এবার রাজ্জাক প্লাজায় ফাটল ভবন সিলগালা
রাজধানীর অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসের
পর এর পাশেই রাজ্জাক প্লাজা নামে আরেকটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে ফাটল দেখা
দেওয়ার খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে ভবনটিতে অবস্থিত দুটি
তৈরি পোশাক কারখানাসহ সব বিপণিবিতান সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে ফাটলের কারণে ভবনটি বন্ধ করে দেওয়ায় এর দোকান মালিকরা ঢাকা-আরিচা
মহাসড়কে বিক্ষোভ করে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। ফাটলের খবরটিকে
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন হিসেবে দাবি করে এ সংবাদ প্রচারকারী
সাংবাদিককে মারধর ও তাঁর আত্মীয়র বাসায় হামলা চালান তাঁরা।
জানা গেছে, রাজ্জাক প্লাজা নির্মাণে আটতলার অনুমোদন নেওয়া হলেও এর ছাদে ইটের দেয়াল ও টিনশেড দিয়ে আরো একটি তলা নির্মাণ করা হয়। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ক্যান্টিন হিসেবে ব্যবহৃত এই নবম তলার দেয়ালেই ফাটলের সচিত্র সংবাদ গত সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রথম প্রচার করা হয়। এ সংবাদ জানার পর গতকাল সকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রকৌশলীরাও এতে সায় দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকালে ভবনটি খালি করার সময় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করতে থাকেন। এ কারণে বিজিএমইএ, কারখানা পরিদর্শক, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন।
বৈঠকের পর সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মোল্লা জানান, ভবনটির নবম তলার দেয়ালে ফাটল দেখেছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভবন পরীক্ষার আগ পর্যন্ত এতে সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ভবনটির আটতলা পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে। নবম তলায় যে ক্যান্টিন করা হয়েছে তার দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল দেখার পর ক্যান্টিন ভেঙে ফেলতে বললে তা ভেঙে ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বিজিএমইএর ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল খালেক বলেন, মূল ভবনে কোনো ফাটল নেই। নবম তলায় ক্যান্টিনের দেয়ালে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে তা ভবনের জন্য ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
৯ তলা এ ভবনের প্রথম তিনতলায় পোশাক, জুয়েলারি, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ২৮৭টি দোকান রয়েছে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আল মুসলিম গ্রুপের প্যাসিফিক ব্লু জিনস ওয়্যার লিমিটেডের কারখানা এবং সপ্তম ও অষ্টম তলায় জোবিয়ান সোয়েটারের কারখানা রয়েছে। আল মুসলিম গ্রুপের কারখানায় প্রায় এক হাজার ৬০০ শ্রমিক এবং জোবিয়ান সোয়েটার্সে ৮০০ শ্রমিক কাজ করেন। নবম তলায় টিনের ছাউনি দিয়ে শ্রমিকদের জন্য ক্যান্টিন ও নামাজের স্থান ছাড়াও ভবনের ছাদে দুটি মুঠোফোন কম্পানির টাওয়ার রয়েছে।
এদিকে গণমাধ্যমে ফাটলের সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় ভবন সিলগালা করে দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভবনটির দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। আসন্ন রমজান ও ঈদের আগে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের’ কারণে ভবনটির সব দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে দোকান খুলে রাখার অনুমতি দাবি করেন তাঁরা।
সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিউদ্দৌলা রেজা কালের কণ্ঠকে জানান, ব্যবসায়ীরা সরে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়কে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভবনটির চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফাটলের ঘটনাটিকে অপপ্রচার দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা রাজ্জাক গত সোমবার রাজ্জাক প্লাজার ৯ তলায় উঠে ক্যান্টিনের পলেস্তারা খসার দৃশ্য ধারণ করেন। এরপর ভবনের মালিক অলি আহমেদ ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে ফাটলের খবর প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি এ খবর প্রচার করেছেন।
ভবনটির তিনজন মালিকের অন্যতম অলি আহমেদ খান জানান, সাংবাদিক নাজমুলকে চাঁদা না দেওয়ায় অহেতুক সামান্য একটি ফাটলকে বিশাল ঘটনা দাবি করে তাঁর ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে সাংবাদিক নাজমুল হুদা রাজ্জাক প্লাজায় প্রবেশের চেষ্টাকালে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পুলিশ ও সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ সময় জহির নামে আরেক ক্যামেরাম্যানও মারধরের শিকার হন। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা এরপর নাজমুল হুদাকে আবার খুঁজতে বের হন এবং পাশেই অবস্থিত নাজমুলের চাচাশ্বশুর ও দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় ফাটলের ঘটনাটি অপপ্রচার দাবি করে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তাঁরা।
