখনই বোঝা গেছে, সাভার ট্র্যাজেডিই তাঁদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পোশাকশ্রমিকদের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, সে কথাও ভাবতে শুরু করেছেন অনেকেই।
অনুষ্ঠানস্থলে ছিল কালো ব্যানার। যাঁরা আসছিলেন, তাঁদের সবাইকেই পরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কালো ব্যাজ। শুরুতেই সাংবাদিক-সাহিত্যিক আনিসুল হক সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে কথা বললেন। সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করল। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর কথাতেও ছিল সাভার ট্র্যাজেডির শিকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান।
একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনায়াসে বদলে হয়ে গেল মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বানে পূর্ণ একটি ক্যানভাসে। সে ক্যানভাসে সাভার ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর ছবি আঁকলেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে শীর্ষ তারকারা অংশ নিয়েছেন। ছিলেন শাকিব-জয়া, অনন্ত-বর্ষা, নিশো-শখ, আরিফিন শুভ-মীম, বাপ্পী-মাহীর মতো তারকারা। ছিল প্রেমা ও তাঁর দল ভাবনার নাচ। গ্যাংনাম স্টাইলের অনুসরণে দেশের অস্থিতিশীল রাজনীতি নিয়ে একটি ব্যঙ্গ পরিবেশনা ‘গ্যাঞ্জাম স্টাইল’। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ছিল সাভার দুর্ঘটনা। শিল্পীরা এই তহবিলে কে কত টাকা দিচ্ছেন, তার ঘোষণা দিচ্ছিলেন আর দর্শকেরা করতালি দিয়ে সাভার ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে একাত্ম হওয়া শিল্পীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন।
মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানটিতে জমজমাট পরিবেশনা ছিল ঠিকই, কিন্তু তাতে ছিল আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান। তাই যখন অনুষ্ঠান শেষে চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি ভেসে ওঠে, তখন পুরো মিলনায়তন যেন মিশে যায় সেই সুরে।
এ প্রশ্ন আমাদের মনে এসেছিল। এ অবস্থায় অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দেওয়াই বুঝি বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু একজনের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেলে তা ভালো লেগে যায় সবার। মনে হয়, সত্যিই তো, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই কি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় না? মুক্তিযুদ্ধের সময় কি ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ হয়নি? কিংবা হাইতির আর্ত মানুষের পাশে কি দাঁড়াননি শিল্পীরা? এ রকম ঘটনা কি কম? তাই সিদ্ধান্ত হয়, হোক না ছোট পরিসরে, কিন্তু এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাভার ট্র্যাজেডির জন্য তহবিল সংগ্রহ করার কাজটি অন্যায় হবে না। বরং হতভাগ্য মানুষের সমব্যথী হয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া যাবে, ‘ভাই, আমি তোমার পাশেই।’
যাঁরা ২৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁদের মুখাবয়বও ছিল বিষাদাক্রান্ত। অনুষ্ঠান শুরুর আগে রেড কার্পেটে যখন শিল্পীরা কথা বলছিলেন, তখনই বোঝা গেছে, সাভার ট্র্যাজেডিই তাঁদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পোশাকশ্রমিকদের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, সে কথাও ভাবতে শুরু করেছেন অনেকেই।
অনুষ্ঠানস্থলে ছিল কালো ব্যানার। যাঁরা আসছিলেন, তাঁদের সবাইকেই পরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কালো ব্যাজ। শুরুতেই সাংবাদিক-সাহিত্যিক আনিসুল হক সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে কথা বললেন। সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করল। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর কথাতেও ছিল সাভার ট্র্যাজেডির শিকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান।
একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনায়াসে বদলে হয়ে গেল মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বানে পূর্ণ একটি ক্যানভাসে। সে ক্যানভাসে সাভার ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর ছবি আঁকলেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে শীর্ষ তারকারা অংশ নিয়েছেন। ছিলেন শাকিব-জয়া, অনন্ত-বর্ষা, নিশো-শখ, আরিফিন শুভ-মীম, বাপ্পী-মাহীর মতো তারকারা। ছিল প্রেমা ও তাঁর দল ভাবনার নাচ। গ্যাংনাম স্টাইলের অনুসরণে দেশের অস্থিতিশীল রাজনীতি নিয়ে একটি ব্যঙ্গ পরিবেশনা ‘গ্যাঞ্জাম স্টাইল’। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ছিল সাভার দুর্ঘটনা। শিল্পীরা এই তহবিলে কে কত টাকা দিচ্ছেন, তার ঘোষণা দিচ্ছিলেন আর দর্শকেরা করতালি দিয়ে সাভার ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে একাত্ম হওয়া শিল্পীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন।
মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানটিতে জমজমাট পরিবেশনা ছিল ঠিকই, কিন্তু তাতে ছিল আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান। তাই যখন অনুষ্ঠান শেষে চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি ভেসে ওঠে, তখন পুরো মিলনায়তন যেন মিশে যায় সেই সুরে।
No comments