যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা বাবরসহ আরও ছয়জন গ্রেফতার- চট্টগ্রামে রেলের টেন্ডার নিয়ে গোলাগুলি
চট্টগ্রামের রেলওয়ের টেন্ডারবাজি নিয়ে
সশস্ত্র সংঘর্ষে দু’জন নিহতের ঘটনার মূল হোতা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির
সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর (৪০) ও তার অনুসারী পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ।
বুধবার ভোরে রাজধানীর গুলশানে একটি বাসায়
আত্মগোপনরত অবস্থা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি
থানা পুলিশ ও ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ টিম এ গ্রেফতার অভিযানে
নেতৃত্ব দেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম ও ঢাকার পুলিশের একটি যৌথ দল বুধবার ভোরে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। বাবরের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলো, প্রেমাসিস মুৎসুদ্দি ওরফে ছোটন বড়ুয়া (৩৫), শাহ আলম, পলাশ দাশ, রবি দে এবং মাজহারুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শাহ আলম ঘটনার মূল হোতা বাবরের দেহরক্ষী বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) বনজ কুমমজুমদার।
পুলিশ জানায়, সিআরবি এলাকায় টেন্ডার কার্যক্রম নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই এ ঘটনায় বাবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর পরই বাবরকে নিয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন বাবরের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও পাঁচজনের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের মধ্যে শুধু বাবর, শাহ আলম ও ছোটন বড়ুয়ার নাম মামলার এজাহারে পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রায় দেড়কোটি টাকার তিনটি কাজের টেন্ডার নিয়ে সিআরবি এলাকায় হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের অনুসারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে আট বছরের একটি শিশুসহ দু’জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিমনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর বাবরকে ৫৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই এখন একদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
এদিকে এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় অনেককেই ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আট কিশোর গ্রেফতারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা কিশোর-এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। তারা সবাই সন্ত্রাসী। দরপত্র কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও আগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কোন অভিযোগ করেননি। আর পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে ঘটনার সময় সাইফুল আলম লিমন এবং হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনার পর লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বাবরের বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
ঘটনার পর পুলিশ নগরীর পলোগ্রাউন্ড এলাকায় রেলওয়ে স্কুলের আশপাশে এবং নন্দনকানন, সিআরবি, ডিসি হিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করে। ঢাকায় বাবরসহ ছয়জন গ্রেফতারের পর এ সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮। সোমবার ৫২ জনকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম লুৎফুল মজিদ নয়নের আদালতের হাজিরের পর রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতে ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বাকি ৮ জন বয়সে কিশোর হওয়ায় তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, চট্টগ্রামে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর সিআরবিতে (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং) টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে এক শিশুসহ ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার ভোরে ঢাকার গুলশানের একটি বাসা থেকে এ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এদিকে, আদালতের রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশ ৪৪ জনকে পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো- আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, পলাশ দাশ, মাজহারুল ইসলাম, ছোটন বড়ুয়া, শাহ আলম ও রাজু দে। এরা সকলেই যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সেলিম ঢাকার গুলশানের একটি বাসায় পরিচালিত অভিযানে বাবরসহ ৬ জনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, তাদের বুধবারই চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম ও ঢাকার পুলিশের একটি যৌথ দল বুধবার ভোরে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। বাবরের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলো, প্রেমাসিস মুৎসুদ্দি ওরফে ছোটন বড়ুয়া (৩৫), শাহ আলম, পলাশ দাশ, রবি দে এবং মাজহারুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শাহ আলম ঘটনার মূল হোতা বাবরের দেহরক্ষী বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) বনজ কুমমজুমদার।
পুলিশ জানায়, সিআরবি এলাকায় টেন্ডার কার্যক্রম নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই এ ঘটনায় বাবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর পরই বাবরকে নিয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন বাবরের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও পাঁচজনের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের মধ্যে শুধু বাবর, শাহ আলম ও ছোটন বড়ুয়ার নাম মামলার এজাহারে পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রায় দেড়কোটি টাকার তিনটি কাজের টেন্ডার নিয়ে সিআরবি এলাকায় হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের অনুসারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে আট বছরের একটি শিশুসহ দু’জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিমনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর বাবরকে ৫৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই এখন একদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
এদিকে এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় অনেককেই ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আট কিশোর গ্রেফতারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা কিশোর-এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। তারা সবাই সন্ত্রাসী। দরপত্র কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও আগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কোন অভিযোগ করেননি। আর পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে ঘটনার সময় সাইফুল আলম লিমন এবং হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনার পর লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বাবরের বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
ঘটনার পর পুলিশ নগরীর পলোগ্রাউন্ড এলাকায় রেলওয়ে স্কুলের আশপাশে এবং নন্দনকানন, সিআরবি, ডিসি হিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করে। ঢাকায় বাবরসহ ছয়জন গ্রেফতারের পর এ সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮। সোমবার ৫২ জনকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম লুৎফুল মজিদ নয়নের আদালতের হাজিরের পর রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতে ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বাকি ৮ জন বয়সে কিশোর হওয়ায় তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, চট্টগ্রামে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর সিআরবিতে (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং) টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে এক শিশুসহ ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার ভোরে ঢাকার গুলশানের একটি বাসা থেকে এ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এদিকে, আদালতের রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশ ৪৪ জনকে পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো- আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, পলাশ দাশ, মাজহারুল ইসলাম, ছোটন বড়ুয়া, শাহ আলম ও রাজু দে। এরা সকলেই যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সেলিম ঢাকার গুলশানের একটি বাসায় পরিচালিত অভিযানে বাবরসহ ৬ জনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, তাদের বুধবারই চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।
No comments