রাজ্জাক প্লাজার মালিক অলি আহমেদ জানিয়েছেন, ভবনটির অষ্টম তলার ওপরে টিনশেডে যে ক্যান্টিন করা হয়েছে, তা গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ করেছে। সেটি ভেঙে ফেলা হবে। এ ছাড়া অষ্টম তলার ছাদে বেসরকারি মোবাইল ফোন কম্পানি সিটিসেল ও রবির যে দুটি টাওয়ার রয়েছে, তাও সরিয়ে ফেলা হবে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩০ জন নিহত হয়।
জানা গেছে, রাজ্জাক প্লাজা নির্মাণে আটতলার অনুমোদন নেওয়া হলেও এর ছাদে ইটের দেয়াল ও টিনশেড দিয়ে আরো একটি তলা নির্মাণ করা হয়। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ক্যান্টিন হিসেবে ব্যবহৃত এই নবম তলার দেয়ালেই ফাটলের সচিত্র সংবাদ গত সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রথম প্রচার করা হয়। এ সংবাদ জানার পর গতকাল সকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রকৌশলীরাও এতে সায় দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকালে ভবনটি খালি করার সময় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করতে থাকেন। এ কারণে বিজিএমইএ, কারখানা পরিদর্শক, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন।
বৈঠকের পর সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মোল্লা জানান, ভবনটির নবম তলার দেয়ালে ফাটল দেখেছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভবন পরীক্ষার আগ পর্যন্ত এতে সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ভবনটির আটতলা পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে। নবম তলায় যে ক্যান্টিন করা হয়েছে তার দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল দেখার পর ক্যান্টিন ভেঙে ফেলতে বললে তা ভেঙে ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বিজিএমইএর ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল খালেক বলেন, মূল ভবনে কোনো ফাটল নেই। নবম তলায় ক্যান্টিনের দেয়ালে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে তা ভবনের জন্য ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
৯ তলা এ ভবনের প্রথম তিনতলায় পোশাক, জুয়েলারি, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ২৮৭টি দোকান রয়েছে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আল মুসলিম গ্রুপের প্যাসিফিক ব্লু জিনস ওয়্যার লিমিটেডের কারখানা এবং সপ্তম ও অষ্টম তলায় জোবিয়ান সোয়েটারের কারখানা রয়েছে। আল মুসলিম গ্রুপের কারখানায় প্রায় এক হাজার ৬০০ শ্রমিক এবং জোবিয়ান সোয়েটার্সে ৮০০ শ্রমিক কাজ করেন। নবম তলায় টিনের ছাউনি দিয়ে শ্রমিকদের জন্য ক্যান্টিন ও নামাজের স্থান ছাড়াও ভবনের ছাদে দুটি মুঠোফোন কম্পানির টাওয়ার রয়েছে।
এদিকে গণমাধ্যমে ফাটলের সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় ভবন সিলগালা করে দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভবনটির দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। আসন্ন রমজান ও ঈদের আগে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের’ কারণে ভবনটির সব দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে দোকান খুলে রাখার অনুমতি দাবি করেন তাঁরা।
সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিউদ্দৌলা রেজা কালের কণ্ঠকে জানান, ব্যবসায়ীরা সরে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়কে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভবনটির চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফাটলের ঘটনাটিকে অপপ্রচার দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা রাজ্জাক গত সোমবার রাজ্জাক প্লাজার ৯ তলায় উঠে ক্যান্টিনের পলেস্তারা খসার দৃশ্য ধারণ করেন। এরপর ভবনের মালিক অলি আহমেদ ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে ফাটলের খবর প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি এ খবর প্রচার করেছেন।
ভবনটির তিনজন মালিকের অন্যতম অলি আহমেদ খান জানান, সাংবাদিক নাজমুলকে চাঁদা না দেওয়ায় অহেতুক সামান্য একটি ফাটলকে বিশাল ঘটনা দাবি করে তাঁর ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে সাংবাদিক নাজমুল হুদা রাজ্জাক প্লাজায় প্রবেশের চেষ্টাকালে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পুলিশ ও সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ সময় জহির নামে আরেক ক্যামেরাম্যানও মারধরের শিকার হন। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা এরপর নাজমুল হুদাকে আবার খুঁজতে বের হন এবং পাশেই অবস্থিত নাজমুলের চাচাশ্বশুর ও দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় ফাটলের ঘটনাটি অপপ্রচার দাবি করে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তাঁরা।
রাজ্জাক প্লাজার মালিক অলি আহমেদ জানিয়েছেন, ভবনটির অষ্টম তলার ওপরে টিনশেডে যে ক্যান্টিন করা হয়েছে, তা গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ করেছে। সেটি ভেঙে ফেলা হবে। এ ছাড়া অষ্টম তলার ছাদে বেসরকারি মোবাইল ফোন কম্পানি সিটিসেল ও রবির যে দুটি টাওয়ার রয়েছে, তাও সরিয়ে ফেলা হবে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩০ জন নিহত হয়।
No comments